উত্তর : এটি ক্বিয়ামতের আলামতসমূহের অন্যতম, যা এখনও প্রকাশিত হয়নি। আব্দুল্লাহ ইবনুল হারিছ ইবনু নাওফাল (রহঃ) বলেন, আমি উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)-এর সাথে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় তিনি বললেন, মানুষ বিভিন্নভাবে দুনিয়াবী সম্পদ উপার্জনে ব্যস্ত থাকবে। আমি বললাম, হ্যাঁ, ঠিকই। তখন তিনি বললেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, শীঘ্রই ফোরাত নদী তার গর্ভস্থিত স্বর্ণ পাহাড় বের করে দিবে। এ কথা শুনামাত্রই লোকজন সেদিকে ছুটে যাবে। তখন সেখানকার লোকেরা বলবে, আমরা যদি লোকদেরকে ছেড়ে দেই, তবে তারা সবকিছুই নিয়ে যাবে। ফলে তারা পরস্পরে যুদ্ধে লিপ্ত হবে এবং এতে প্রতি একশ’-র মধ্যে নিরানববই জনই নিহত হবে’ (মুসলিম হা/২৮৯৫; আহমাদ হা/২১২৯৭; মিশকাত হা/৫৪৪৩)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, প্রত্যেকে বলবে, আমি এ যুদ্ধে বেঁচে যাব এবং স্বর্ণের পাহাড়টি দখল করে নেব (মুসলিম হা/২৮৯৪; মিশকাত হা/৫৪৪৩)

প্রথম হাদীছে ‘কানযুম মিনায যাহাব’ বলা হয়েছে, যার অর্থ ‘লুক্কায়িত স্বর্ণভান্ডার’। এতে প্রকাশিত হওয়ার পূর্বের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় হাদীছে বলা হয়েছে ‘জাবালুম মিনায যাহাব’ অর্থ ‘স্বর্ণের পাহাড়’। এতে প্রকাশিত হওয়ার পরের অবস্থাকে বুঝানো হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) আরেক বর্ণনায় হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, ‘সে সময় যারা উপস্থিত থাকবে তারা যেন তা (স্বর্ণ) থেকে কিছুই গ্রহণ না করে’ (বুখারী হা/৭১১৯; মুসলিম হা/২৮৯৪; মিশকাত হা/৫৪৪২)। কারণ সেখানে পৌঁছতে হ’লে তার নিজের জন্য এবং অপরের জন্য সমূহ ক্ষতির আশংকা রয়েছে (দলীলুল ফালেহীন ৮/৬৪৫; ফাৎহুল বারী ১৩/৮১)






প্রশ্ন (১৫/১৩৫) : অনেক হাদীছের শেষে সনদ যঈফ লেখা সত্ত্বেও বলা হয় যে, তবে হাদীছটির একাধিক শাওয়াহেদ ও মুতাবা‘আত থাকার কারণে এটি ছহীহ। এর ব্যাখ্যা কি? - -কামরুল ইসলাম, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ।
প্রশ্ন (১১/৪১১) : প্রত্যেক ওযূ শেষে লজ্জাস্থানে পানি ছিটানো নারী-পুরুষ সকলের জন্য যরূরী কি? - নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৪/৫৪) : ঋতু বন্ধ করার জন্য ঔষধ ব্যবহারে শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (৩২/৭২) : আমি যে বিল্ডিং-এ থাকি সে বিল্ডিং-এ অনেকেই কুকুর পোষে। আর বিল্ডিং-এর ওয়াশিং মেশিনে সবাই কাপড় ওয়াশ করে। আমি যতটুকু জানি কুকুরগুলো তাদের মালিকের কাপড়ে কামড় দেয় অথবা লালা ফেলে বা চাটে। প্রশ্ন হচ্ছে- আমি কি সেই ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ওয়াশ করাতে পারব?
প্রশ্ন (২৫/৬৫) : ঈদুল আযহার ছালাতের সময় শেষ রাক‘আতে ইমাম ছাহেব সিজদা দিতে ভুল করার পর পুনরায় সিজদা দিয়ে শেষে সহো সিজদা দিয়েছেন। কিন্তু অনেকেই বলছে ছালাত পুনরায় আদায় করতে হবে। এক্ষণে করণীয় কি? - -দাঊদ হোসাইনবোয়ালমারী, ফরিদপুর।
প্রশ্ন (৪/৩৬৪) : কোন কোন পরিস্থিতিতে একজনের ছিয়াম অন্যজন রেখে দিতে পারবে?
প্রশ্ন (১৫/১৭৫) : আমি একটি সরকারী প্রজেক্টে কাজ করি। বাচ্চাদের নাশতা প্রদান করতে হয়। নির্ধারিত সংখ্যায় নাশতা তৈরি করতে হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে বাচ্চাদের অনুপস্থিতির কারণে নাশতা থেকে যায়। সেগুলি পরে আর দেয়া সম্ভব হয় না, তাই সেগুলো আমি বাড়িতে নিয়ে যাই, এটা কি আমার জন্য জায়েয হবে?
প্রশ্ন (১৮/২৫৮) : আমি যে এলাকায় ব্যবসা করি, সেখানকার মানুষ কুকুর ও শূকর কেটে খায়। এমনকি আমি যে বাসায় থাকি তারাও খায়। তারা যে টিউবওয়েল-বাথরুম ব্যবহার করে আমিও সেগুলি ব্যবহার করি। এমনকি যখন ব্যবসা করি তখন তারা রক্ত মাখা হাতেই টাকা বের করে দেয়। এখন আমার প্রশ্ন, এরূপ পরিবেশে ব্যবসা করা জায়েয হবে কি? - -সোহেল রানা, ধুলিয়ান, ভারত।
প্রশ্ন (৩৮/১৯৮) : মাথা মাসাহ করার পর ঘাড় মাসাহ করতে হবে কি? এ বিষয়ে দলীল সহ জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩০/৪৭০) : তাসবীহ-তাহলীল, কুরআন তেলাওয়াত ও ছালাতের মত ইবাদতগুলোতে যে পরিমাণ তৃপ্তি পাই, মসজিদ-মাদ্রাসায় দান করার মাধ্যমে সেরকম কোন তৃপ্তি পাই না। অথচ দান করার মধ্যেও প্রভূত নেকী আছে। এক্ষণে নেকীর কাজে তৃপ্তি পাওয়া মূখ্য হবে, না ছওয়াব অর্জনই মূখ্য হিসাবে গণ্য করতে হবে?
প্রশ্ন (১/৩২১) জনৈক আলেম বলেন, সকলে একত্রিত ইফতার করা বিদ‘আতের অন্তর্ভুক্ত। এব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত কি?
প্রশ্ন (১৬/৪৫৬) : জারজ সন্তান যদি কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী ছালাত আদায় করে তাহলে তার সাথে চলাফেরা করা এবং তার মৃত্যুর পর জানাযায় শরীক হওয়া যাবে কি?
আরও
আরও
.