উত্তর : স্বামী তার সক্ষমতা অনুযায়ী স্ত্রীর জৈবিক চাহিদা মিটানোর চেষ্টা করবে। আল্লাহ বলেন, তোমরা স্ত্রীদের সাথে সদ্ভাবে বসবাস কর। যদি তোমরা তাদের অপসন্দ কর, (তবে হ’তে পারে) তোমরা এমন বস্ত্তকে অপসন্দ করছ, যার মধ্যে আল্লাহ প্রভূত কল্যাণ রেখেছেন (নিসা ৪/১৯)। স্ত্রীর জৈবিক চাহিদা পুরণ করা তার সাথে সদ্ভাবে বসবাস করার অন্তর্ভুক্ত। কেউ সক্ষমতা থাকার পরেও বা সময়-সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীর চাহিদা পূরণ না করলে সে গুনাহগার হবে। যদিও স্ত্রী চাওয়ামাত্রই স্বামী তার চাহিদা মিটানোতে বাধ্য নয় (ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ফাতাওয়াল কুবরা ১/২৯৪; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৫/২৪১)। উল্লেখ্য যে, সহবাস করাও একটি সৎকর্ম। একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ‘তোমাদের স্ত্রী-মিলন করাও ছাদাক্বা। ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কেউ স্ত্রী-সহবাস করে নিজের জৈবিক ক্ষুধা নিবারণ করে, তবে এতেও কি তার নেকী হবে? তিনি বললেন, তোমাদের কি ধারণা! যদি কেউ অবৈধভাবে যৌন-সম্ভোগ করে, তাহ’লে কি তার পাপ হবে? তারা বললেন, নিশ্চয়ই হবে। অনুরূপভাবে সে যদি বৈধভাবে নিজের জৈবিক ক্ষুধা নিবারণ করে, তাহ’লে তাতে তার নেকী হবে’ (মুসলিম হা/১০০৬; মিশকাত হা/১৮৯৮)।
প্রশ্নকারী : নাঈম, কাহালু, বগুড়া।