
উত্তর : এগুলি তাওয়াক্কুল বিরোধী নয়। বরং চিকিৎসা নেওয়াই শরী‘আতের নির্দেশ। তবে ঔষধ বা ডাক্তারকে আরোগ্যদানকারী মনে করলে শিরক হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা চিকিৎসা করাও। তবে হারাম বস্ত্ত দিয়ে করো না’ (আহমাদ হা/১২৬১৮; ছহীহুল জামে‘ হা/১৭৫৪; মিশকাত হা/৪৫৩৮)। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে ৭টি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন বিষ এবং জাদু তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪১৯০)। এ হাদীছ প্রমাণ করে যে, রোগ আসার পূর্বেই প্রতিষেধক নেওয়া যাবে (আব্দুল্লাহ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৬/২১)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ এমন কোন রোগ নাযিল করেননি যার প্রতিষেধক সৃষ্টি করেননি। যারা এবিষয়ে জ্ঞান অর্জন করার তারা করল। আর যারা অজ্ঞ থাকার তারা অজ্ঞই থাকল (আহমাদ হা/৩৫৭৮; ছহীহাহ হা/৪৫১, ১৬৫০)। তিনি আরো বললেন, ‘প্রত্যেক রোগের ঔষধ রয়েছে। যখন সেটা পৌঁছে যায়, তখন সে রোগমুক্ত হয় আল্লাহর হুকুমে (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫১৫)। তাই যাবতীয় কল্যাণ বা অকল্যাণ সংঘটিত হয় আল্লাহর হুকুমে। এরূপ আক্বীদা পোষণ করে যাবতীয় হালাল চিকিৎসা বা প্রতিষেধক গ্রহণে শরী‘আতে কোন বাধা নেই।