উত্তর : শারী‘আতের উৎস হিসাবে কুরআন এবং ছহীহ হাদীছ উভয়টিই আল্লাহর অহী (&নাজম ৩-৪)।
তাই উভয়টি দ্বারা উভয়টিকে আল্লাহ তা‘আলা রহিত করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
‘আমি যখন কোন আয়াত রহিত করে দেই বা তা ভুলিয়ে দেই, তখন তার জায়গায় তার
চেয়ে উৎকৃষ্ট কিংবা তারই মত কোন আয়াত আনয়ন করি (বাক্বারাহ ১০৬)। শরী‘আতে এর বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে যেমন- মৃত স্বামীর স্ত্রীর ইদ্দতের সময়কাল প্রথমে এক বছর ছিল (বাক্বারাহ ২৪০)। কিন্তু এই হুকুমকে রহিত করা হয়েছে চার মাস দশ দিনের বিধান নাযিল করে (বাক্বারাহ ২৩৪)।
তাছাড়া সূরা নিসার ১৫ নং আয়াতের হুকুম সূরা নূরের ২ নং আয়াত দ্বারা রহিত
করা হয়েছে। হাদীছের দ্বারা হাদীছও রহিত হয়। এর প্রমাণ রাসূল (ছাঃ) ইসলামের
প্রাথমিক অবস্থায় কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলেন। পরবর্তীতে সে বিধানকে
রহিত করে কবর যিয়ারতের অনুমতি প্রদান করেন। অমনিভাবে কুরবানীর গোশত প্রথমে
তিন দিনের বেশী জমা রাখতে নিষেধ করেছিলেন। পরবর্তীতে সে বিধান রহিত করে
যতদিন ইচ্ছা জমা রাখার অনুমতি প্রদান করা হয় (মুসলিম হা/৯৭৭; আবুদাঊদ হা/৩৬৯৮; নাসাঈ হা/৫৬৫২)।
আর কুরআন দ্বারা সুন্নাতের বিধানকে রহিত করণের উদাহরণ হচ্ছে কিবলা
পরিবর্তনের ঘটনা। প্রথমে বায়তুল মুক্বাদ্দাসের দিকে মুখ করে ছালাত আদায় ছিল
হাদীছ দ্বারা। যাকে রহিত করে কা‘বার দিকে মুখ ফিরানোর নির্দেশ এসেছে কুরআন
দ্বারা (বাক্বারাহ ১৪৪)। জানা আবশ্যক যে, কুরআনের বহু আম বিধানকে
হাদীছ দ্বারা খাছ করা হয়েছে। যেমন ছালাতের রাক‘আত ও পদ্ধতি। যাকাতের নিছাব
ও যাকাতের পরিমাণ, হজ্জের নিয়মাবলী ইত্যাদি।