উত্তর :
যে স্থানে পশু যবেহ করার জন্য মানত করা হয়েছে সেখানেই যবেহ করতে হবে, যদি
সেখানে কোন মূর্তি বা অন্য ধর্মের কোন স্মৃতি বিজড়িত না থাকে। এরূপ করলে
কাফফারা দিতে হবে। ছাবিত ইবনু যাহহাক (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ)-এর
যামানায় জনৈক ব্যক্তি এরূপ মানত করে যে, সে ‘বাওয়ানা’ নামক স্থানে একটি উট
কুরবানী করবে। রাসূল (ছাঃ)-কে এটি জানানো হ’লে তিনি জিজ্ঞেস করেন, সেখানে
কি কোন দেব-দেবীর মূর্তি আছে, জাহেলী যুগে যাদের পূজা করা হ’ত? তারা বললেন,
না। তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এটা কি তাদের উৎসবের স্থান? তারা বললেন, না।
তখন তিনি বললেন, তাহ’লে তুমি তোমার মানত পূর্ণ কর। কিন্তু জেনে রেখ! ঐ মানত
পূরণ করবে না, যাতে আল্লাহর নাফরমানী আছে এবং আদম সন্তান যার মালিক নয়’ (আবুদাউদ হা/৩৩১৩; মিশকাত হা/৩৪৩৭; ছহীহাহ হা/২৮৭২)।
ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, মানত দুই প্রকার : একটি
আল্লাহর জন্য, একটি শয়তানের জন্য। যেটি আল্লাহর জন্য, সেটি পূর্ণ করবে। আর
যেটি শয়তানের জন্য, সেটি পূর্ণ করবে না। বরং তার উপরে কসমের কাফফারা ওয়াজিব
হবে’ (বায়হাক্বী ১০/৭২ পৃ. হা/২০৫৭১; ছহীহাহ হা/৪৭৯)।
অতএব নিয়ত অনুযায়ী যথাস্থানেই মানত পূরণ করতে হবে, যদি সেখানে আল্লাহর অবাধ্যতা না থাকে এবং সেখানে কোনরূপ শিরক ও বিদ‘আত না হয়। নইলে অন্যত্র দান করবে ও মানতের কাফফারা দিবে। আর মানতের কাফফারা হ’ল কসমের কাফফারার ন্যায়। আর তা হ’ল, ১০ জন মিসকীনকে মধ্যম ধরনের খাদ্য বা পোষাক প্রদান করা অথবা একটি গোলাম আযাদ করা। অথবা তিনটি ছিয়াম পালন করা’ (মায়েদাহ ৫/৮৯)। অতএব মানতকারী ও দানকারীরা সাবধান!