উত্তর :
একথা সঠিক। মুমিনের রোগ-ব্যাধি হ’লে সেটি তার গুনাহের কাফফারা হয়। যেমন
(১) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মুসলমানের কোন বিপদাপদ, রোগ-ব্যাধি,
দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনা, দুঃখ-কষ্ট হয় না, এমনকি তার দেহে কোন কাঁটাও বিদ্ধ
হয় না, যার দ্বারা আল্লাহ তার গুনাহ সমূহ মাফ করে দেন না’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১৫৩৭)।
(২) তিনি বলেন, ‘মুমিন নর-নারীর জীবনে এবং তার সন্তান-সন্ততি ও ধন-সম্পদের
উপর অনবরত বিপদাপদ লেগেই থাকে। অবশেষে সে গুনাহমুক্ত অবস্থায় আল্লাহর সাথে
সাক্ষাৎ করে’ (তিরমিযী হা/২৩৯৯ ‘বিপদে ধৈর্যধারণ’ অনুচ্ছেদ)।
(৩) মহিলা ছাহাবী উম্মুল ‘আলা বলেন, একবার আমি পীড়িত হ’লে রাসূল (ছাঃ) আমাকে দেখতে এসে (সান্ত্বনা দিয়ে) বলেন, ‘হে ‘আলার মা! সুসংবাদ গ্রহণ করো, আগুন যেভাবে সোনা-রূপার ময়লা ছাফ করে দেয়, সেইরূপ মহান আল্লাহ রোগের মাধ্যমে মুসলিম বান্দার পাপগুলোকে দূর করে দেন’ (আবুদাঊদ হা/৩০৯২; সিলসিলা ছহীহাহ/৭১৪)।
(৪) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ যখন কোন মুসলিমকে দৈহিক রোগ দিয়ে পরীক্ষা করেন, তখন তিনি ফেরেশতাকে বলেন, বান্দা যে নেক আমলগুলি নিয়মিত করত, সেগুলির নেকী তার আমলনামায় লিপিবদ্ধ করতে থাক। অতঃপর আল্লাহ যদি তাকে আরোগ্য দান করেন, তাহ’লে তাকে গুনাহ থেকে ধুয়ে-মুছে ছাফ করে দেন। আর যদি তাকে মৃত্যু দান করেন, তাহ’লে তাকে মাফ করে দেন এবং তার প্রতি রহম করেন’ (আহমাদ হা/১৩৭১২; মিশকাত হা/১৫৬০)। (৫) তিনি বলেন, ‘যদি কেউ পীড়িত হয় বা সফরে থাকে, তাহ’লে বাড়ীতে সুস্থ অবস্থায় সে যে নেক আমল করত, সেইরূপ ছওয়াব তার জন্য লেখা হবে’ (বুখারী হা/২৯৯৬, মিশকাত হা/১৫৪৪)।
প্রশ্নকারী : সুলতান, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল।