উত্তর : উপরোক্ত পণ্য এবং সংশ্লিষ্ট জিনিসগুলি হারাম হওয়ায় সেগুলোর উপর যাকাত দিতে হবে না। কারণ তা আল্লাহর নিকট কবুল হবে না। কেননা ‘আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র বস্ত্ত ব্যতীত কবুল করেন না’ (মুসলিম হা/১০১৫; মিশকাত হা/২৭৬০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ পবিত্রতা ব্যতীত ছালাত কবুল করেন না এবং হারাম মালের ছাদাক্বা গ্রহণ করেন না’ (মুসলিম হা/২২৪; মিশকাত হা/৩০১; মিরক্বাত)। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, ‘কোন বান্দা হারাম পথে উপার্জিত অর্থ-সম্পদ ছাদাক্বা করলে তা কবুল করা হবে না এবং নিজের কাজে ব্যবহার করলেও তাতে বরকত হবে না। আর ঐ সম্পদ তার উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে গেলে তা তার জন্য জাহান্নামের পুঁজি হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা মন্দের দ্বারা মন্দকে মিটিয়ে দেন না। তবে সৎকর্ম দ্বারা মন্দকর্ম মিটিয়ে দেন’ (আহমাদ হা/৩৬৭২; মিশকাত হা/২৭৭১; শু‘আবুল ঈমান হা/৫৫২৪; হাকেম হা/৭৩০১, সনদ ছহীহ)। উল্লেখ্য যে, হারাম মালে যাকাত ফরয না হওয়ার বিষয়ে প্রসিদ্ধ চার মাযহাবের মধ্যেও ঐক্যমত রয়েছে। তাছাড়া যাকাত দেওয়া হয় মাল পবিত্র করার জন্য। অথচ পুরো মালই অপবিত্র হ’লে তা কাকে পবিত্র করবে? (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়াহ ২৩/২৪৮)

এতদ্ব্যতীত যে বস্ত্ত মৌলিকভাবে হারাম তার মূল্য দ্বারা উপকৃত হওয়াও হারাম। যেমন তামাক মাদক দ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক মাদকতা আনয়নকারী বস্ত্ত হারাম’ (মুসলিম হা/২০০৩; মিশকাত হা/৩৬৩৮)। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা কোন জাতির উপর কোন কিছু খাওয়া হারাম করলে তার বিক্রয়লব্ধ অর্থও হারাম করে দেন’ (আবুদাঊদ হা/৩৪৮৮; আহমাদ হা/২৯৬৪)। যেমন মদ হারাম সম্পর্কিত সুস্পষ্ট নির্দেশ (মায়েদাহ ৯০) নাযিলের পর রাসূল (ছাঃ) ঘোষণা করলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা মদ হারাম করে দিয়েছেন। সুতরাং যার নিকট এই আয়াত পৌঁছে গেছে এবং তার নিকট এর কিছু অংশ অবশিষ্ট আছে, সে যেন তা পান না করে এবং বিক্রয় না করে’। রাবী বলেন, অতঃপর যাদের নিকট মদ অবশিষ্ট ছিল তারা তা নিয়ে বেরিয়ে পড়ল এবং তা মদীনার রাস্তায় ঢেলে দিল (মুসলিম হা/১৫৭৮)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘যিনি তা পান করা হারাম করেছেন, তিনি এর বিক্রিও হারাম করে দিয়েছেন’ (মুসলিম হা/১৫৭৯; ‘মদ বিক্রি হারাম’ অনুচ্ছেদ)। সুতরাং হারাম পণ্য বিক্রি করা ও এর বিক্রয়লব্ধ অর্থ গ্রহণ করা সুস্পষ্টভাবে হারাম।

এক্ষণে এই হারাম সম্পদ যথাশীঘ্র নিজ মালিকানা থেকে বের করে দিতে হবে এবং ছওয়াবের আশা ছাড়াই জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বা হতদরিদ্র ব্যক্তিদের মধ্যে দান করে দিতে হবে। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, ব্যক্তির নিজ ও নিজ পরিবার চালানোর জন্য যদি হারাম পন্থায় উপার্জিত সম্পদ ব্যতীত কোন সম্পত্তি না থাকে, তাহ’লে যতটকু প্রয়োজন ততটকু সেখান থেকে গ্রহণ করে বাকীগুলো ছাদাক্বা করে দিবে। যদিও এই ছাদাক্বায় তার কোন উপকার হবে না। তবে এতে কিছু গরীব উপকৃত হবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৯/৩০৮; ইবনুল ক্বাইয়িম, মাদারিজুস সালেকীন ১/৩৮৯; যাদুল মা‘আদ ৫/৭৭৮)। অতএব এই সম্পদের কোন যাকাত নেই। বরং এই সমুদয় হারাম সম্পদ ছওয়াবের আশা ব্যতীত জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করতে হবে।






প্রশ্ন (৪/২৮৪) : মহিলারা পরপুরুষের সামনে সশব্দে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারবে কি?
প্রশ্ন (৪০/৩২০) : মসজিদের নিজস্ব জমিতে স্থায়ীভাবে মসজিদ নির্মাণের স্বার্থে নির্মাণকালীন সময়ের জন্য পার্শ্ববর্তী সরকারী জমিতে সরকারের অনুমতিক্রমে অস্থায়ীভাবে মসজিদ নির্মাণ করে সেখানে জুম‘আ-জামা‘আত কায়েম করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১১/২৯১) : আমাদের মেডিকেল কলেজে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ক্লাস থাকায় প্রতিদিন যোহরের ছালাত দেরী করে পড়তে হয়। এক্ষণে আমার করণীয় কি? - -নূরুল ইসলাম, উত্তরা, ঢাকা।
প্রশ্ন (২৪/২২৪) : ছহীহ হাদীছ জানার পর যারা বিদ‘আতী আমল করে থাকে তাদের পরিণতি কি হবে?
প্রশ্ন (৫/২৪৫ ): সূরা বাক্বারাহ ২৩৮ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘তোমরা সকল ছালাতের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী ছালাতের প্রতি’। এখানে মধ্যবর্তী ছালাত কি এবং এ ছালাতের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করার কারণ কি?
প্রশ্ন (৭/৪৭) : জায়গা সংকুলান না হওয়ার কারণে একই মসজিদে একাধিকবার জুম‘আর ছালাত আদায় করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৬/৩২৬) : শী‘আ মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - -মুহাম্মাদ শহীদুয্যামান, ধানমন্ডি ১৫, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩৬/২৩৬) : ফেসবুক, হোয়াটসএ্যাপের মত সামাজিক মাধ্যমে লাইক, লাভ সহ বিভিন্ন ইমোজি ব্যবহার করা শরী‘আতসম্মত হবে কি? অনেকে বলে থাকেন এটা খৃষ্টানদের ব্যবহৃত চিহ্ন।
প্রশ্ন (৪০/১২০) : অনেক মানুষকে ইসলামের বিভিন্ন বিধান সম্পর্কে বললে তারা সেগুলিকে শাখাগত বিষয় বলে এড়িয়ে যান। যেমন দাড়ি রাখা প্রসঙ্গে। এক্ষণে দ্বীনের মধ্যে মৌলিক ও শাখাগত বিষয় বলে কোন পার্থক্য আছে কি?
প্রশ্ন (১৬/২৫৬) : নবী-রাসূল, ছাহাবায়ে কেরাম বা অন্য কোন মানুষের নামের পূর্বে হযরত, জনাব ইত্যাদি শব্দটি ব্যবহার করায় শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (২৭/১৮৭) : মসজিদে কথা বললে ছাওয়াব কর্তন করা হবে কি? শুনা যায়, আগুন যেমন কাঠকে পুড়িয়ে দেয় তেমনি মসজিদে কথা বলা ছওয়াবকে পুড়িয়ে দেয়’। মসজিদে ইসলামী নাটক করা যাবে কি? - -আব্দুল্লাহ, মুহাম্মাদপুর, ঢাকা
প্রশ্ন (৩৫/২৩৫) : জনৈক আলেম বলেন, ছিয়ামরত অবস্থায় কেউ ভুলে অল্প কিছু খেলে ছিয়াম ভঙ্গ হবে না। তবে বেশী পরিমাণে খেয়ে ফেললে ছিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে। উক্ত কথার সত্যতা জানতে চাই?
আরও
আরও
.