উত্তর :
এই বাক্য দ্বারা ইবাদতের সর্বোচ্চ খুশূ-খুযূ‘ অবস্থার দিকে ইঙ্গিত করা
হয়েছে। আয়নী বলেন, ‘ইহসান’ বলতে তোমার ঐ ইবাদতকে বুঝায়, যে ইবাদতরত অবস্থায়
তুমি যেন তোমার প্রভুকে দেখতে পাচ্ছ’। যদি এতটা উঁচু স্তরে না উঠতে পার,
তবে এ বিশ্বাস রাখ যে, আল্লাহ তোমার সবকিছু দেখছেন এবং তুমি সর্বদা তোমার
প্রভুর চোখের সম্মুখে রয়েছ। ঠিক যেমন মনিবের সম্মুখে গোলাম সদা সন্ত্রস্ত ও
সতর্কভাবে এবং গভীর মনোযোগ সহকারে কাজ করে থাকে’। এর অর্থ এটা নয় যে,
মা‘রেফাতের নামে ছূফীদের আবিষ্কৃত ১০ লতীফায় যিকর করে ‘ফানা ফিল্লাহ’ হয়ে
যেতে হবে। অতঃপর আল্লাহর ভালবাসার নামে আব্দ ও মা‘বূদের পার্থক্য ঘুচিয়ে
‘আল্লাহ তা‘আলার আকৃতিমুক্ত সঙ্গ লাভ করে’ তাঁর অস্তিত্বে বিলীন হয়ে যেতে
হবে। হুলূল ও ইত্তেহাদের এই অদ্বৈতবাদী ও সর্বেশ্বরবাদী দর্শন সম্পূর্ণরূপে
কুফরী আক্বীদা। এ থেকে অবশ্যই তওবা করতে হবে।