উত্তর : প্রশ্ন অনুযায়ী উক্ত সন্তান বালেগা। এমতাবস্থায় সে যদি স্বেচ্ছায় মায়ের নিকটে অবস্থান করে এবং মা তার যাবতীয় খরচ বহন করে, সেক্ষেত্রে তার উপর পিতার অভিভাবকত্বের অধিকার থাকে না। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট জনৈকা স্ত্রীলোক এসে বলল, আমার স্বামী আমার ছেলে নিয়ে যেতে চায়। অথচ ছেলে আমার উপকার করে। সে আমাকে কূয়া থেকে পানি এনে দেয়। এসময় তার পিতা এলে নবী করীম (ছাঃ) ছেলেকে বললেন, ইনি তোমার পিতা আর ইনি তোমার মাতা- যাকে ইচ্ছা তুমি তার হাত ধর। ছেলে তার মায়ের হাত ধরল। অতঃপর মা তাকে নিয়ে চলে গেল’ (আবুদাঊদ, নাসাঈ; মিশকাত হা/৩৩৮০, সনদ ছহীহ)। ইমাম শাওকানী বলেন, ‘হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ছেলে হৌক বা মেয়ে হৌক, সন্তানের ভাল-মন্দ বুঝার জ্ঞান হওয়ার পর যদি পিতা-মাতা সন্তান গ্রহণের ক্ষেত্রে মতভেদ করেন, তাহ’লে সন্তানকে এখতিয়ার দেওয়াই শরী‘আত সম্মত’ (নায়লুল আওত্বার ৮/১৬০ পৃঃ, ‘সন্তান পালনের অধিক হকদার কে?’ অনুচ্ছেদ)

অতএব উক্ত নারীর বিবাহের ক্ষেত্রে মাতা নয় বরং মাতা সম্পর্কীয় পুরুষ আত্মীয়-স্বজন যেমন ভাই, মামা, নানা প্রমুখগণ অভিভাবক হিসাবে বিবাহ প্রদান করবেন। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কান নারী অপর নারীকে বিবাহ দিতে পারে না এবং কোন নারী নিজে নিজে বিবাহও করতে পারে না’ (ইবনু মাজাহ হা/১৮৮২, মিশকাত হা/৩১৩৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৭২৯৮)






প্রশ্ন (১১/৩৩১) : আমি ফরয ও নফল আমলের ক্ষেত্রে নিয়ত করতে ভুলে যাই। এতে আমার আমল কবুল হবে কি? - -মাহতাবুদ্দীনঘোড়াঘাট, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (৩৭/৩৯৭) : ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, আয়েশা (রাঃ)-এর বয়স যখন ৭ বছর, তখন আবুবকর (রাঃ) প্রথমে ওমর (রাঃ)-এর সঙ্গে, অতঃপর ওছমান (রাঃ)-এর সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাঁরা অসম্মতি জানান। অতঃপর রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে বিয়ের প্রস্তাব দেন। উক্ত বর্ণনা কি সঠিক? কারণ হাদীছে আছে, আল্লাহ তা‘আলা মা আয়েশা (রাঃ)-কে অনেক পূর্বেই স্বপ্নযোগে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন (১০/৪৫০) : আম পরিপক্ব হওয়ার পর তা না নামিয়ে ঠিকায় সম্পূর্ণ বাগান বিক্রি করা যাবে কি? - -আব্দুল লতীফ, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (১৮/২৫৮) : কারো হেদায়াত কামনার জন্য বিশেষ কোন দো‘আ আছে কি? - ফারীহা পারভীন জয়পুরহাট।
প্রশ্ন (১৩/৩৭৩) : জানাযার ছালাতে শুধু ডান দিকে সালাম ফিরানো যাবে কি?
প্রশ্ন (১২/২৫২) : মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রহঃ) তার ‘পূর্ণাঙ্গ নামায’ বইয়ে লিখেছেন, ওযূর পর সূরা ক্বদর পাঠ করতে হবে (পৃঃ ৪৫)। কিন্তু কোন দলীল উল্লেখ করেননি। উক্ত সূরা পড়ার দলীল জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৮/৩৫৮) প্রচলিত রীতি অনুযায়ী সূরা তওবার প্রথমে বিসমিল্লাহ পড়তে হয় না। এর কোন দলীল আছে কি?
প্রশ্ন (৩৯/১১৯) : আমি বিদ্যুৎ বিভাগের সরকারী কর্মকর্তা। বিদ্যুতের মিটার নিতে আসা লোকদের আমরা সার্বিক ব্যবস্থাপনা করে থাকি। এর জন্য কখনো ঘুষ নেই না। কিন্তু মাঝে মাঝে কোন কোন গ্রাহক খুশী হয়ে টাকা দিয়ে যায়। এটা ঘুষের অন্তর্ভুক্ত হবে কি? - -সেলিম হাসান চৌধুরীপিডিবি অফিস, নতুন বাজার, বরিশাল।
প্রশ্ন (২৫/৩০৫) : ফরয-সুন্নাত ছালাতের সিজদা বা তাশাহহুদের সময় তওবা-ইস্তেগফারের দো‘আসমূহ পাঠ করা যাবে কি? - -আশরাফুল আলম, ময়মনসিংহ।
প্রশ্ন (৩৫/৩৫৫) : এমন কোন আমল আছে কি যার দ্বারা কবরের চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়? জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৩/৩৩৩) : আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে কত জায়গায় কুরআনকে হাদীছ বলেছেন?
প্রশ্ন (৩৫/৩৫৫) : জান্নাতে কৃষি খামার বা পশুপালন ইত্যাদি করা যাবে কি? দলীলসহ জানিয়ে বাধিত করবেন।
আরও
আরও
.