উত্তর : রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘অলী ছাড়া বিবাহ সিদ্ধ নয়’ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩১৩০)। তিনি বলেন, ‘কোন নারী অলী ছাড়া বিবাহ করলে তা বাতিল, বাতিল, বাতিল’ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩১৩১)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘কোন নারী অপর নারীকে বিবাহ দিতে পারে না এবং কোন নারী নিজে নিজে বিবাহও করতে পারে না’ (ইবনু মাজাহ হা/১৮৮২, মিশকাত হা/৩১৩৭)।
অতএব এভাবে বিবাহ করলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে এবং তাদেরকে পুনরায় বৈধভাবে
বিয়ে করতে হবে। দ্বিতীয় বিবাহের পূর্ব পর্যন্ত বর-কনের একত্রে বসবাস অবৈধ ও
ব্যভিচারের অন্তর্ভুক্ত হবে। সঠিক পন্থায় বিবাহ সম্পাদনের পর তাদের এই
ঘৃণ্য অপকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দরবারে খালেছ অন্তরে তওবা ও ক্ষমা
প্রার্থনা করতে হবে। বৈধ বিবাহের জন্য মেয়ে ও অলী উভয়ের সম্মতি আবশ্যক।
সাবালিকা ও বিধবা নারীগণ বিবাহের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অলীর চাইতে বেশী হকদার (মুসলিম, মিশকাত হা/৩১২৭)। কিন্তু তারা অলীকে বাদ দিয়ে বিবাহ করবে না। যা উপরের হাদীছে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোন নারী ও পুরুষ স্বামী-স্ত্রী হিসাবে একত্রে বসবাস করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে যে হলফনামা সম্পাদন করে, তাই-ই এদেশে কোর্ট ম্যারেজ নামে পরিচিত। এরূপ কোন বিবাহের একমাসের মধ্যে যদি তা কাজী অফিসে রেজিস্ট্রী করা না হয়, তাহ’লে তার কোন আইনগত ভিত্তি থাকে না। এছাড়া এরূপ কোর্ট ম্যারেজের পর রেজিস্ট্রীর ক্ষেত্রে সাধারণতঃ পসন্দমত সাক্ষী মানা হয়। সুতরাং প্রচলিত এরূপ প্রতারণাপূর্ণ বিবাহ কখনোই বৈধ নয়।