উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন এবং ইসলাম বিরোধী। ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘লোকদের মধ্যে কিছু লোক অজ্ঞতা বশে বাজে কথা খরিদ করে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য এবং আল্লাহর পথকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি’ (লোক্বমান ৩১/৬)। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, এখানে ‘বাজে কথা’ অর্থ গান-বাজনা (ইবনু কাছীর, উক্ত আয়াতের তাফসীর দ্রঃ)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমার উম্মাতের মধ্যে অবশ্যই এমন কিছু দলের সৃষ্টি হবে, যারা ব্যভিচার, রেশমী কাপড়, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল জ্ঞান করবে’ (বুখারী হা/৫৫৯০; মিশকাত হা/৫৩৪৩)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বাদ্যযন্ত্রকে مِزْمَارُ الشَّيْطَانِ ‘শয়তানের বাদ্য’ বলেছেন (আবুদাঊদ হা/২৫৫৬)। নাফে‘ বলেন, ‘আমি রাস্তায় ইবনু ওমরের সাথে ছিলাম। তিনি বাদ্যযন্ত্রের আওয়ায শুনে তাঁর দু’কানে দু’আঙ্গুল প্রবেশ করালেন এবং রাস্তার অন্য ধারে সরে গেলেন। অতঃপর দূরে গিয়ে বললেন, নাফে‘! তুমি কি এখন কিছু শুনতে পাচ্ছ? (নাফে‘ বলেন,) আমি বললাম, না। তখন তিনি তার কান থেকে আঙ্গুল সরালেন এবং বললেন, আমি একদা নবী করীম (ছাঃ)-এর সাথে ছিলাম। তিনি বাঁশীর আওয়াজ শুনে এরূপ করেছিলেন’ (আহমাদ হা/৪৫৩৫, ৪৯৬৫; আবুদাঊদ হা/৪৯২৪; মিশকাত হা/৪৮১১, সনদ ছহীহ)।
এক্ষণে উপরে বর্ণিত ছহীহ বুখারীর মু‘আল্লাক্ব হাদীছটিকে (হা/৫৫৯০) ইবনু হাযম আন্দালুসী দুর্বল বললেও ইবনুল ক্বাইয়িম, ইবনু হাজার, আলবানী প্রমুখ মুহাদ্দিছগণ ছহীহ বলেছেন এবং ইবনু হাযম-এর গবেষণাগত ত্রুটি তুলে ধরেছেন (আলবানী, ছহীহাহ হা/৯১-এর আলোচনা ও ‘তাহরীমু আলাতিত ত্বারাব’ বই দ্রঃ)।