উত্তর : এটি নিষিদ্ধ। কেননা কবরবাসী শুনতে পায় না। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি শুনাতে পারো না কোন মৃত ব্যক্তিকে’ (নামল ২৭/৮০)। আর ‘তুমি শুনাতে পারো না কোন কবরবাসীকে’ (ফাত্বির ৩৫/২২)। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘তেলাওয়াতের উদ্দেশ্যে হ’লেও কবরস্থানে কুরআন নিয়ে যাওয়া বিদ‘আত’ (আল-ফাতাওয়াল কুবরা ৫/৩৬২)। হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির নামে কবরের পাশে অথবা অন্য কোন স্থানে কুরআন পাঠ করা বিদ‘আত’ (যাদুল মা‘আদ ১/৫৮৩)। শায়েখ বিন বায (রহঃ) বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবরের পাশে বা অন্য কোন স্থানে কুরআন পাঠ করা বিদ‘আত’ (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৪/৩৩৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৯/৪৩)। ওছায়মীন ও আলবানী একই কথা বলেছেন (ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব ৯/০২; আলবানী, আহকামুল জানায়েয ১৯১ পৃ.)। এছাড়া কবরস্থানে গিয়ে সূরা ইয়াসীন পাঠের ফযীলত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে তা মওযূ‘ বা জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/১২৪৬)। অতএব কবরবাসীকে শুনানোর জন্য কুরআন তেলাওয়াত করা জায়েয নয়।

প্রশ্নকারী : আশীকুয্যামান

বনপাড়া, নাটোর।







বিষয়সমূহ: কবর
প্রশ্ন (২৭/৩৪৭) : হিংসা মানুষের সৎকর্মকে খেয়ে ফেলে, যেমন আগুন কাঠ খেয়ে ফেলে। এ হাদীছের সারমর্ম কী?
প্রশ্ন (১৪/৪৫৪) : বাজারে বিভিন্ন ধরনের এনার্জি ড্রিংক পাওয়া যায়, যা পান করলে শরীরে এনার্জি তৈরী হয়। ছালাতে মনোযোগ পাওয়া যায়। এগুলো বৈধ হবে কি?
প্রশ্ন (৩২/২৭২) : রামাযান মাসে কুরআন খতম করা কি মুস্তাহাব?
প্রশ্ন (৩২/১৯২) : আমি একজন ছাত্র এবং চাকুরীও করি। আমার পরিবারের সূদী ঋণ রয়েছে, যার দায়িত্ব এখন আমার কঁাধে। চাকুরীতে যা পাই তা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করি। অন্যদিকে ফেৎনা থেকে বাঁচার জন্য বিবাহ করাও একান্ত যরূরী। কিন্তু ঋণ পরিশোধের আগ পর্যন্ত বিবাহ করতে পারছি না। এক্ষণে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (১৬/৩৭৬) : বোরক্বা না পরে ‍ফুল হাতা কামীজ পরে মাথায় স্কার্ফ দিয়ে চলাফেরা করায় শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (৩৫/১৯৫) : সমকামিতা কোন পর্যায়ভুক্ত পাপ? এর শাস্তি কি যেনার শাস্তির অনুরূপ? - -আব্দুল হালীমবীরগঞ্জ, দিনাজপুর।
প্রশ্নঃ (১০/৩৩০) : কাউকে জিজ্ঞেস করা হ’ল যে, আপনি কেমন আছেন? সে উত্তরে বলল, আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দো‘আয় ভাল আছি। এরূপ বলা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৩/২৫৩) : জনৈক ব্যক্তি কারু নিকট থেকে অর্থ ঋণ গ্রহণ করলে ফেরত দেওয়ার সময় কিছু বেশী প্রদান করেন। এরূপ দেওয়া বা নেওয়া শরী‘আতসম্মত হবে কি?
প্রশ্ন (১২/১৩২) : আমাদের এলাকায় প্রায় মসজিদের ইমামগণ ছালাত শেষে মুছল্লীদেরকে নিয়ে গোল হয়ে বসেন। বিভিন্ন রকমের দরূদ পড়ে থাকেন। যেমন- বালাগাল উলা, ছাল্লাল্লাহু, ইয়া মুহাম্মাদ, ইয়া রাসূলুল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ইত্যাদি। এসব দরূদ পড়া কি জায়েয।
প্রশ্ন (৩২/২৩২) : আমি আহলেহাদীছ হওয়া সত্ত্বেও আমার স্ত্রী মাযহাবী নিয়মে ছালাত আদায় করে। জনৈক আলেমকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি তালাক দেওয়ার নির্দেশনা দেন। এটা সঠিক কি? - -মাযহারুল ইসলাম শিবগঞ্জ, বগুড়া।
প্রশ্ন (২০/১৮০) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, ছাহাবীগণ দাওয়াতী কাজের জন্য দীর্ঘ সফরে বের হতেন। আর এখান থেকেই ইলিয়াসী তাবলীগের নিয়ম-পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (৪০/২০০) : আমাদের মসজিদের মিম্বারটি চার স্তর বিশিষ্ট। শুনেছি রাসূলের মিম্বার ছিল তিন স্তর বিশিষ্ট। এক্ষণে করণীয় কি? - -মুহাম্মাদ মোশাররফ হোসাইন, বেরাইদ, ঢাকা।
আরও
আরও
.