উত্তর : আয়াতটির অর্থ হ’ল, আর প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে পৃথক ক্বিবলা, যেদিকে তারা উপাসনাকালে মুখ করে থাকে। কাজেই দ্রুত সৎকর্ম সমূহের দিকে এগিয়ে যাও (অর্থাৎ কা‘বামুখী হও)। যেখানেই তোমরা থাক না কেন, আল্লাহ তোমাদের সকলকে সমবেত করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আল্লাহর নির্দেশে ১৬/১৭ মাস বায়তুল মুক্বাদ্দাসের দিকে ফিরে ছালাত আদায়ের পর বাক্বারাহ ১৪৪ ও ১৫০ আয়াতের মাধ্যমে তাঁকে পুনরায় কা‘বা গৃহের দিকে মুখ করে ছালাত আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে ইহূদীরা বাহানা খুঁজে পায় এবং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও মুসলমানদের উদ্দেশ্যে নানাবিধ উপহাসমূলক কথাবার্তা বলতে থাকে। এর প্রতিবাদে অত্র আয়াত নাযিল হয়। যেখানে বলা হয়েছে যে, সকল দিকই আল্লাহর। তিনি স্বীয় বান্দাদের যেদিকে খুশী সেদিকে ফিরে ছালাত আদায়ের নির্দেশ দিতে পারেন। এতে ইহূদী বা অন্য কারো খুশী বা নাখুশীর কিছু নেই। কিন্তু ইহূদীরা অপপ্রচার করছিল যে, এই মানুষটি তার ধর্মের ব্যাপারে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাঁর ক্বিবলার কোন ঠিক নেই। তিনি ইবরাহীমী দ্বীনের অনুসারী বলে দাবী করেন। যদি বায়তুল মুক্বাদ্দাসের দিকে ক্বিবলা ইবরাহীমের দ্বীন হয়, তাহ’লে আবার কা‘বার দিকে ক্বিবলা করা হ’ল কেন? মুনাফিকরাও একই কথা বলতে থাকে। অন্যদিকে কুরায়েশরা, যাদেরকে অত্র আয়াতে ‘যালেম’ বলা হয়েছে, তারা বলতে লাগল, মুহাম্মাদ আমাদের ক্বিবলার দিকে মুখ ফিরিয়েছে। এবার সে আমাদের দ্বীনে (?) ফিরে আসবে (কুরতুবী, ইবনু কাছীর)। অথচ তাদের এইসব কথার জওয়াব একটাই যে, মুহাম্মাদ (ছাঃ) সর্বাবস্থায় আল্লাহর হুকুমের তাবেদারী করেছেন। তাঁর হুকুমেই তিনি মদীনায় গিয়ে প্রথমে বায়তুল মুক্বাদ্দাসের দিকে মুখ ফিরিয়ে ছালাত আদায় করেছেন। অতঃপর তাঁর হুকুমেই তিনি কা‘বার দিকে মুখ ফিরিয়েছেন। এখানে আল্লাহর আনুগত্যই মুখ্য। যা প্রকৃত ঈমানদারগণের প্রধান বৈশিষ্ট্য। অত্র আয়াতে ‘আমার অনুগ্রহ পূর্ণ করে দেই’ অর্থ ক্বিয়ামত পর্যন্ত কা‘বা গৃহকে মুমিনদের জন্য ক্বিবলা নির্ধারণ করা। যাতে বান্দাকে আল্লাহ জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারেন (কুরতুবী, ঐ আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ)।




প্রশ্ন (২২/২২২) : অনেকে ফরয ছালাতের পর বৃদ্ধাঙ্গুলে ফুঁক দিয়ে চোখে লাগায়। এটা শরী‘আতসম্মত কি?
প্রশ্ন (১৯/২৫৯) : জনৈক ইমাম ছালাতের সময় কারো টাখনুর নীচে কাপড় দেখলে পুনরায় ওযূ করে আসতে বলেন। এটা কি ছহীহ হাদীছ সম্মত?
প্রশ্ন (৩১/২৭১) : বিবাহের সময় মোহর নির্ধারণ না করা হ’লে বিবাহের পর করণীয় কি?
প্রশ্ন (৩৯/৪৭৯) : মসজিদে অপ্রয়োজনীয় কথা-বার্তা বলার বিধান কি? ‘যে ব্যক্তি মসজিদে দুনিয়াবী কথা বলবে তার ৪০ বছরের ইবাদত নষ্ট হয়ে যাবে’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ কি?
প্রশ্ন (১৯/৩৭৯) : আমি পুলিশে চাকুরী করি। আমাকে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে হয়। আবার মিথ্যা সাক্ষ্য না দিলে বিভাগীয় শাস্তির সম্মুখীন হ’তে হয়। এ অবস্থায় আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (২৪/১০৪) : ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাঘা উপযেলাতে এক বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। মেলাতে নাচ-গান ও বাজনা সহ জুয়া-সার্কাস ইত্যাদি হয়ে থাকে। কোন মুসলিম এ মেলাতে যেতে পারে কি?
প্রশ্ন (৩০/১১০) : কুরআন হাত থেকে পড়ে গেলে করণীয় কি? জনৈক ব্যক্তি বললেন, কুরআনের ওজনে চাউল দান করতে হবে।
প্রশ্ন (২৮/৪৬৮) : আমি দীর্ঘদিন যাবৎ তোতলামি সমস্যাতে ভুগছি। ফলে আমি প্রায়ই হতাশায় ভুগি। ধৈর্য ধারণ করা কঠিন হয়ে যায়। এজন্য কি কোন আমল আছে যার মাধ্যমে আমি এথেকে মুক্তি পেতে পারি?
প্রশ্ন (২৮/১০৮) : প্রশ্ন : সঊদী আরবের লোকেরা বিতর ছালাত পড়ার সময় প্রথমে দু’রাক‘আত আদায় করে তাশাহ্হুদ পড়ে এবং সালাম ফিরায়। অতঃপর এক রাক‘আত পড়ে এবং দো‘আ কুনূতসহ দীর্ঘক্ষণ ধরে অন্যান্য দো‘আ পড়ে। উক্ত নিয়মের প্রমাণ জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৭/১৯৭) : নিজ পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ যথাযথভাবে বহন করলে কোন নেকী অর্জিত হয় কি? - -যহীরুল ইসলামবাগমারা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২১/১০১) : দেশীয় নিয়মানুযায়ী ৪০ কেজিতে এক মণ হয়। কিন্তু আমের সময় বাজারে আম বিক্রি করলে ব্যবসায়ীরা ৫০ কেজিতে এক মণ হিসাব করে। এটা কি শরী‘আত সম্মত?
প্রশ্ন (২/২৪২) : আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র এক সাথে থাকি। অনেকে ছালাত আদায় করে না; বরং অশ্লীল কাজের সাথে জড়িত। তাদের সাথে থাকা যাবে কি?
আরও
আরও
.