উত্তর : এটি হ’ল খারেজী চরমপন্থীদের ব্যাখ্যা। তাদের মতে ‘যেখানেই পাও’ এটি সাধারণ নির্দেশ। অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠের যেখানেই পাও না কেন তাদেরকে বধ কর, পাকড়াও কর হারাম শরীফ ব্যতীত’ (যুগে যুগে শয়তান-এর হামলা ৯২ পৃ.)

আয়াতটি বিদায় হজ্জের আগের বছর নাযিল হয় এবং মুশরিকদের সাথে পূর্বেকার সকল চুক্তি বাতিল করা হয়। এর ফলে মুশরিকদের জন্য বায়তুল্লাহর হজ্জ চিরতরে নিষিদ্ধ করা হয় এবং পরের বছর যাতে মুশরিকমুক্ত পরিবেশে রাসূল (ছাঃ) হজ্জ করতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়। এটি বিশেষ অবস্থায় একটি বিশেষ নির্দেশ মাত্র।  

খারেজীপন্থী লোকেরা কুরআনের আরও দু’টি আয়াতের অপব্যাখ্যা করে থাকে। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘সাবধান! সৃষ্টি ও আদেশের মালিক কেবল তিনিই’ (আ‘রাফ ৭/৫৪)। ‘আল্লাহ ব্যতীত কারু শাসন নেই’ (ইউসুফ ১২/৪০) এইসব আয়াতের অপব্যাখ্যা করে তারা হযরত আলী (রাঃ) ও মু‘আবিয়া (রাঃ) উভয়কে ‘কাফির’ এবং তাঁদের রক্ত হালাল গণ্য করেছিল ও হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ফলে তাদের ধারণায় কোন মুসলিম সরকার ‘মুরতাদ’ হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে তার রাষ্ট্রে কিছু কুফরী কাজের প্রকাশ ঘটালো’ (যুগে যুগে শয়তান-এর হামলা ১৪৫ পৃ.)। তাহ’লে তো এই আক্বীদার লোকেরা ক্ষমতায় গেলে কোন অমুসলিম বা কবীরা গোনাহগার মুসলিম এদেশে বসবাস করতে পারবে না। বরং এদের দৃষ্টিতে তারা প্রত্যেকে হত্যাযোগ্য আসামী হবে। অথচ রাসূল (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদীনের সময় মদীনার ইসলামী রাষ্ট্রে মুনাফিক, ইহূদী, নাছারা, কাফের সবধরনের নাগরিক স্বাধীনভাবে বসবাস করতো।  

বস্ত্ততঃ ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধকারী ব্যতীত অন্য কারু প্রতি অস্ত্র ধারণ করা ইসলামে নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদীনের জীবনাদর্শই বাস্তব প্রমাণ হিসাবে যথেষ্ট। অতএব জিহাদের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ না করেই যারা চটকদার কথা বলে জিহাদের নামে জঙ্গীবাদকে উসকে দিচ্ছে, তারা ইসলামের বন্ধু তো নয়ই, বরং ইসলামের শত্রু এবং খারেজী চরমপন্থীদের দলভুক্ত। যাদের ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) বহুপূর্বেই মুসলিম উম্মাহকে সতর্ক করে গিয়েছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৮৯৪; মিশকাত (বঙ্গানুবাদ) হা/৫৬৪২; বিস্তারিত দেখুন : জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আহলেহাদীছ আন্দোলন-এর ভূমিকা ৩৭-৫৭ পৃ.)






প্রশ্ন (৪/৪০৪) : মানুষ ও পাথরকে জাহান্নামের ইন্ধন হিসাবে পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষণে কোন পাথর বা মানুষকে জাহান্নামের ইন্ধন হিসাবে ব্যবহার করা হবে?
প্রশ্ন (৩৭/১১৭) : বর্তমানে জাতীয় নেতাদের কবরে গিয়ে সাড়ম্বরে রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী বা পরিবারের সদস্যদের হাত তুলে ফাতেহা পাঠের যে প্রচলন দেখা যায়, তা শরী‘আতসম্মত কি? - -নাজমুল হাসান, খুলশী, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন (৩০/৪৭০) : সম্প্রতি ইসলামিক টিভিতে জনৈক আলেম বলেন, সুস্থ অবস্থায় স্বামী যদি স্ত্রীকে এক সঙ্গে তিন তালাক দেয়, তাহ’লে অধিকাংশ ফকীহর মতে তালাক বায়েন হয়ে যাবে। অন্যত্র বিবাহ না হওয়া পর্যন্ত ঐ স্বামী আর স্ত্রীকে ফিরে পাবে না। উক্ত ফৎওয়া কি সঠিক হয়েছে?
প্রশ্ন (৩৬/২৭৬) : মানুষ যখন জান্নাতে বা জাহান্নামে প্রবেশ করবে, তখন তার কি দুনিয়ার কথা মনে থাকবে? জান্নাত ও জাহান্নাম বর্তমানে সৃষ্ট? ক্বিয়ামতের দিন কি তা নষ্ট হয়ে যাবে?
প্রশ্ন (২৬/৩০৬) : ছিয়াম অবস্থায় মিসওয়াক করা যাবে কি? - -আখতার, মুর্শিদাবাদ, ভারত।
প্রশ্ন (৪০/১৬০) : পাকা চুল ও দাড়িতে মেহেদী ব্যবহারের বিধান কি? কেউ যদি মেহেদী ব্যবহার না করে তাহ’লে সে পাপী হবে কি?
প্রশ্ন (৩৩/১৫৩) : আমি স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে তাকে পিতার বাসায় রেখে আদালতে গিয়েছিলাম তালাক দেয়ার জন্য। কিন্তু আদালত বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তবে স্ত্রীকে আমি না জানালেও মন থেকে আমি তালাকের নিয়ত করেছিলাম। এক্ষণে এটা তালাক হিসাবে গণ্য হবে কি?
প্রশ্ন (৩৩/৭৩) : এক্বামতের শেষে আল্লাহু আকবার কতবার বলবে এই নিয়ে আমাদের এলাকায় মতপার্থক্য বিরাজ করছে। একবার বলবে না দুইবার বলবে? দলীল ভিত্তিক সমাধান চাই।
প্রশ্নঃ (৯/৯): যারা মা‘রেফতী আক্বীদায় বিশ্বাস করে, মাযার ও কবর পূজা করে, ছালাত ও ছিয়ামের ধার ধারে না তাদের জানাযায় শরীক হওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৬/৩৬) : আমি পূর্ণ পর্দার সাথে মেডিকেলে পড়াশুনা করি। দ্বীনদার হওয়া সত্ত্বেও আমার পিতা আমাকে নেকাব ব্যবহারে নিষেধ করেন। শুনেছি নেকাব ব্যবহার করা নারীর জন্য আবশ্যক নয়। এক্ষণে আমার করণীয় কি? - -শায়লা, রংপুর মেডিকেল কলেজ, রংপুর।
প্রশ্ন (২৩/৪২৩) : ক্বিয়ামতের দিন মানুষে আত্মার সাথে দেহ জুড়ে দেওয়া হবে, না স্বপ্নের মত দেহ ছাড়া কেবল আত্মা পুনর্জীবিত হবে? - যাকারিয়া খন্দকার, দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা।
প্রশ্ন (৪০/৪০) : কোন নারী ধর্ষণের শিকার হ’লে সে কি অপরাধী হিসাবে গণ্য হবে?
আরও
আরও
.