উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (মুসনাদুল ফিরদাউস হা/৩৭৩১; লিসানুল মীযান হা/১৭০০, ইবনু হাজার বলেন, এটি একাধিক সনদে বর্ণিত হলেও তার সবই যঈফ)। তবে অভাব বা ঋণমুক্তির জন্য অনেক বিশুদ্ধ দো‘আ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। যেমন (১) ‘আল্লাহুম্মাগফিরলী যানবী ওয়া ওয়াসসি‘লী ফী দারী ওয়া বারিকলী ফী-মা রাযাক্বতানী’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার গোনাহসমূহ ক্ষমা কর, আমার গৃহকে প্রশস্ত কর এবং আমাকে তুমি যে জীবিকা দান করেছ তাতে বরকত দান কর’ (তিরমিযী হা/৩৫০০, ৬৩; মিশকাত হা/২৪৪৯)। (২) আল্লা-হুম্মাক্ফিনী বিহালা -লিকা ‘আন হারা-মিকা ওয়া আগ্নিনী বিফায্লিকা ‘আম্মান সিওয়া-কা। অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হারাম ছাড়া হালাল দ্বারা যথেষ্ট করুন এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে অন্যদের থেকে মুখাপেক্ষীহীন করুন! রাসূল (ছাঃ) বলেন, এই দো‘আর ফলে পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও আল্লাহ তার ঋণ মুক্তির ব্যবস্থা করে দেন’ (তিরমিযী হা/৩৫৬৩; মিশকাত হা/২৪৪৯)।