উত্তর : অবশ্যই আছে। যেমন (১) লায়লাতুল ক্বদরের রাত্রি। আল্লাহ বলেন, ক্বদরের রাত্রি হাযার মাস অপেক্ষা উত্তম’ (ক্বদর ৯৭/০৩)। অর্থাৎ হাযার মাস ইবাদত অপেক্ষা উত্তম। এতদ্ব্যতীত তাহাজ্জুদের ফযীলত বিষয়ক হাদীছ দ্রষ্টব্য (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৯৬৪)। (২) তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এশার ছালাত জামা‘আতে পড়ল, সে যেন অর্ধরাত্রি ছালাতে কাটাল এবং যে ব্যক্তি ফজরের ছালাত জামা‘আতে পড়ল, সে যেন সমস্ত রাত্রি ছালাতে অতিবাহিত করল’ (মুসলিম হা/৬৫৬; মিশকাত হা/৬৩০)। (৩) তারাবীহর জামা‘আতে শেষ পর্যন্ত থাকা : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ছালাত শেষ করা পর্যন্ত ইমামের সাথে তারাবীহ পড়ে, সে সারা রাত্রি ক্বিয়ামের নেকী পায়’ (তিরমিযী হা/৮০৬ প্রভৃতি; মিশকাত হা/১২৯৮)। (৪) বিধবা ও মিসকীনের অভাব দূর করা : রাসূল (ছাঃ) বলেন, বিধবা ও মিসকীনদের অভাব দূর করার জন্য সচেষ্ট ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদকারীর ন্যায়। (অথবা) সে রাতভর দাঁড়ানো ব্যক্তির মত যে (ইবাদতে) ক্লান্ত হয় না এবং এমন ছিয়াম পালনকারীর মত যে, ছিয়াম ভঙ্গ করে না (বুখারী হা/৬০০৭)।
বড় কথা হ’ল গভীর মনোযোগের সাথে ছালাত আদায় করা। যেটি রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের ছালাতের মধ্যে ছিল। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘তোমার পালনকর্তা জানেন যে, তুমি (তাহাজ্জুদে) রাত্রি জাগরণ করে থাক কমপক্ষে রাত্রির দুই তৃতীয়াংশ, কখনো অর্ধেক, কখনো এক তৃতীয়াংশ এবং তোমার সাথীদেরও একটি দল’ (মুযযাম্মিল ৭৩/২০)। আয়েশা, মুগীরা প্রমুখ ছাহাবীগণ বলেন, দীর্ঘক্ষণ রাত্রিতে ছালাতে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে রাসূল (ছাঃ)-এর দু’পা ফুলে যেত। তাকে বলা হ’ল আপনার তো আগে-পিছের সকল গোনাহ মাফ। জওয়াবে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমি কি আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হবো না’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১২২০; মুসলিম হা/২৮২০)।
প্রশ্নকারী : ওয়াসিক বিল্লাহ, বরগুনা।