উত্তর : এটি মাসিক বেতন হিসাবে নির্ধারিত। সেজন্য কোন ওযরবশতঃ এক বা একাধিক দিন না পড়িয়েও পুরো মাসের বেতন নেওয়া যাবে। তবে এসব ক্ষেত্রে দাতার পক্ষ থেকে সম্মতি থাকতে হবে। নতুবা কেউ কেউ ওযর ছাড়াই সুযোগ গ্রহণ করতে পারে (যায়লাঈ, তাবঈনুল হাকায়েক ৫/১৩৪; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়াহ ১/২৬৭)। উল্লেখ্য যে, চুক্তিবদ্ধ যে কোন কাজের ক্ষেত্রে কাজটি আন্তরিকতার সাথে যথাসাধ্য পালন করতে হবে। অন্যথায় ক্বিয়ামতের দিন তাকে আল্লাহর নিকট জিজ্ঞাসিত হ’তে হবে। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা আমানত সমূহকে তার যথার্থ হকদারদের নিকট পৌঁছে দাও’ (নিসা ৪/৫৮)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সাবধান! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। তোমরা প্রত্যেকেই ক্বিয়ামতের দিন স্ব স্ব দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৮৫, ‘নেতৃত্ব ও বিচার’ অধ্যায়)। সেকারণ যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে দায়িত্বে অবহেলা করার কারণে বেতনের নির্ধারিত অংশ গ্রহণ না করে, সেটা হবে তাক্বওয়ার পরিচায়ক (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৫/১৫৩, ১৫৫-৫৬)।
প্রশ্নকারী : আসাদুল হক, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।