উত্তর : উক্ত
পদ্ধতি গণক ও জাদুকরদের মধ্যে প্রচলিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা শিরকী
কালেমা বা মন্ত্র পাঠ করে। অতএব এসব পদ্ধতি অবলম্বনকারীদের উপর বিশ্বাস করা
বা তাদের নিকট গমন করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে
ব্যক্তি গণকের কাছে যায় এবং তাকে কোন কথা জিজ্ঞেস করে, তার চল্লিশ দিনের
ছালাত কবূল হয় না’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫৯৫ ‘গণক’ অনুচ্ছেদ)। অন্য
বর্ণনায় আছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে আসল এবং সে যা বলল
তা বিশ্বাস করল, ঐ ব্যক্তি মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তার
সাথে কুফরী করল (তিরমিযী হা/১৩৫; মিশকাত হা/৫৫১; ছহীহুত তারগীব হা/৩০৪৭)।
অন্যত্র এসেছে, যে ব্যক্তি পাখি উড়িয়ে ভাগ্যের ভাল-মন্দ যাচাই করল, অথবা
যার ভাগ্যের ভাল-মন্দ যাচাই করার জন্য পাখি উড়ানো হ’ল, অথবা যে ব্যক্তি
ভাগ্য গণনা করল, অথবা যার ভাগ্য গণনা করা হ’ল, অথবা যে ব্যক্তি যাদু করল
অথবা যার জন্য যাদু করা হ’ল অথবা যে ব্যক্তি কোন গণকের কাছে আসল অতঃপর গণক
যা বলল তা বিশ্বাস করল সে ব্যক্তি মূলতঃ মুহাম্মদ (ছাঃ)-এর উপর যা নাযিল
করা হয়েছে তা (কুরআন) অস্বীকার করল’ (ছহীহাহ হা/২১৯৫, ২৬৫০; ছহীহুত তারগীব হা/৩০৪১)।