উত্তর : ছিদ্দীক অর্থ মহাসত্যবাদী। এতে তাযকিয়া তথা অধিক প্রশংসাসূচক অর্থ রয়েছে। এই ধরনের অতি প্রশংসাসূচক নাম রাখা অপসন্দনীয়। তবে যদি কেউ তাযকিয়া উদ্দেশ্য ছাড়াই এরূপ নাম রাখে, তাতে কোন দোষ নেই (নববী, শরহ মুসলিম ১৪/১১৯; তুহফা ৮/১০১; মিরক্বাত ৭/২৯৯৭)। কারণ আক্বীক্বার সময় শিশু সন্তানের যে প্রশংসাসূচক নাম রাখা হয় তার জন্য আত্মপ্রশংসা হিসাবে নয়। বরং পিতা ও অভিভাবকদের পক্ষ হ’তে তার জন্য শুভ কামনা বা দো‘আ স্বরূপ। যেমন রাসূল (ছাঃ)-এর নাম তার দাদা রেখেছিলেন ‘মুহাম্মাদ’ ও মা রেখেছিলেন ‘আহমাদ’ (প্রশংসিত)। অনুরূপভাবে রাসূল (ছাঃ) মুতার যুদ্ধবিজয়ী সেনাপতি খালেদকে দো‘আ করে অশ্রুসজল নেত্রে বলেছিলেন, এবারে ঝান্ডা হাতে নিয়েছে ‘আল্লাহর তরবারি সমূহের অন্যতম ‘তরবারি’। অতঃপর আল্লাহ তাদের হাতে বিজয় দান করেন’ (বুখারী হা/৪২৬২)। অর্থাৎ খালেদ নিজে ঐ নাম অর্থাৎ ‘সায়ফুল্লাহ’ নাম গ্রহণ করেননি, বরং তাঁর অভিভাবক রাসূল (ছাঃ) তাকে ঐ লকব দিয়েছিলেন। রাসূল (ছাঃ)-এর নিজের ছেলে আব্দুল্লাহর লকব ছিল ত্বাইয়িব ও ত্বাহির (পবিত্র)। অতএব পিতা-মাতা তার সন্তানের জন্য দো‘আ হিসাবে উক্ত গুণবাচক নাম সমূহ রাখতে পারেন।

জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ইয়া‘লা, বারাকাহ, আফলাহ, ইয়াসার ও নাফে‘ ইত্যাদি নাম রাখা বারণ করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। অতঃপর তাকে আমি লক্ষ্য করলাম যে, এ ব্যাপারে তিনি  নিশ্চুপ থাকলেন, কিছু বললেন না। তারপর রাসূল (ছাঃ) কে উঠিয়ে নেওয়া হ’ল এবং তিনি তা (শক্তভাবে) নিষেধ করেননি। পরে ওমর (রাঃ) তা বারণ করার ইচ্ছা পোষণ করলেন, তারপর তিনিও তা পরিত্যাগ করেন (মুসলিম হা/২১৩৮; মিশকাত হা/৪৭৫৪)

প্রশ্নকারী : রিযওয়ান ছিদ্দীক, দিনাজপুর সদর।








প্রশ্ন (৩৯/১৫৯) : মানুষ যখন ঘুমায় তখন তার রূহ দেহে অবস্থান করে কি? - -মীযানুর রহমান, চোরকোল, ঝিনাইদহ।
প্রশ্ন (১৪/৩৭৪) : বিতর ছালাত পড়ার সময় তাকবীর দিয়ে হাত উঠানোর পর পুনরায় হাত বেঁধে দো‘আ কুনুত পড়ার ছহীহ দলীল জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩৮/১১৮) : চার রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাতের শেষ বৈঠকে নিতম্বের উপরে বসতে হয়। এক্ষণে দু’রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাতেও এভাবে বসতে হবে কি? - -মানছূরা, কাছনা, রংপুর।
প্রশ্ন (২২/১০২) : আমি প্রিন্টিং-এর ব্যবসা করি। ব্যবসায়িক স্বার্থে আমাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিরক-বিদ‘আত, হারাম-হালাল ইত্যাদি কার্যাবলীর পোস্টার, দাওয়াতকার্ড ইত্যাদি ছাপাতে হয়। এগুলি করা বাদ দিলে ক্ষতির সম্মুখীন হ’তে হয়। আবার অর্ডার নিলে হারাম কাজের সাথে হালাল কাজও পাওয়া যায়। এক্ষণে হারাম কার্যাবলী করে দিয়ে সেগুলির লভ্যাংশ নেকীর আশা ব্যতীত দান করে দিলে উক্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে কি? - -যাকারিয়া হোসাইন, কামারখন্দ, সিরাজগঞ্জ।
প্রশ্ন (১২/২৯২) : সরকারী এমপিওভুক্ত মাদ্রাসায় যাকাত, ফেৎরা, ওশর, কুরবানীর চামড়া ইত্যাদি গ্রহণ করা এবং তা প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৩/১৪৩): মুনাজাত চালু হওয়ার ইতিহাস জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩০/১৯০) : আমার পিতা মারা গেলে কাফন পরানোর সময় আমাদের মসজিদের ইমাম পিতার কপালে সুগন্ধি দ্বারা আল্লাহ ও মুহাম্মাদ লিখে দেন। এর পক্ষে কোন দলীল আছে কি?
প্রশ্ন (২৭/৬৭) : রাসূল (ছাঃ) পানিতে ফুঁ দিয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন। এক্ষণে চা, কফি ফুঁ দিয়ে পান করা যাবে কি? - -আবু সাঈদ, দক্ষিণ সালনা, গাযীপুর।
প্রশ্ন (১৪/৫৪) : সাত শ্রেণীর মানুষ আরশের ছায়াতলে থাকবে মর্মে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। এই আরশ বলতে কি আল্লাহর আরশ বুঝানো হয়েছে?
প্রশ্ন (২৫/১৪৫) : কারেন্ট শক খেয়ে কোন প্রাণী মারা গেলে তার গোশত খাওয়া যাবে কি? - -সিরাজুল হক, বাঁশকাটা, গাইবান্ধা।
প্রশ্ন (১৯/২৫৯) : জনৈক ইমাম বলেন, ৬৪ হাযার টাকা থাকলে কুরবানী করা ওয়াজিব। কারণ স্বর্ণ-রৌপ্যের দাম হিসাব করে কুরবানী ওয়াজিব হয় এবং যাকাত ফরয হয়। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (৩১/২৭১) : সন্তানের নাম ইয়াস, আয়াস বা আইয়াশ হাসান রাখা যাবে কি? - -আল-আমীন, মধ্য নওদাপাড়া, রাজশাহী।
আরও
আরও
.