উত্তর : হাদীছটির সকল সূত্র যঈফ মিশকাতে (হা/১৩০৬ ‘রামাযানে রাত্রি জাগরণ’ অনুচ্ছেদ) শায়খ আলবানী (রহঃ) হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন। অতঃপর বলেন, তবে হাদীছটি আমার নিকটে ‘শক্তিশালী’ (قوى) এ কারণে যে, এর সমার্থক (শাওয়াহেদ) কিছু হাদীছ রয়েছে। উক্ত সমার্থক বর্ণনাগুলি তিনি সিলসিলা ছহীহাহ হা/১১৪৪ ও ১৫৬৩-তে এনেছেন। যার সংখ্যা ৭টি। যার সবগুলিই তাঁর তাহকীক মতে যঈফ। অতঃপর মন্তব্যে বলেন, এই সকল সূত্র সমূহের ফলে হাদীছটি ছহীহ নিঃসন্দেহে’ (ছহীহাহ হা/১১৪৪)। মুসনাদে আহমাদের ভাষ্যকার আহমাদ শাকের (১০/১২৭) ও শু‘আয়েব আরনাঊত্ব হাদীছটিকে একই কারণে ‘ছহীহ লেগায়রিহি’ বলেছেন (হা/৬৬৪২)। কিন্তু ছহীহ বলা সত্ত্বেও এ রাত উপলক্ষে বিশেষ কোন আমল করাকে শায়খ আলবানী কঠোরভাবে বিদ‘আত বলেছেন (ফাতাওয়া আলবানী (অডিও)  ক্লিপ নং ১৮৬/৬)। উক্ত যঈফ ও মওযূ হাদীছগুলির উপর ভিত্তি করে আরও অনেক বিদ্বান এই রাতের বিশেষ ফযীলত এবং এই রাতে বিশেষ ইবাদত করার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন (দ্রঃ তুহফাতুল আহওয়াযী, হা/৭৩৬-এর ব্যাখ্যা; মির‘আত হা/১৩১৪-এর ব্যাখ্যা, ৪/৩৪০-৪২; শাফেঈ, কিতাবুল উম্ম ১/২৩১; ইবনু তায়মিয়াহ, মজমূ‘ ফাতাওয়া ২৩/১৩১; ইবনু রাজাব, লাত্বাইফুল মা‘আরিফ ১/১৩৮)। এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য :

(১) হাদীছটি যঈফ এবং একই মর্মের অন্য হাদীছটি ‘মওযূ’ (যঈফাহ হা/১৪৫২) হওয়ার কারণে আমলযোগ্য নয়। (২) এরূপ হাদীছের উপর ভিত্তি করে কোন ইবাদত প্রতিষ্ঠা করা যায় না। (৩) হাদীছটি বুখারী-মুসলিম সহ বহু গ্রন্থে বর্ণিত ছহীহ হাদীছ সমূহের বিরোধী। (৪) সকল ছহীহ হাদীছে এসেছে যে, আল্লাহ প্রতি রাতের তৃতীয় প্রহরে নিম্ন আকাশে অবতরণ করেন এবং ফজর পর্যন্ত বান্দাদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আছ কি কোন আহবানকারী, আমি তার আহবানে সাড়া দেব... (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২২৩; মুসলিম হা/৭৫৮)। অথচ অত্র যঈফ হাদীছে উক্ত আহবানকে ১৫ই শা‘বানের রাতের জন্য খাছ করা হয়েছে। (৫) এই হাদীছটির সুযোগ নিয়ে বিদ‘আতীরা এই রাতে ইবাদতের নামে হাযারো রকম বিদ‘আতের সৃষ্টি করেছে। (৬) এই রাতে বা দিনে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম কোনরূপ বাড়তি ইবাদত করেননি। (৭) তাবে তাবেঈ বা অন্য বিদ্বানগণের ব্যক্তিগত কোন মতামত বা আমল উম্মতের জন্য অবশ্য পালনীয় নয়। (৮) মতভেদের সময় রাসূল (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত কঠিনভাবে অাঁকড়ে ধরার নির্দেশ রয়েছে (আবুদাঊদ, তিরমিযী প্রভৃতি, মিশকাত হা/১৬৫)। ১৫ই শা‘বান উপলক্ষে তাঁদের কোন বিশেষ আমল বা ইবাদত নেই বিধায় এ রাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কোন শারঈ কারণ নেই। (৯) রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি এমন কাজ করবে, যাতে আমাদের নির্দেশ নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’ (মুসলিম হা/১৭১৮)। আল্লাহ সর্বাধিক অবগত।






প্রশ্ন (১৩/৪১৩) : জনৈক মুফতী একটি সমাবেশে কবরের আযাবের রেকর্ডকৃত ক্রন্দনধ্বনি শুনিয়েছেন। এক্ষণে কবরের আযাব শ্রবণ করা মানুষের পক্ষে সম্ভব কী? - -সাইফুল ইসলাম, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন (৩৬/৭৬) : মালাকুল মউত তিন ব্যক্তির জান কবযের সময় ক্রন্দন করেছিলেন। তারা কারা? কথাটির সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (১/১) : কোন পাপাচারী ব্যক্তি সুন্দর স্বপ্ন দেখতে পারে কি?
প্রশ্ন (১০/১৭০) : কেউ কারো মাধ্যমে উপকৃত হ’লে তার প্রশংসায় বলে, ‘আকাশে আল্লাহ আছেন আর তুমি যমীনে’- এমন ভাষায় কারো উপকারের প্রশংসায় বলা যাবে কি?
প্রশ্ন (১১/১১) : মায়ের দিকে নেক নযরে তাকালে কবুল হজ্জের সমান নেকী পাওয়া যায়। একথার কোন সত্যতা আছে কি? - -জাহিদ হাসান রাজীবরাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৬/৪৩৬) : জনৈক নারীকে তার মা ও ভাই-বোন জোরপূর্বক বিবাহ দিয়েছিল। তিনি বিবাহের সময় সম্মতি দেননি এবং কাবিননামাতেও স্বাক্ষর করেননি। ৮ বছরের সংসারে তার ১টি সন্তান রয়েছে। বর্তমানেও তিনি উক্ত বিবাহের ব্যাপারে নারায। এক্ষণে উক্ত বিবাহ কি সঠিক হয়েছে? না হ’লে করণীয় কি? - -ফাতেমা, কারওয়ান বাজার, ঢাকা।
প্রশ্ন (২৩/১০৩) : টিভি, ইন্টারনেট তথা মিডিয়া বর্তমানে সমাজকে অশ্লীল কাজে উদ্বুদ্ধ করার প্রধানতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে এগুলি ধর্মীয় জ্ঞানার্জনেরও অন্যতম মাধ্যম। এক্ষণে এ ব্যাপারে আমাদের করণীয় কি?
প্রশ্ন (২১/৪২১) : আমি আমার প্রথম স্বামীর সাথে ২০ বছর সংসার করার পর আমাদের সংসার ভেঙ্গে যায়। সেখানে আমার একটি সন্তানও আছে। পরবর্তীতে যার সাথে আমার বিবাহ হয়, সে ১ বছরের মাথায় আমাকে ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। এরপর প্রায় ৮-১০ বছর পার হয়েছে। এক্ষণে আমি প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাইলে আমার করণীয় কি? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, পাহাড়পুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৩৫/৪৩৫) : জনৈক ব্যক্তি ছোট বেলায় পরিচিত একজনের দোকান থেকে খেলার ছলে একটি পণ্য চুরি করে পরে আর ফেরত দেয়নি। এখন ফেরত দিতে গেলে তার সাথে সম্পর্ক খারাপ হ’তে পারে। এক্ষণে তার মাফ পাওয়ার উপায় কি?
প্রশ্ন (২/২) : প্রাপ্তবয়স্ক জনৈক ছেলের নিজস্ব কোন আয় নেই। পিতার উপার্জনের বড় অংশ হারাম পদ্ধতিতে অর্জিত। এক্ষণে উক্ত ছেলের জন্য পিতার সম্পদ গ্রহণ করা জায়েয হবে কি? - -আব্দুন নূর শামীমবীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
প্রশ্ন (৬/২০৬) : আমি দীর্ঘদিন যাবত দুরারোগ্য চর্মরোগে ভুগছি। ওষুধ খেলে কখনও নিয়ন্ত্রণে আসে, কখনও আসে না। টাখনুর উপরে কাপড় পরিধান করলে চর্মরোগের স্থানগুলো বেরিয়ে আসে। ফলে ভীষণভাবে বিব্রত ও লজ্জা বোধ করি। এক্ষণে আমি যদি লজ্জার কারণে অন্তরে পাপ বোধ রেখে টাখনু ঢেকে পায়জামা পরি, তবে আমি গোনাহগার হব কি?
প্রশ্ন (৩৪/৪৩৪) : আমাদের ফাউন্ডেশন থেকে লোন দিতে চাচ্ছি ১০/২০ হাযারের মতো। এখন হিসাব করে দেখছি লোন দিতে হ’লে ৩/৪ লাখ টাকা লোন নিচ্ছে গ্রামের লোক। এখন এই লোন আদায় ও বিতরণের জন্য একজন লোক দরকার। তার সম্মানী, অফিস ভাড়া, কারেন্ট বিল, লোনের বিভিন্ন ধরনের কাগজ প্রিন্ট, ফটোকপি ইত্যাদি পরিচালনার জন্য ফী হিসাবে যারা লোন নিবে এদের কাছ থেকে কোন ফী নেওয়া যাবে কি?
আরও
আরও
.