উত্তর : ক্বিয়ামুল লায়েলের সময় শুরু হয় এশার ছালাতের পর থেকে এবং অব্যাহত থাকে ছুবহে ছাদিকের পূর্ব পর্যন্ত (মুসলিম হা/৭৪৫; মিশকাত হা/১২৬১; ছহীহাহ হা/১০৮)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রামাযান মাসের ২৩, ২৫ ও ২৭ তিন রাত্রি মসজিদে জামা‘আতের সাথে তারাবীহর ছালাত আদায় করেছেন। প্রথম দিন রাত্রির এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত, দ্বিতীয় দিন অর্ধ রাত্রি পর্যন্ত এবং তৃতীয় দিন নিজের স্ত্রী-পরিবার ও মুছল্লীদের নিয়ে সাহারীর আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ছালাত আদায় করেন (আবুদাঊদ হা/১৩৭৫; তিরমিযী হা/৮০৬, মিশকাত হা/১২৯৮)।
প্রচলিত অর্থে ‘ক্বিয়ামুল লায়েল’ বলতে রামাযানের শেষ দশকে রাত্রি জাগরণকে বুঝায়। এই সময় লায়লাতুল ক্বদর সন্ধানে অধিকহারে ইবাদত করতে হয়। যার উত্তম নমুনা হ’লেন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম। যা উপরের হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। এই বাইরে যা কিছু বলা হয় বা করা হয়, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবীগণের আমলে তার কোন ভিত্তি নেই। যদিও হারামায়েনে আগ রাতে দশ দশ বিশ রাক‘আত তারাবীহ পড়া হয়। অতঃপর রাত ১-টা থেকে বিতর সহ তের রাক‘আত ‘তাহাজ্জুদ’ বা ‘ক্বিয়ামুল লায়েল’ করা হয়। ছহীহ বা যঈফ কোন হাদীছে রাসূল (ছাঃ) একই রাতে তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ দু’টি আদায় করেছেন বলে প্রমাণ নেই। তিনি কখনো ১১ বা ১৩ রাক‘আতের ঊর্ধ্বে তারাবীহ বা তাহাজ্জুদ আদায় করেছেন বলেও কোন প্রমাণ নেই। তিনি বলেছেন, তোমরা ছালাত আদায় কর, যেভাবে তোমরা আমাকে ছালাত আদায় করতে দেখছ’ (বুখারী হা/৬৩১)।
অতএব ঐ সময় অধিকহারে কুরআন তেলাওয়াত বা দো‘আ-দরূদ ও তাসবীহ পাঠে মনোনিবেশ করা উচিৎ। যারা মাসজিদুল হারামে থাকেন, তারা ১১ বা ১৩ রাক‘আত তারাবীহ বা তাহাজ্জুদ-এর বাইরে অধিকহারে ত্বাওয়াফ করতে পারেন।