উত্তর :
ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়া (২৭-৬৪ হিঃ) তাবেঈ ছিলেন। কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার
জন্য ইয়াযীদ দায়ী নন। এজন্য মূলতঃ দায়ী বিশ্বাসঘাতক কূফাবাসী ও নিষ্ঠুর
গভর্ণর ওবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদ নিজে। কেননা ইয়াযীদ কেবল হুসায়েন (রাঃ)-এর
আনুগত্য চেয়েছিলেন, তাঁর খুন চাননি। হুসায়েন (রাঃ) সে আনুগত্য দিতেও
প্রস্ত্তত ছিলেন। ইয়াযীদ স্বীয় পিতার অছিয়ত অনুযায়ী হুসায়েনকে সর্বদা
সম্মান করেছেন এবং তখনও করতেন। হুসায়েন (রাঃ)-এর ছিন্ন মস্তক ইয়াযীদের
সামনে রাখা হ’লে তিনি কেঁদে বলে ওঠেন, ‘ওবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদের উপর আল্লাহ
লা‘নত করুন। আল্লাহর কসম! যদি হুসায়েনের সাথে ওর রক্তের সম্পর্ক থাকত,
তাহ’লে সে কিছুতেই তাঁকে হত্যা করত না। তিনি আরো বলেন, হুসায়েনের খুন ছাড়াও
আমি ইরাকীদেরকে আমার আনুগত্যে রাযী করাতে পারতাম (ইবনু তায়মিয়া, মুখতাছার মিনহাজুস সুন্নাহ, ১/৩৫০; আল-বিদয়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৮/১৭৩)।
কূফার নেতাদের লিখিত ১৫০টি পত্র পেয়ে হুসায়েন (রাঃ) কূফায় আসলে বছরার
গভর্ণর ওবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদ কূফার গভর্ণর মুসলিম বিন আকীলকে গ্রেফতার করে
হত্যা করে। এদিকে হুসায়েন (রাঃ) প্রদত্ত তিনটি প্রস্তাবের কোনটি গ্রহণ না
করায় দুষ্টমতি ওবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদের সাথে সংঘর্ষ অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।
এতে হুসায়েন (রাঃ) সপরিবারে নিহত হন। (ইবনু হাজার, আল-ইছাবাহ ২/২৫২;
ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ৮/১৫৪, ১৭১; বিস্তারিত দ্র. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ
আল-গালিব, আশুরায়ে মুহাররম ও আমাদের করণীয়)।