উত্তর : ইচ্ছাকৃতভাবে ছালাত তরককারী অথবা ছালাতের ফরযিয়াতকে অস্বীকারকারী ব্যক্তি কাফির ও জাহান্নামী। ঐ ব্যক্তি ইসলাম হ’তে বহিষ্কৃত (আহমাদ, ইবনু মাজাহ; মিশকাত হা/৬১, ৫৮০; ছহীহাহ হা/৯১৪, ইরওয়া হা/২০২৬ ৭/৯১)। তবে সাধারণভাবে ছালাত তরক করাকে হাদীছে ‘কুফরী’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৬৯; তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৫৭৪, ৫৮০)। ছাহাবায়ে কেরামও একে ‘কুফরী’ হিসাবে গণ্য করতেন (তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৭৯)। তারা নিঃসন্দেহে জাহান্নামী। তবে এই ব্যক্তিগণ যদি খালেছ অন্তরে তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাতে বিশ্বাসী হয় এবং ইসলামের হালাল-হারাম ও ফরয-ওয়াজিব সমূহের অস্বীকারকারী না হয় এবং শিরক না করে, তাহ’লে তারা ‘কালেমায়ে শাহাদাত’কে অস্বীকারকারী কাফিরগণের ন্যায় ইসলাম থেকে খারিজ নয় বা চিরস্থায়ী জাহান্নামী নয়। কেননা এই প্রকারের মুসলমানেরা কর্মগতভাবে কাফির হ’লেও বিশ্বাসগতভাবে কাফির নয়। বরং খালেছ অন্তরে পাঠ করা কালেমার বরকতে এবং কবীরা গোনাহগারদের জন্য শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর শাফা‘আতের ফলে শেষ পর্যায়ে এক সময় তারা জান্নাতে ফিরে আসবে (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, বুখারী, মিশকাত হা/৫৫৭৩-৭৪; তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৫৫৯৮-৫৬০০)। তবে তারা সেখানে ‘জাহান্নামী’ (اَلْجَهَنَّمِيُّوْنَ) বলেই অভিহিত হবে (বুখারী, মিশকাত হা/৫৫৮৫) যেটা হবে বড়ই লজ্জাকর বিষয়।

যথাযথভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আদালতের মাধ্যমে দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির দন্ড বাস্তবায়নের অধিকারী হ’ল রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ। অন্য কেউ নয়। রাসূল (ছাঃ) নিজে এবং পরবর্তীকালে খুলাফায়ে রাশেদীন এ দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ ব্যতীত যে কেউ এ দন্ড বাস্তবায়নের অধিকার রাখে না। আল্লাহ বলেন, তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর ও আনুগত্য কর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্যকার শাসন কর্তৃপক্ষের (নিসা ৫৯)






প্রশ্ন (১৬/৩৭৬) : মাসিক আত-তাহরীক ডিসেম্বর ২০০৯ সংখ্যা ১২নং পৃষ্ঠায় ‘নয়টি প্রশ্নের উত্তর’ নিবন্ধে বলা হয়েছে যে, যাদের নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌঁছেনি, তাদের জন্য আখিরাতে আল্লাহর বিশেষ ব্যবস্থাপনা থাকবে। আর সেটা এই যে, তাদের পরীক্ষার জন্য আল্লাহ তাদের কাছে একজন রাসূল পাঠাবেন। প্রশ্ন হ’ল, ঐ রাসূলের নাম কী?
প্রশ্ন (১২/৩৩২) দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শয়তানের পেশাব পান করা হয়। একথার কোন সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (৬/১২৬) : ফজরের আযানে الصلوة خير من النوم বলতে হবে কি? দলীল ভিত্তিক জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১০/১৭০) : সূরা হূদের ১১৪ আয়াতের তাফসীর জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৩/৩৫৩) : আমার এলাকাটি হানাফী অধ্যুষিত হওয়ায় ঈদের ছালাত অনেক দেরীতে আদায় করা হয়। এক্ষণে আমি আউয়াল ওয়াক্তে একাকী তা আদায় করে নিব কি? - -খায়রুল ইসলাম, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন (২১/৩০১) : অনেক মসজিদে লেখা দেখা যায়, লাল বাতি জ্বললে কেউ সুন্নাতের নিয়ত করবেন না। এভাবে লেখা কি শরী‘আত সম্মত?
প্রশ্ন (৫/২৪৫) : আমি একজন সরকারী কর্মচারী। প্রতিমাসে প্রভিডেন্ট ফান্ডের যে অর্থ আমার বেতন থেকে কর্তন করা হয় তার বিপরীতে প্রদত্ত সূদ গ্রহণ না করে মূল টাকা নিলে কোন পাপ হবে কি?
প্রশ্ন (৩৭/১১৭) : ছালাতের মধ্যে ইমামের তেলাওয়াতে রাসূল (ছাঃ)-এর নাম আসলে দরূদ পাঠ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৯/১২৯) : বুধবার যোহর ও আছরের মধ্যবর্তী সময়ে দো‘আ কবুল করা হয় এই মর্মে হাদীছটি কি আমলযোগ্য? শায়েখ আলবানী হাদীছটিকে হাসান বললেও অন্য মুহাক্কিকগণ যঈফ বলেছেন। এক্ষণে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কি?
প্রশ্ন (১/৩২১) : তাহাজ্জুদের ছালাত আদায় করা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ? একবার শুরু করার পর ছেড়ে দিলে গুনাহগার হ’তে হবে কি? - -মতীউর রহমান, পাবনা।
প্রশ্ন (১৬/১৬) : গোসল ফরয হওয়া অবস্থায় হালাল পশু যবেহ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১/২০১) : নারী-পুরুষ মাথায় মেহেদী দেওয়া অবস্থায় ছালাত আদায় করতে পারবে কি?
আরও
আরও
.