উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৪০০ আলোচনা দ্রঃ)।
তবে বিবাহের মাধ্যমে অভাব দূর হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
‘তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন আছে, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও ... তারা
যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দিবেন’ (নূর ২৪/৩২)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ স্বীয় কর্তব্য হিসাবে
নির্ধারণ করেছেন, তাদের একজন হ’ল, বিবাহে ইচ্ছুক ব্যক্তি যে বিবাহের
মাধ্যমে পবিত্র জীবন-যাপন করতে চায় (তিরমিযী, মিশকাত হা/৩০৮৯)।
নবী করীম (ছাঃ) জনৈক যুবকের বিবাহহীন থাকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে
বলেন, ‘আমি বিবাহ করেছি। যে ব্যক্তি আমার তরীকাকে অস্বীকার করবে সে আমার
দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত নয় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৪৫)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন কোন ব্যক্তি বিবাহ করল, তখন সে দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করল’ (বায়হাক্বী, মিশকাত হা/৩০৯৬, সনদ হাসান)। সুতরাং বিবাহ না করলে ব্যক্তি গোনাহগার না হলেও এতে শরী‘আতের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানকে অগ্রাহ্য করা হয়।