উত্তর : উক্ত
আয়াতের অনুবাদ- ‘আর তুমি তোমার পরিবারকে ছালাতের আদেশ দাও এবং তুমি এর উপর
অবিচল থাক। আমরা তোমার নিকট রূযী চাই না। আমরাই তোমাকে রূযী দিয়ে থাকি। আর
(জান্নাতের) শুভ পরিণাম তো কেবল মুত্তাক্বীদের জন্যই’ (ত্বোয়াহা ২০/১৩২)।
এর তাফসীরে হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ যখন তুমি ছালাত আদায়
করবে, তোমার নিকটে এমন স্থান থেকে রিযিক আসবে যা তুমি কল্পনাও করনি। যেমন
আল্লাহ বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য উপায় বের
করে দেন। আর তাকে তিনি তার ধারণাতীত উৎস থেকে রিযিক দান করবেন’ (তালাক ৬৫/২-৩)।
অর্থাৎ যদি কেউ আল্লাহর ইবাদত করে তাহ’লে আল্লাহ তাকে রিযিক প্রদান করবেন।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ বলেন, ‘হে আদম সন্তান! তুমি আমার ইবাদতের জন্য
অবসর হও। আমি তোমার হৃদয়কে স্বচ্ছলতা দ্বারা ভরে দেব এবং তোমার অভাব দূর
করে দেব। আর যদি তুমি তা না কর, তাহ’লে আমি তোমার হাতকে ব্যস্ততা দিয়ে ভরে
দেব এবং তোমার অভাব দূর করব না’ (ইবনু মাজাহ হা/৪১০৭; মিশকাত হা/২৪৬৬; ছহীহুত তারগীব হা/৩১৬৬)। অতএব ইবাদতের সাথে রিযিকের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
প্রশ্নকারী : আল-আমীন, ভূগরইল, রাজশাহী।