উত্তর :
কোন খাদ্য ও পানীয়তে কম-বেশী যা-ই থাক না কেন, অ্যালকোহল অর্থাৎ নেশাদার
দ্রব্য মিশ্রিত থাকলে তা গ্রহণ করা সম্পূর্ণ হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)
বলেন, ‘মাদকতা আনয়নকারী প্রত্যেক বস্ত্তই মদ এবং প্রতিটি মাদকদ্রব্য হারাম’
(মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৩৮)। অন্য হাদীছে এসেছে, ‘যার বেশী পরিমাণে মাদকতা আসে, তার কম পরিমাণও হারাম’ (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩৬৪৫, সনদ ছহীহ)।
বিভিন্ন সংবাদসূত্রে প্রকাশ, সকল প্রকার এনার্জি ড্রিংক্সসহ অধিকাংশ কোমল
পানীয়তে এ্যালকোহল মিশ্রিত থাকে। সম্প্রতি ফ্রান্সের একটি গবেষণা
প্রতিষ্ঠান প্রকাশ করেছে যে, জনপ্রিয় দু’টি কোমল পানীয় কোকাকোলা ও পেপসিতে
প্রতি লিটারে অন্ততঃ ১০ মিলিগ্রাম এ্যালকোহল রয়েছে (প্রেস টিভি নিউজ, ৩০ জুন’১২)।
এছাড়া কোমল পানীয়ের মূল উপাদানে শুকরের চর্বির মিশ্রণ রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞ
মহলের অভিমত। এতে শরীরের জন্য ক্ষতিকর নানা উপাদানও বিদ্যমান। যেমন কোকো,
ক্যাফেইন, কীটনাশক, কার্বন ডাই-অক্সাইড, উচ্চমাত্রার এসিড প্রভৃতি, যা
মানুষের কিডনী, দাঁত, হাড়সহ স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। এজন্য বিশ্বের
বিভিন্ন স্থানে এ সকল কোমল পানীয় নামক সোডা ওয়াটার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সুতরাং তৈরীর মূল উপাদানসমূহ সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে এ সকল পানীয় পান করা
যাবে না। সর্বোপরি সন্দেহজনক বস্ত্ত থেকে দূরে থাকা আবশ্যক। রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) বলেন, হালাল স্পষ্ট, হারাম স্পষ্ট। এর মাঝে একটি সন্দেহযুক্ত জিনিস
রয়েছে যা হারাম (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬২)।