উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মুসলমান যদি জুম‘আর দিনে বা রাতে মারা যায়, আল্লাহ তাকে কবরের ফিৎনা হ’তে রক্ষা করেন’ (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৬৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৭৭৩)। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা এ দিনের বরকতে মুমিন ব্যক্তিদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তাকে কবরের ফিৎনা তথা আযাব থেকে রক্ষা করবেন ইনশাআল্লাহ (মির‘আতুল মাফাতীহ ৪/৪৪০)।
উক্ত হাদীছটি শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হওয়ার কারণে
‘হাসান’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তবে শায়খ শু‘আইব আরনাঊত্ব ও হুসাইন সালীম
আসাদ বলেন, হাদীছটির শাহেদ থাকলেও সেগুলো এমন শক্তিশালী নয়, যা হাদীছের
সনদকে ছহীহ বা হাসানের পর্যায়ে উন্নীত করবে। অতএব হাদীছটি যঈফ (তাহকীক মুসনাদে আহমাদ হা/৬৫৮২; তাহকীক মুসনাদে আবু ইয়া‘লা হা/৪১১৩)। ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) এ বিষয়ে বর্ণিত হাদীছ সমূহকে যঈফ বলেছেন (ফাৎহুল বারী ৩/১৯৬, ২৫৩)।
এছাড়া কোন ছাহাবী শুক্রবারে মৃত্যুর জন্য আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন বলেও
কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং আবুবকর (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর দিন তথা
সোমবারে মৃত্যুর জন্য আকাঙ্ক্ষা করেছেন (বুখারী হা/১৩৮৭)।
মোদ্দাকথা এরূপ গায়েবের বিষয় ত্রুটিপূর্ণ দলীল দ্বারা সাব্যস্ত না করাই
উত্তম হবে। অনুরূপভাবে রামাযানে মারা গেলে বিশেষ কোন মর্যাদার ব্যাপারে কোন
দলীল নেই। তবে আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় যেকোন মাসে ছিয়ামরত অবস্থায় মারা
গেলে রাসূল (ছাঃ) তাকে জান্নাতী বলে আখ্যায়িত করেছেন (আহমাদ হা/২৩৩৭২; ছহীহুত তারগীব হা/৯৮৫)।
প্রশ্নকারী : নাহিদ হাসান, মোহনপুর, রাজশাহী।