উত্তর : উক্ত ব্যাখ্যা সঠিক নয়। কারণ এখানে ‘নূর’ দ্বারা কুরআনকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কুরআন শিরকের অন্ধকার হতে মানুষকে তাওহীদের আলোর পথে বের করে আনে। এখানে ‘কিতাবুল মুবীন’  (كتابٌ مبينٌ)‘নূর’ (نُوْرٌ)-এর উপর عطف بيان হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ বলছেন, ‘তোমাদের নিকট আল্লাহর নিকট থেকে এসেছে একটি জ্যোতি ও সমুজ্জ্বল গ্রন্থ’ (মায়েদাহ ১৫)। দু’টির অর্থ একই। এর পরের আয়াতেই যার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে يَهْدِيْ بِهِ اللهُ مَنِ اتَّبَعَ رِضْوَانَهُ سُبُلَ السَّلاَمِ ‘এর দ্বারা আল্লাহ শান্তির রাস্তাসমূহ প্রদর্শন করেন ঐ ব্যক্তির জন্য, যে তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করে’.. (মায়েদাহ ১৬)। ১৫ আয়াতে বর্ণিত ‘নূর’ ও ‘কিতাব’ যদি দু’টি বস্ত্ত হ’ত, তাহ’লে ১৬ আয়াতে يَهْدِيْ بِهِ না বলে بَهْدِىْ بِهِمَا বলা হ’ত। অর্থাৎ ঐ দু’টির মাধ্যমে। যেমন পূর্ববর্তী সূরা নিসা-র শেষদিকে ১৭৪ আয়াতে বলা হয়েছে, হে মানবজাতি তোমাদের নিকট তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ হতে بُرْهَان (দলীল) এসেছে এবং আমরা তোমাদের উপর নাযিল করেছি نُوْرًا مُبِيْنًا (উজ্জ্বল জ্যোতি)। এখানে ‘বুরহান’ ও ‘নূর’ যে একই বস্ত্ত, তা পরবর্তী আয়াতেই বলে দেওয়া হয়েছে। যেমন,فَأَمَّا الَّذِيْنَ آمَنُوْا بِاللهِ وَاعْتَصَمُوْا بِهِ فَسَيُدْخِلُهُمْ فِيْ رَحْمَةٍ مِّنْهُ ‘অতএব যারা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে এবং কুরআনকে অাঁকড়ে ধরেছে। সত্বর তিনি তাদেরকে তাঁর রহমত ও অনুগ্রহের মধ্যে প্রবেশ করাবেন’ (নিসা ১৭৫)। এখানে وَاعْتَصَمُوْا بِهِ বলা হয়েছে, وَاعْتَصَمُوْا بِهِمَا বলা হয়নি। একইভাবে মায়েদা ১৫ আয়াতে ‘নূর’ ও ‘কিতাবুম মুবীন’ অর্থ কুরআন মজীদ। যার মাধ্যমে আল্লাহ ঈমানদারগণকে স্বীয় নির্দেশে অন্ধকার হ’তে বের করে আলোর দিকে পথ প্রদর্শন করেন (মায়েদাহ ১৬)

কোন কোন বিদ্বান ‘নূর’ অর্থ রাসূল (ছাঃ) অথবা ‘ইসলাম’ বলেছেন। তিনটির সারমর্ম একই। অর্থাৎ যদি কুরআন ও ইসলাম নিয়ে শেষনবীর আগমন না ঘটত, তাহলে মানুষ শিরকের অন্ধকার থেকে তাওহীদের আলোর পথ খুঁজে পেত না’ (তাফসীরুল মানার)

উল্লেখ্য যে, اَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ نُوْرِى ‘আল্লাহ সর্বপ্রথম আমার নূর পয়দা করেন’ বলে যে হাদীছ প্রচলিত আছে তা মওযূ বা জাল (সিলসিলা ছহীহাহ হা/৪৫৮-এর আলোচনা দ্রঃ)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নূরের তৈরী ছিলেন না। বরং আল্লাহ বলেন, ‘হে রাসূল! তুমি বলে দাও যে, আমি তোমাদেরই মত একজন মানুষ... (কাহফ ১১০)






প্রশ্ন (২৩/৪৬৩) : আমি একটি কোম্পানীতে চাকুরী করি। আমাকে আয়ের উপর বাধ্যতামূলকভাবে কর দিতে হয়। কিন্তু আমি যদি তা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করি তাহ’লে প্রতি লাখে পনের হাযার টাকা কর মওকুফ পাওয়া যায়। এক্ষণে আমি সেখানে বিনিয়োগ করে তা থেকে প্রাপ্ত সূদ নেকীর আশা ছাড়া দা - -নূরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ।
প্রশ্ন (২৭/১৪৭) : তাশাহহুদে বসা অবস্থায় দৃষ্টি সিজদার স্থানের দিকে না আঙ্গুল নাড়ানোর দিকে রাখতে হবে?
প্রশ্ন (৫/৪৫) : কোন ছেলে বা মেয়ে সংসার জীবনকে অনীহা করে যদি বিবাহ না করে তাহ’লে তার হুকুম কী?
প্রশ্ন (৩৫/৩১৫) : উটের গোশত ভক্ষণ করলে ওযূ নষ্ট হওয়ার কারণ কি?
প্রশ্ন (৯/২০৯) : হোমিও চিকিৎসায় ঔষধ দেওয়ার পর এর কার্যকারিতার জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু ঔষধ শেষ না হ’তেই রোগীরা ঔষধ নেওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করে। এমতাবস্থায় তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য পানিতে বা গ্লোবিউল্সে কয়েক ফোঁটা স্পিরিট মিশিয়ে দেওয়া হয় এবং এতে ঔষধের মূল্যও নেওয়া হয়। এভাবে ঔষধ দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১২/৫২) : জনৈক আলেম বলেন, আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) সূরা নাস ও ফালাক্বকে কুরআনের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করতেন না। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (৫/১৬৫) : জনৈক হিন্দু ব্যক্তি সুস্থ হওয়ায় নিয়ত অনুযায়ী মসজিদে কিছু টাকা ও কুরআন দিয়ে মানত পূরণ করতে চায়। এক্ষণে উক্ত মানত গ্রহণ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৭/৩১৭) : শহীদ কারা? প্রকৃত শহীদের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৭/৬৭) : অধিক খাওয়া বা দ্রুত খাওয়ার ব্যাপারে বর্তমানে যেভাবে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, এগুলি জায়েয হবে কি? - -আব্দুল মান্নান, মোহনপুর, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২১/২৬১) : জুম‘আর খুৎবা চলাকালীন সময়ে মুছল্ল­ীবৃন্দ কিভাবে বসে খুৎবা শ্রবণ করবে?
প্রশ্ন (৩৬/৭৬) : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আঙ্গুল ও খাদ্যপাত্র চেটে খাওয়া এবং পাত্র হ’তে খাদ্য পড়ে গেলে উঠিয়ে খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, এর কারণ কি? - -ওবায়দুল্লাহ, ধামরাই, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৪/৪১৪) : ই‘তিকাফ করার সময় কারো যদি মসজিদে খাবার দেওয়ার কেউ না থাকে, তবে সে সামান্য দূরে বাড়ি থেকে সাহারী ও ইফতার করে আসতে পারবে কি? - -ফাতেহ উল হোসাইনমীরপুর, ঢাকা।*[নাম সঠিক করুন। আব্দুল ফাত্তাহ রাখতে পারেন (স.স.)]
আরও
আরও
.