উত্তর :
বর্ণনামতে পিতা-মাতা ও ভাইয়েরা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে যদি ভাইয়ের অবদান
অস্বীকার করে এবং যুলুম করে, তাহ’লে তারা কবীরা গুনাহগার হবে। এক্ষেত্রে
উক্ত প্রবাসী ভাই সমাজ নেতাদের সহায়তা নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নিবেন।
অথবা প্রচলিত আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। অথবা তাদের বিচারের ভার আল্লাহর উপর
ছেড়ে দিবেন ও তাদের হেদায়াতের জন্য আল্লাহর নিকট দো‘আ করবেন।
উল্লেখ্য যে, প্রত্যেকের আয়-রোযগার তার নিজস্ব। আল্লাহ বলেন, ‘মানুষ সেটুকুই পায়, যেটুকুর জন্য সে চেষ্টা করে’ (নাজম ৫৩/৩৯)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অপর মুসলিমের উপর হারাম হ’ল তার রক্ত, তার তার সম্পদ ও তার সম্মান’ (মুসলিম হা/২৫৬৪; মিশকাত হা/৪৯৫৯)। তিনি বলেন, ‘কোন ব্যক্তির সম্পদ তার ভাই-এর জন্য হালাল নয়, যতক্ষণ না সে তাকে খুশী মনে তা প্রদান করে। আর তোমরা যুলুম করো না’...(বায়হাক্বী হা/১১৩০৪; ইরওয়া হা/১৪৫৯-এর আলোচনা ১/২৮১, সনদ হাসান)। যেহেতু ‘সন্তান তার পিতার পবিত্রতম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত (তিরমিযী হা/১৩৫৮ প্রভৃতি; মিশকাত হা/২৭৭০), সেহেতু তিনি সন্তানের উপার্জন থেকে নিজের প্রয়োজন মত নিতে পারেন। কিন্তু সেটি অন্য সন্তানকে দিতে পারেন না, যদি না সম্পদের মালিক খুশী মনে অনুমতি দেন।
বর্তমান কালে প্রায়শই প্রবাসীদের ওপর তাদের পরিবারের সদস্যরা অর্থ-সম্পদ প্রেরণের জন্য যে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করেন, তা নিতান্তই অন্যায়। এমন কর্ম থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক।