উত্তর : কুরবানী
হ’ল ইব্রাহীমী সুন্নাত। যেখানে একটি পশুই নির্ধারিত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও
ছাহাবায়ে কেরাম মুক্বীম অবস্থায় সর্বদা পরিবারের পক্ষ হ’তে একটি পশু
কুরবানী করেছেন। তবে কেবল সফর অবস্থায় কুরবানীতে শরীক হওয়া যাবে। যেমন (ক)
আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে এক
সফরে ছিলাম। এমতাবস্থায় ঈদুল আযহা উপস্থিত হ’ল। তখন আমরা সাত জনে একটি গরু ও
দশ জনে একটি উটে শরীক হ’লাম’ (তিরমিযী হা/৯০৫ প্রভৃতি; মিশকাত হা/১৪৬৯)।
সম্ভবতঃ তাঁরা ঐ সময় কোন শহরে অবস্থান করছিলেন (মিরক্বাত)। (খ) হযরত জাবির
(রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে (৬ষ্ঠ হিজরীতে) হোদায়বিয়ার
সফরে উট ও গরুতে সাত জন করে শরীক হয়েছিলাম (মুসলিম হা/১৩১৮ (৩৫০)।
(গ) তিনি বলেন, ‘আমরা আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে (১০ম হিজরীতে) হজ্জের
সফরে ছিলাম। তখন তিনি আমাদেরকে একটি গরু ও উটে সাতজন করে শরীক হওয়ার
নির্দেশ দেন’ (মুসলিম হা/১৩১৮ (৩৫১)।
সফরে সাত বা দশজন মিলে একটি পরিবারের ন্যায়। যাতে গরু বা উটের ন্যায় বড় পশু যবহ ও কুটাবাছা এবং গোশত বণ্টন সহজ হয়। কুরবানী হ’ল একটি ইবাদত। যা রাসূল (ছাঃ)-এর তরীকা অনুযায়ী সম্পন্ন করা অপরিহার্য। যেটা তিনি করেননি সেটা করার মাধ্যমে কিভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি হাছিল হবে?