ভূমিকা :বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর দৌহিত্র, চতুর্থ খলীফা আলী বিন আবু তালেব (রাঃ) ও রাসূল (ছাঃ)-এর প্রিয় কন্যা ফাতেমা (রাঃ)-এর পুত্র হোসাইন (রাঃ) ছিলেন ইসলামের অন্যতম সিপাহসালার। তিনি অত্যন্ত ইবাদতগুযার, ন্যায়পরায়ণ ছিলেন। ছাহাবী ছিলেন বাতিলের সাথে আপ
রোগশয্যায় হাসান (রাঃ) :আবুবকর ইবনু আবিদ দুনিয়া আব্দুর রহমান ইবনু সালিম আতিকী...উমায়র ইবনু ইসহাক থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, دخلتُ أنا ورجل آخر مِن قريش على الحسن بن علي، فقام فدخل إلى الخلاء، ثم خرج، فقال: لقد لفظتُ طائفةً (قطعة) مِن كَبِدي أقلبها ب
খলীফা হিসাবে হাসান (রাঃ) :আব্দুল্লাহ ইব্নু আহমাদ আবূ আলী সুওয়াইদ আল-তাহহান সাফীনা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমার পর ৩০ বছর খেলাফত ভিত্তিক শাসন অব্যাহত থাকবে’।[1] এ বাণী শুনে জনৈক শ্রোতা বলল, ঐ ৩০ বছরের মধ্যে ৬ মাস
ভূমিকা : নবী করীম (ছাঃ)-এর দৌহিত্র, ইসলামের চতুর্থ খলীফা আলী (রাঃ) ও ফাতেমা (রাঃ)-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র হাসান (রাঃ) ছিলেন স্বীয় পিতা আলী (রাঃ)-এর পরে খেলাফতের দায়িত্ব পালনকারী ছাহাবী। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ইবাদতগুযার, ন্যায়পরায়ণ ও মুত্তাক্বী-পরহেযগার এবং জান
ইসলামের প্রচার-প্রসারে ও দ্বীনের হেফাযতে যারা অমর অবদান রেখেছিলেন এবং আমলে ছালেহ করে জীবদ্দশায় জান্নাতের সুসংবাদ পেয়ে ধন্য হয়েছিলেন, উক্কাশা ইবনু মিহছান (রাঃ) ছিলেন তাদের অন্যতম। ইসলাম ও মুসলমানদেরকে রক্ষার জিহাদে জীবন বাজি রেখে যেমন তিনি যুদ্ধ করেছি
মানব সৃষ্টির আদি থেকেই এমন কিছু লোক ছিলেন যারা জীবনের সর্বস্ব ত্যাগ করে, সকল প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে আল্লাহ প্রদত্ত অহি-র বিধানকে জীবনের সর্বক্ষেত্রে মেনে চলার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। প্রয়োজনে নিজের অমূল্য জীবন কুরবানী করেছেন। যেমন প্রতাপান্বিত কাফির
ভূমিকা :জুওয়াইরিয়া (রাঃ) ছিলেন বনু মুছতালিক-এর সরদারের কন্যা। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ইবাদতগুযার ও আত্মসম্মানবোধে উজ্জীবিত এক সম্ভ্রান্ত মহিলা। তিনি তাঁর বংশের জন্য খোশনসীবের কারণ ছিলেন। তাঁর জন্যই তাঁর বংশের যুদ্ধবন্দীরা মুক্তি লাভ করেছিল। ইসলামের সুশীতল
জুওয়াইরিয়া (রাঃ)-এর স্বপ্ন :জুওয়াইরিয়া বিনতুল হারেছ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মুরাইসী‘ অভিযানের তিন দিন পূর্বে আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, চাঁদ মদীনা হ’তে কিছুটা সরে এসেছে, এমনকি আমার কক্ষে পতিত হয়েছে। এ ঘটনা আমি কাউকে জানাতে অপসন্দ করলাম। ইতিমধ্যে
নবীপত্নী ও সর্দার দুহিতা ছাফিয়া (রাঃ) ছিলেন অতীব জ্ঞানী ও বিদুষী মহিলা। ইসলাম গ্রহণের পরে দ্বীনের অনুসরণ ছিল তাঁর একমাত্র ব্রত। অতুলনীয় স্বভাব-চরিত্র ও অনুপম আচার-ব্যবহারের অধিকারী ছিলেন তিনি। বিনয় ও নম্রতা ছিল তাঁর চরিত্রের ভূষণ। রাসূলের প্রতি তার অ
ভূমিকা :নবী-রাসূলগণের পরে আল্লাহর নিকটে ছাহাবীদের মর্যাদা সর্বাধিক। বিশেষ করে ইসলামের প্রথম যুগের আনছার ও মুহাজির ছাহাবীগণ, যাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তাদের জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘মুহাজির ও আনছারগণের মধ্যে যারা অগ্রবর্তী
ভূমিকা :উম্মুল মুমিনীন যয়নাব বিনতু খুযাইমা (রাঃ) ছিলেন অতীব দানশীলা মহিলা। তিনি গরীব-দুঃখী ও দুস্থদের উদার হস্তে দান করতেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জীবদ্দশায় মৃত্যুবরণকারী উম্মুল মুমিনীনদের অন্যতম ছিলেন। তাঁর সৌভাগ্য যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বয়ং তার
ভূমিকা :নবীপত্নী উম্মুল মুমিনীন মায়মূনা বিনতুল হারেছ (রাঃ) ছিলেন বহু দুর্লভ গুণের অধিকারিণী এক বিদুষী মহিলা। ছাহাবায়ে কেরামের বিভিন্ন সমস্যায় তিনি অতি বিচক্ষণতার সাথে সমাধান দিতেন। উত্তম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, আল্লাহভীতি, দানশীলতা, ইবাদত-বন্দেগী, আল্লা
ভূমিকা :রায়হানা বিনতু শামঊন (রাঃ) বানু নাযীর বা বানু কুরাইযা গোত্রের মহিলা ছিলেন। যুদ্ধবন্দী হিসাবে তিনি রাসূলের নিকটে নীত হন। অতঃপর ইসলাম কবুল করার মাধ্যমে রাসূলের স্ত্রীদের মত মর্যাদা লাভের ঈর্ষণীয় সম্মানে ভূষিতা হন। এই মহিয়সী রমণীর সংক্ষিপ্ত জীবনী
ছাহাবায়ে কেরাম রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট থেকে সরাসরি অনেক কল্যাণকর বিষয় শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। কোন বিষয়ে তাঁদের ভুল-ত্রুটি হয়ে গেলে রাসূল (ছাঃ) তাদের ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে দিয়ে সঠিক পথ নির্দেশ করতেন, তাদের নিকটে বর্ণনা করতেন আমলের যথার্থ পদ্ধতি। আল্লাহর ভা
প্রাথমিক কথা : সা‘দ ইবনু মু‘আয (রাঃ) ছিলেন অন্যতম বদরী ছাহাবী। বনু কুরায়যার ব্যাপারে ফায়ছালা দানকারী এই আনছার ছাহাবীর জানাযায় ৭০ হাযার ফেরেশতা অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁর মৃত্যুতে আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে ও আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয়। এই জলীলুল কদর ছাহাবীর জ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। শেষ পর্ব । ২. লুধিয়ানার মুনাযারা (এপ্রিল ১৯১২) :কাদিয়ানী মুনাযির মুনশী কাসেম আলী দেহলভী
ভূমিকা :জাহেলী আরব যখন পাপের মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছিল, মানবতার লেশমাত্রও যখন আর অবশিষ্ট ছিল না, শিশু ও নারীর অধিকার বলতে যখন কিছুই ছিল না, এমনকি যে সমাজে সদ্যজাত কন্যা সন্তানকে শুধুমাত্র কন্যা হওয়ার অপরাধে পিতা নিজ হাতে মাটিতে জীবন্ত পুঁতে দিত, মদ
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।(মার্চ’১৯ সংখ্যার পর)খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলে হুযায়ফা (রাঃ)ক. আবুবকর (রাঃ)-এর আমলে হুযায়ফা :নবী করীম (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পরে আবুবকর (রাঃ) খেলাফতে অধিষ্ঠিত হ’লে হুযায়ফা (রাঃ) তাঁর নিকটে বায়‘আত করেন। আবুবকর (রাঃ) ২ বছর ৩
পর্ব ১ । পর্ব ২ । ভূমিকা :হুযায়ফা (রাঃ) ছিলেন অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছাহাবী। ফিক্বহ ও হাদীছ ছাড়াও ক্বিয়ামত পর্যন্ত যে সকল ফিৎনা নাযিল হবে সে সম্পর্কে তিনি বিশেষজ্ঞ ছিলেন। মুনাফিকদের সম্পর্কেও তাঁর জানা ছিল। এ কারণে তাঁকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর গোপ
উম্মাতে মুহাম্মাদীর জন্য অনুসরণীয় হচ্ছেন স্বয়ং রাসূল (ছাঃ)। অতঃপর তাঁর ছাহাবীগণ। এ কারণেই তিনি মুক্তিপ্রাপ্ত দলের পরিচয় দিতে গিয়ে ما أنا عليه وأصحابي ‘আমি এবং আমার ছাহাবীগণ যে পথে আছি’ উল্লেখ করেছেন (তিরমিযী, মিশকাহ হা/১৭১-১৭২)। ছাহাবায়ে কেরামে
ভূমিকা : ছাহাবায়ে কেরামের সীমাহীন ত্যাগ ও নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে সার্বজনীন ও শাশ্বত জীবনাদর্শ ইসলাম পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। তাঁরা নির্দ্বিধায় নিজেদের জান-মাল কুরবানী করে দ্বীন প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখে গেছেন। অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা জীবন বাজি র