উত্তর : উক্ত বক্তব্যের কোন সত্যতা নেই। বরং পৃথিবীর যে প্রান্তে নিয়ে গিয়ে পান করবে সেখানেই এর বরকত লাভ করবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৭/২৯৯)। উল্লেখ্য যে, যমযমের পানি পানের নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যমযমের পানি যে উপকার লাভের আশায় পান করা হবে, তা অর্জিত হবে’ (ইবনু মাজাহ হা/৩০৬২)। ছাহাবায়ে কেরাম যমযমের পানি বহন করতেন। কেউ অসুস্থ হ’লে তার শরীরে পানি ছিটিয়ে দেওয়া হ’ত এবং তাকে পান করানো হ’ত (ছহীহাহ হা/৮৮৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই তা (যমযমের পানি) বরকতপূর্ণ। তা তৃপ্তিকর খাদ্য এবং রোগনিরাময়ের ঔষধ (ছহীহুল জামে‘ হা/২৪৩৫)। তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর বুকে সর্বশ্রেষ্ঠ পানি হ’ল যমযমের পানি। তাতে রয়েছে তৃপ্তিকর খাদ্য এবং ব্যাধির আরোগ্য (ছহীহুল জামে‘ হা/৩৩২২)। তিনি আরও বলেন, যমযমের পানি যে উদ্দেশ্যে পান করা হবে, সেই উদ্দেশ্য পূরণ হবে। তুমি যদি সুস্থতার জন্য পান কর তাহ’লে আল্লাহ তোমাকে সুস্থ করবেন। তুমি ক্ষুধা নিবারণের জন্য পান করলে আল্লাহ তোমার ক্ষুধা নিবারণ করবেন। তুমি পিপাসা দূর করার জন্য পান করলে আল্লাহ তোমার পিপাসা দূর করবেন (ছহীহুত তারগীব হা/১১৬৪)।
প্রশ্নকারী : ইহসানুল্লাহ, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।