উত্তর :
প্রথমতঃ ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) সম্পর্কে এরূপ ভিত্তিহীন ঘটনা উল্লেখ করে
তাঁকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। কেননা তাঁর থেকে এরূপ কোন কিছুই বিশ্বস্ত
সূত্রে প্রমাণিত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কাউকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে কঠোরভাবে
নিষেধ করেছেন (ইবনু মাজাহ হা/৩০২৯; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১২৮৩)। এমনকি রাসূল (ছাঃ)-এর নিজের ব্যাপারেও অতিরঞ্জন করা নিষিদ্ধ (বুখারী হা/৩৪৪৫; মিশকাত হা/৪৮৯৭)।
দ্বিতীয়তঃ কাশ্ফ অর্থ আল্লাহ কর্তৃক তার কোন বান্দার নিকট অহী মারফত এমন
কিছুর জ্ঞান প্রকাশ করা যা অন্যের নিকট অপ্রকাশিত। আর এটি একমাত্র
নবী-রাসূলগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘তিনি অদৃশ্য জ্ঞানের
অধিকারী। তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারু নিকট প্রকাশ করেন না’। ‘তাঁর
মনোনীত রাসূল ব্যতীত। তিনি তার (অহীর) সম্মুখে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত
করেন’ (জিন ৭২/২৬-২৭)। এখানে ‘রাসূল’ বলতে জিবরীল ও নবী-রাসূলগণকে
বুঝানো হয়েছে। তবে কখনও কখনও রীতি বহির্ভূতভাবে অন্য কারু নিকট থেকে
অলৈাকিক কিছু ঘটতে পারে বা প্রকাশিত হতে পারে। যেমন ছাহাবী ও তাবেঈগণ থেকে
হয়েছে। অতএব এরূপ যদি কোন মুমিন থেকে হয়, তবে সেটা হবে কারামত, অর্থাৎ
আল্লাহ্ তাকে এর দ্বারা সম্মানিত করেছেন। আর যদি কাফির থেকে ঘটে, তবে সেটা
হবে ফিৎনা। অর্থাৎ এর দ্বারা আল্লাহ তার পরীক্ষা নিচ্ছেন যে, সে তার কুফরী
বৃদ্ধি করবে, না তওবা করে ফিরে আসবে। কারামাত শরী‘আতের কোন দলীল নয় এবং
আল্লাহর অলী হওয়ার কোন নিদর্শনও নয়। বস্ত্ততঃ মুসলমানদের জন্য অনুসরণীয়
দলীল হ’ল কুরআন ও সুন্নাহ। অন্য কিছু নয়।