উত্তর : ৪৪ পৃষ্ঠার উক্ত বইটি আমাদের কাছে পৌঁছেছে। গালি-গালাজের বিষয়টি আমরা এড়িয়ে যাচ্ছি এবং আল্লাহর উপর ছেড়ে দিচ্ছি। বইয়ে বর্ণিত প্রমাণগুলি অতীব ভ্রমাত্মক। কেননা প্রচলিত মীলাদের আবিষ্কারই হয়েছে ৬০৫ মতান্তরে ৬২৫ হিজরীতে। যা বিদ‘আত হওয়ার ব্যাপারে চার মাযহাবের প্রায় সকল বিদ্বান একমত। এমনকি উপমহাদেশের মুজাদ্দিদে আলফে ছানী, আল্লামা হায়াত সিন্ধী, রশীদ আহমাদ গাংগোহী, আশরাফ আলী থানভী, মাহমূদুল হাসান দেউবন্দী, আহমাদ আলী সাহারানপুরী প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম সকলে এক বাক্যে প্রচলিত মীলাদ অনুষ্ঠানকে বিদ‘আত ও গুনাহের কাজ বলেছেন। সেখানে বর্তমান যুগের কিছু লোক মীলাদকে প্রকারান্তরে ফরয (?) প্রমাণ করার জন্য গলদঘর্ম হচ্ছেন। যেমন উক্ত বইয়ে কুরআন থেকে মীলাদের পক্ষে ৮টি ও কিয়ামের পক্ষে ৪টি আয়াত ও আয়াতাংশ পেশ করা হয়েছে। যথাক্রমে মীলাদের পক্ষে ৩/১৬৪, ৩৩/৯, ৯৩/১১, ৯/১২৮, ৯৪/৪, ৬১/৬, ১০/৫৮ এবং কিয়ামের পক্ষে ৪৮/৯, ৯৪/৪, ৩/১৯১, ২/১১৪। এছাড়াও তিনি প্রমাণ পেশ করতে চেয়েছেন যে, (১) ফেরেশতাগণ (২) পূর্বের নবী-রাসূলগণ (৩) আমাদের নবী স্বয়ং (৪) খুলাফায়ে রাশেদীন (৫) ছাহাবায়ে কেরাম এবং (৬) ইমাম ও মুজতাহিদগণ সকলে মীলাদ করেছেন বা তার পক্ষে ফৎওয়া দিয়েছেন।

বস্ত্ততঃ এগুলি সবই কুরআন ও হাদীছের অপব্যাখ্যা বৈ কিছুই নয়। রাসূল (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদীনের জীবনীই বড় প্রমাণ যে, সেযুগে মীলাদ-কিয়ামের কোন অস্তিত্ব ছিল না। ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীগণের সময়ে যেসব বিষয় ‘দ্বীন’ হিসাবে গৃহীত ছিল না, বর্তমান কালেও তা ‘দ্বীন’ হিসাবে গৃহীত হবে না। যে ব্যক্তি ধর্মের নামে ইসলামে কোন নতুন প্রথা চালু করল, অতঃপর তাকে ভাল কাজ বা ‘বিদ‘আতে হাসানাহ’ বলে রায় দিল, সে ধারণা করে নিল যে, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) স্বীয় রিসালাতের দায়িত্ব পালনে খেয়ানত করেছেন’ (আল-ইনছাফ, পৃঃ ৩২)।  






প্রশ্ন (৩/১২৩) : ক্রোধ নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব ও এর সুফল সম্পর্কে কুরআন ও হাদীছ থেকে জানতে চাই। - -মামূনুর রশীদ, কক্সবাজার।
প্রশ্ন (৫/৩২৫) ‘বিদ্বানের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে উত্তম’ বক্তব্যটির কোন ভিত্তি আছে কি?
প্রশ্ন (৩/৮৩) : ইমাম ছাহেব জুম‘আ ব্যতীত অন্য ওয়াক্তে মসজিদে কোন সুৎরা ছাড়াই সামনে এক কাতার স্থান খালি রেখে ইমামতি করেন। এটা জায়েয হবে কি? - -হারূনুর রশীদ, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন (৬/৩৪৬) : একটি মসজিদের আযানের মাইকে জুম‘আর খুৎবা ও ক্বিরাআত করা হয়। ফলে ২০০ গজের মধ্যে বাজারের ব্যবসায়ীরা স্ব স্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে খুৎবা শ্রবণ ও ছালাত আদায় করে। এক্ষণে মসজিদেরই মাইক ইচ্ছামত সম্প্রসারণ করে খুৎবা ও ছালাত শোনানো জায়েয হবে কি? আর নিজ নিজ দোকানে বসে ছালাত আদায় করলে জুম‘আর ছালাতে অংশগ্রহণের নেকী পাওয়া যাবে কি? - -ডা. মুহসিন, হাটগাঙ্গোপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৮/৩৬৮) : যে ব্যক্তি মসজিদে দুনিয়াবী কথা বলবে তার ৪০ বছরের ইবাদত নষ্ট হয়ে যাবে। উক্ত হাদীছের সত্যতা সম্পর্কে জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২০/৪৬০) : যাকাতের টাকা ইসলাম প্রচারের কাজে ব্যয় করা যাবে কি? যেমন ইসলামিক সিডি, বই, ক্যাসেট ইত্যাদি কিনে বিতরণ করা হয়।
প্রশ্ন (৫/৪৫) : ইমামের খুৎবা চলাকালীন কোন ফযীলতপূর্ণ বা বিস্ময়কর বর্ণনা শুনলে সরবে ‘সুবহানাল্লাহ’ বা ‘আলহামদুলিল্লাহ’ পাঠ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৯/৯) : মসজিদে জমি দানকারীর নাম লেখা যাবে কি? - -রেযাউল করীম, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (১৭/৪৫৭) : আমি আমার ব্যবসার টাকা অন্য কারো ব্যবসার প্রয়োজনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। অতঃপর সে নেওয়ার সময় উক্ত টাকা দিয়ে ব্যবসায় যে লাভ হবে তার অনির্ধারিত কিছু লভ্যাংশ দিতে চায়। উক্ত লাভ গ্রহণ করা জায়েয হবে কি? - -মনোয়ার হোসাইন, পুরানা পল্টন, ঢাকা।
প্রশ্ন (২৭/১০৭) : ছালাতে বুকের উপর হাত বাঁধার ক্ষেত্রে কেউ কনুই পর্যন্ত পুরো হাত অপর হাতের উপর রাখে। আবার কেউ হাতের তালু অপর হাতের তালুর উপর রাখে। এক্ষণে হাত বাঁধার সঠিক নিয়ম কি? - -আব্দুল ক্বাইয়ূম, সাভার, ঢাকা।
প্রশ্ন (১০/২৫০) : ক্বিয়ামতের দিন উম্মতে মুহাম্মাদীকে চিনা যাবে তাদের ওযূর চিহ্ন দেখে। কিন্তু পূর্ববর্তী নবীদের উম্মতকে কিভাবে চেনা যাবে বা নবীগণ কীভাবে তাদের উম্মতকে চিনবেন? - - হাসীনুর রহমান, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট।
প্রশ্ন (১৭/১৭) : অনেক বই-পত্রে দেখা যায় আরবী লেখা আছে। তাতে আল্লাহর নাম বা কুরআনের আয়াতও থাকে। সেগুলোর প্রয়োজন না থাকলে পুড়িয়ে ফেলা যাবে কী?
আরও
আরও
.