উত্তর : যারা
কবরে শান্তিতে থাকবেন, তারা ক্বিয়ামতের দিন হিসাবের পরেও জান্নাতে প্রবেশ
করবেন ইনশাআল্লাহ। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আখেরাতের মনযিলসমূহের মধ্যে
প্রথম মনযিল হ’ল কবর। যদি কেউ এখানে মুক্তি পায়, তবে তার জন্য পরবর্তী
মনযিল সমূহে মুক্তি পাওয়া সহজতর হবে। আর যদি এখানে মুক্তি না পায়, তবে তার
জন্য পরবর্তী মনযিলগুলি আরও কঠিন হয়ে যাবে’... (ইবনু মাজাহ হা/৪২৬৭; মিশকাত হা/১৩২, সনদ হাসান)।
তবে যারা বান্দার হক নষ্ট করার অপরাধে অভিযুক্ত তাদের জন্য জাহান্নামে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের উপর যুলুম করেছে সে যেন আজই তার থেকে মাফ নিয়ে নেয়, তার ভাই তার কাছ থেকে এর জন্য নেকী কেটে নেওয়ার পূর্বে। কেননা সেখানে (হাশরের ময়দানে) কোন দীনার বা দিরহাম পাওয়া যাবে না। তার কাছে যদি নেকী না থাকে তবে তার (মযলূম) ভাইয়ের গোনাহ তার উপর ছুঁড়ে মারা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে (বুখারী হা/৬৫৩৪; মুসলিম হা/২৫৮১; মিশকাত হা/৫১২৭)। তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা কি জানো, নিঃস্ব কে? ছাহাবায়ে কেরাম বললেন, আমাদের মধ্যে যার টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত নেই, সে-ই নিঃস্ব। তিনি বললেন, ক্বিয়ামতের দিন আমার উম্মতের মধ্যে ঐ ব্যক্তি নিঃস্ব হবে, যে ব্যক্তি দুনিয়া থেকে ছালাত-ছিয়াম ও যাকাত আদায় করে আসবে। কিন্তু সাথে সাথে সেসব লোকদেরকেও নিয়ে আসবে, যাদেরকে সে গালি দিয়েছে, কারু বিরুদ্ধে অপবাদ রটিয়েছে, কারো সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, কাউকে হত্যা করেছে এবং কাউকে প্রহার করেছে। এসব ব্যক্তিদেরকে তার নেকীগুলি দিয়ে কাফফারা দেওয়া হবে। অতঃপর যখন তার নেকী শেষ হয়ে যাবে অথচ পাওনাদারদের পাওনা তখনো বাকী থাকবে, তখন পাওনাদারদের গোনাহ তার উপর নিক্ষেপ করা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে’ (মুসলিম হা/২৫৮১; মিশকাত হা/৫১২৭)।