উত্তর : এতে দোষের কিছু নেই। আবু মূসা আশ‘আরী সর্বপ্রথম বছরার জামে‘ মসজিদে ওমর (রাঃ)-এর প্রশংসা করে খুৎবা প্রদান করলে যাববাহ বিন মিহছান প্রতিবাদ করে বলেন, আপনি কেবল ওমরের জন্য দো‘আ করলেন অথচ তাঁর সাথীর জন্য করলেন না। এক সময় ওমর (রাঃ) বিষয়টি জানতে পেরে আবু মূসাকে ভৎর্সনা করে বলেন, আবুবকর (রাঃ)-এর একটি রাত (ছওর গুহায় রাসূল ছাঃ-এর সাথে কাটানো রাত) ও একটি দিন (রাসূল ছাঃ-এর মৃত্যুর পর যে দিন তিনি মুরতাদদের বিরুদ্ধে জিহাদের ঘোষণা দিয়েছিলেন) ওমর এবং তার পরিবার অপেক্ষা উত্তম... (মিনহাজুস সুন্নাহ ৪/১৫৬, মুসনাদুল ফারূক হা/৯৭০, ইবনে কাছীর বলেন, এই সনদে দুর্বলতা থাকলেও এর সপক্ষে শাওয়াহেদ রয়েছে)

ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, কথিত আছে যে, উমাইয়াদের কেউ কেউ যখন আলী (রাঃ)-কে গালি দিতে শুরু করে, তখন ওমর বিন আব্দুল আযীয (রহঃ) এই মন্দ প্রচলনের বিপরীতে সর্বপ্রথম খুৎবায় চার খলীফার প্রশংসা এবং তাদের ফযীলত বর্ণনা করা শুরু করেন। এছাড়া খারেজীরা ওছমান ও আলী (রাঃ)-কে কাফের আখ্যা দেয় এবং রাফেযী শী‘আরা প্রথম তিন খলীফাকেই কাফের মনে করে। তাই খুৎবার মধ্যে চার খলীফার প্রশংসা এবং তাদের ফযীলত বর্ণনা করার মাধ্যমে তাদেরও প্রতিবাদ হয়ে যায় (মিনহাজুস সুন্নাহ ৪/১৫৬-১৬৪)

এটি ছাহাবীদের যুগের আমল। খুৎবার মধ্যে তাদেরকে উল্লেখ করার মাধ্যমে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের পক্ষ থেকে ভ্রান্ত আক্বীদার অনুসারীদের প্রতিবাদ করা হয়েছিল। তাঁদের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করা হয়েছিল প্রতিবাদের উদ্দেশ্যেই। তারই ধারাবাহিকতায় বহু মসজিদে তাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়ে থাকে। তৎকালীন সময়ে এর মাধ্যমে এ বার্তা দেয়া হ’ত যে, তাদের সম্পর্কে মন্দ ধারণা বা আক্বীদা পোষণ করার কোন সুযোগ নেই। তারা উম্মতে মুহাম্মাদীর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। অতএব খুৎবার মধ্যে তাদের নাম উল্লে­খ করাটা বিদ‘আতও নয়, ওয়াজিবও নয় (ছালেহ ফাওযান আল-ফাওযান, আল-মুনতাক্বা ৬৫/২৫)






প্রশ্ন (৩৪/৩১৪) : জনৈক আলেম বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করে বুকে ফুঁক দিলে সেই বুক জাহান্নামে যাবে না। এর কোন সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (১৯/২১৯) : প্রখর রৌদ্রের কারণে ঈদের মাঠে সামিয়ানা টানানো যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৫/৭৫) : হায়েয অবস্থায় নারীরা ‘খোলা’ চাইতে পারবে কি?
প্রশ্ন (১৭/৫৭) : ইস্রাঈলী বর্ণনা সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হওয়া উচিৎ?
প্রশ্ন (৪০/২৮০) : পায়ুপথ দিয়ে কৃমি বের হলে ওযূ ভঙ্গ হবে কি? - -ডা. মাহবূব, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৫/২৯৫) : ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে তা পরিশোধ হওয়ার আগ পর্যন্ত মাইয়েত কষ্ট পাবে কি? এছাড়া তার সন্তানেরা যদি দাতার নিকট এক বছরের অবকাশ নিয়ে থাকে তাহ’লে কি মাইয়েত কবরের আযাব থেকে অবকাশ পাবে?
প্রশ্ন (৪০/২৮০) : কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেফার করার জন্য ডাক্তারকে যদি কমিশন দেওয়া হয়, তবে তা ঘুষের অন্তর্ভুক্ত হবে কি?
প্রশ্ন (৩০/২৭০) : জেহরী ছালাত তথা ফজর, মাগরিব ও এশার ছালাতে মুক্তাদী সূরা ফাতিহা পাঠ করবে কি? - মাহদী হাসান রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৪০/৪৮০) : হজ্জকারী ব্যক্তির নামের শুরুতে ‘আলহাজ্জ’ বা ‘হাজী’ লেখা হয় কেন? এগুলো লেখা যাবে কি? - -আব্দুল্লাহ, কানসাট, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (৩৭/৭৭) : মক্কা থেকে ওমরা করার ক্ষেত্রে কি মসজিদে আয়েশায় যেতে হবে, না নিজ গৃহ থেকে বের হলেই যথেষ্ট হবে?
প্রশ্ন (১৬/৪৫৬) : আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, যে অন্য কারো নিয়ম-নীতি অনুসরণ করতে চায় সে যেন মৃত সৎ ব্যক্তিদের অনুসরণ করে’ উক্ত মর্মে বর্ণিত আছারটির বিশুদ্ধতা জানতে চাই। - -কিতাবুদ্দীন, পুরাতন সি এ্যান্ড বি ঘাট, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (২৭/৬৭) : শায়েখ আলবানী (রহঃ) তামামুল মিন্নাহ গ্রন্থে ফজরের ২য় আযানে ‘আছ-ছালাতু খায়রুম মিনান নাওম’ বলাকে বিদ‘আত বা সুন্নাত বিরোধী বলেছেন। এটা কি সঠিক?
আরও
আরও
.