উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেকের জন্য অধিকার নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সন্তানের উপার্জন থেকে প্রয়োজন মত পাওয়ার অধিকার যেমন পিতা-মাতার রয়েছে, তেমনি স্ত্রী-সন্তানেরও রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ প্রত্যেক হকদারের জন্য তার হক নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন’ (আবুদাঊদ হা/২৮৭০; মিশকাত হা/৩০৭৩)। এক ব্যক্তি নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট এসে বলল, আমার সম্পদ আছে। আর আমার পিতা সে সম্পদের মুখাপেক্ষী। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ‘তুমি ও তোমার সম্পদ তোমার পিতার। জেনে রেখ, তোমাদের সন্তানরা তোমাদের উত্তম উপার্জন। অতএব তোমরা সন্তানদের উপার্জন খাও’ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৩৫৪, সনদ ছহীহ)। অন্য বর্ণনায় এসেছে তিনি বলেন,  ‘সন্তানদের সম্পদ অতটুকু তোমাদের, যতটুকু তোমাদের প্রয়োজন’ (হাকেম, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৫৬৪)

মু‘আবিয়া (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমাদের উপর স্ত্রীদের হক কি? তিনি বললেন, ‘যখন তুমি খাবে, তখন তোমার স্ত্রীকে খাওয়াবে। যখন কাপড় ক্রয় করবে, তখন তার জন্যও ক্রয় করবে (আবুদাঊদ হা/২১৪২; মিশকাত হা/৩২৫৯)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আর তুমি সাধ্যমত তোমার পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ কর’ (আহমাদ হা/২২২১২৮; মিশকাত হা/৬১)। তিনি বলেন, ‘তোমার পরিবারেরও তোমার প্রতি অধিকার রয়েছে। অতএব প্রত্যেক হক্বদারকে তার হক্ব প্রদান কর’ (বুখারী হা/১৯৬৮; মিশকাত হা/২০৬১)। অতএব পূর্ণ আন্তরিকতা নিয়ে এ ব্যাপারে শরী‘আতের নির্দেশনা পিতা-মাতাকে বুঝাতে হবে। একান্ত না বুঝলে তাদেরকে প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদান করে বাকী অর্থ নিজ দায়িত্বে স্ত্রী-সন্তানের জন্য ব্যয় করবে।






প্রশ্ন (২০/১০০) : জনৈক আলেম বলেন, রাসূল (ছাঃ) তার সমগ্র জীবনে চারটি ওমরা এবং দু’টি হজ্জ করেছেন। উক্ত বক্তব্যের সত্যতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (২৭/১৮৭) : অর্থ বা মর্ম না বুঝে কেবল কুরআন হেফয করলে নেকী পাওয়া যাবে কি? আর কুরআনের সর্বনিম্ন কতটুকু অংশ হেফয করলে হাফেযের মর্যাদা পাওয়া যাবে?
প্রশ্ন (১৯/৩৭৯) : ছালাতের সময় টুপি বা পাগড়ী পরা কি যরূরী? না পরলে সুন্নাতের খেলাফ হবে কি? জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৬/১৩৬) : জাপানে অনেক প্রবাসী ভাইকে দেখা যায় জাল কাবিননামা, শিক্ষা সনদ, সন্তান জন্মসনদ ইত্যাদি বানিয়ে সেদেশের নানা রকম সরকারী সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছে। এটা কতটুকু হালাল হচ্ছে? এভাবে জালিয়াতির আশ্রয় কুফল সম্পর্কে জানতে চাই।
প্রশ্ন (১৫/৯৫) : অসুখের জন্য দো‘আ চাইতে গেলে জনৈক আলেম সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা নাস, ফালাক্ব, বাক্বারা, আলে-ইমরান, হাশর, মুমিনূন, জীন প্রভৃতি সূরার কিছু কিছু আয়াত পড়ে বুকে ফুঁ দেন। এটি কি শরী‘আত সম্মত?
প্রশ্ন (৯/৪৯) : জয়ফলের মধ্যে অল্প মাত্রায় নেশাজাতীয় উপাদান থাকায় সঊদী আরব সহ কিছু দেশে তা আমদানী নিষিদ্ধ। অনেক আলেম এটিকে হারাম বলেছেন। কিন্তু আমাদের দেশে এটা বিরিয়ানী, হালীম ইত্যাদির মশলা হিসাবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এক্ষণে এটি খাওয়া জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩৫/১৫৫) : আমার দাদা ও নানা আমার স্ত্রীকে পর্দাবিহীন অবস্থায় দেখতে পারবে কি?
প্রশ্ন (৩২/২৭২) : আমার নিকট কিছু পুরনো মাসিক আত-তাহরীক পত্রিকা আছে। আমি এগুলো কি করতে পারি? এই পত্রিকাগুলো যারা পেপার, বই-খাতা, ভাঙ্গাচুরা ইত্যাদি ক্রয় করে তাদের নিকট বিক্রি করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১১/১৩১) : যে উদ্দেশ্য পূরণের জন্য মানত করা হয়েছিল, তা পূরণ হয়নি। এক্ষণে মানত আদায় করতে হবে কি? আর যে বস্ত্ত দান করার মানত করা হয়েছিল তার পরিবর্তে সমমানের বস্ত্ত দান করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৪/৩১৪) : জনৈক আলেম বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করে বুকে ফুঁক দিলে সেই বুক জাহান্নামে যাবে না। এর কোন সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (২৪/১০৪) : প্রচলিত আছে যে, নেক সন্তান জন্মের সময় পরিবারে সচ্ছলতা আসে, শান্তির পরিবেশ বিরাজ করে, সমাজও শান্তিময় হয়। উক্ত কথাগুলো কি সঠিক?
প্রশ্ন (১৬/৩৩৬) : কেউ নিজে অশ্লীল ছবি বা মুভি দেখেছে এবং অন্যকে দেখিয়েছে। এক্ষণে সে দেখা থেকে তওবা করেছে। কিন্তু যাকে দেখিয়েছে সে এসব দেখায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। এক্ষণে নিজে তওবা করা সত্ত্বেও অপরজনকে একাজে লিপ্ত করার অপরাধে সে নিয়মিত পাপী হ’তে থাকবে কি?
আরও
আরও
.