উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর অসীলায় প্রার্থনা করা বা কোন বিপদে তার নিকটে সাহায্য কামনা করা বড় শিরকের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন, ‘(হে নবী!) তুমি বলে দাও যে, আমি তোমাদের কোনরূপ ক্ষতি বা উপকার করার ক্ষমতা রাখি না’ (জিন ৭২/২১)। রাসূল (ছাঃ) নিজ কন্যা ফাতেমা (রাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে ফাতেমা বিনতে মুহাম্মাদ! তুমি নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও। আমি ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহর শাস্তি থেকে তোমাকে রক্ষায় কিছুই করতে পারব না’ (মুসলিম হা/২০৪; মিশকাত হা/৫৩৭৩)। আল্লাহ বলেন, হে নবী! তুমি বলে দাও, আমি আমার নিজের কোন উপকার ও ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখি না, আল্লাহ যা চান তা ব্যতীত। আর আমি যদি গায়েব জানতাম, তাহ’লে অধিক অধিক কল্যাণ লাভ করতাম এবং আমাকে কোন ক্ষতি স্পর্শ করতে পারত না (আ‘রাফ ৭/১৮৮)। যে রাসূল নিজের কোন উপকার করার ক্ষমতা রাখেন না, মৃত্যুর পরে তাঁর পক্ষে অপরের উপকার করা কিভাবে সম্ভব? তাহ’লে তো তিনি জামাতা আলী এবং নাতি হাসান ও হোসাইনকে নিহত হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারতেন।

ওমর ফারূক (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহ! আমরা তোমার নবীর অসীলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করতাম এবং তুমি আমাদের বৃষ্টি দিতে। এখন (তাঁর মৃত্যুর পরে) নবীর চাচা (আববাস)-এর অসীলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করছি। অতএব তুমি আমাদের বৃষ্টি দাও! অতঃপর বৃষ্টি হ’ত (বুখারী হা/১০১০; মিশকাত হা/১৫০৯)। এতে পরিষ্কার যে, জীবিত মানুষের অসীলা ধরা যায়। কিন্তু মৃত মানুষের নয়। তাই তিনি নবী-রাসূল বা যেই-ই হৌন না কেন। সেজন্যই রাসূল (ছাঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবনু আববাসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুমি কিছু চাইলে আল্লাহর নিকটেই চাও, সাহায্য প্রার্থনা করলে আল্লাহর কাছেই প্রার্থনা কর’ (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৩০২)। কিছু যঈফ ও জাল হাদীছ দ্বারা ছূফীরা অসীলা সাব্যস্ত করার চেষ্টা করে থাকে মাত্র (দ্রঃ আলবানী, আত-তাওয়াসসুল পৃঃ ১০১-০৩)






প্রশ্ন (৯/৮৯) : আমি কা‘বাগৃহের সামনে বসে দো‘আ ও মানত করেছিলাম যে, আমার সন্তান হ’লে আমি ওমরাহ করব। পরবর্তীতে আমার সন্তান হয়েছে। এক্ষণে আমার পক্ষ থেকে আমার স্বামী যদি ওমরাহ করেন তাহ’লে উক্ত মানত পূর্ণ হবে কি?
প্রশ্ন (৩৪/৪৩৪) : জনৈক আলেম বলেন, কোন নারী যদি কাউকে বালেগ হওয়ার পরেও স্বীয় দুগ্ধ পান করায়, সে উক্ত নারীর জন্য হারাম হয়ে যাবে। এর সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (৩৫/২৭৫) : রামাযান মাসে একই ব্যক্তি সাহারী ও ফজরের আযান দিতে পারবে কি? - -নযরুল ইসলাম, কালাইবাড়ী, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (২৬/৬৬) : ছালাতের কাতার ঠিক করে নেওয়ার দায়িত্ব কার? যদি এই দায়িত্ব ইমামের হয়, তাহ’লে তিনি না করলে কতটুকু দায়ী হবেন? কারণ মুক্তাদীরা কাতার সোজা করার প্রতি কোন গুরুত্ব দেয় না।
প্রশ্ন (৩৮/৩৫৮) প্রচলিত রীতি অনুযায়ী সূরা তওবার প্রথমে বিসমিল্লাহ পড়তে হয় না। এর কোন দলীল আছে কি?
প্রশ্ন (১/২৮১) : মানুষকে সূদমুক্ত করযে হাসানাহ দেওয়ার ফযীলত কি? - আব্দুস সালাম, চাপাতলী বাজার, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (১০/২১০) : হায়েযের রক্ত বন্ধ হওয়ার পর সহবাস করার জন্য গোসল কি আবশ্যক হবে? না ওযু বা কেবল পরিচ্ছন্ন হওয়ার মাধ্যমেই পবিত্রতা অর্জন করা যাবে?
প্রশ্ন (১৬/১৭৬) : কবরে গিয়ে পিতার জন্য দো‘আ করার পদ্ধতি কি? সেখানে গিয়ে নিজের জন্য দো‘আ করা যাবে কি? - -গিয়াছুদ্দীন আহমাদ, কালীগঞ্জ, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (১৯/৪১৯) : জনৈক ব্যক্তি ৬ তলা একটি ফ্ল্যাট বাড়ী ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে দু’বছরের জন্য ভাড়া দিল। এ সময়ে গ্রহীতা উক্ত বাড়ির ভাড়া পাবে। ২ বছর পর গ্রহীতাকে মূল মালিক ৫ লাখ টাকা ফেরত প্রদান সাপেক্ষে বাসার মালিকানা ফেরত পাবে। এরূপ চুক্তি কি শরী‘আত সম্মত?
প্রশ্ন (৩৪/৪৭৪) : রাসূল (ছাঃ) প্রতিদিন সকালে মধু পান করতেন- এর সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (৩/৩৬৩) : আমি একটি স্কুলের সভাপতি। স্কুলের উন্নয়নে নানা পরিশ্রম করতে হয়। এক্ষণে উক্ত খেদমতের ফলে আমার কোন ছওয়াব হবে কি?
প্রশ্ন (৩১/৭১) : ওযূ ভেঙ্গে যাওয়ায় একজন মুছল্লী ছালাত ছেড়ে চলে গেলে সামনের কাতারে ফাঁক তৈরী হয়। এক্ষণে পিছনে দু’জন থাকলে একজন সামনে গিয়ে কাতার পূর্ণ করবে, না পিছনের কাতার ঠিক রাখবে? - -আবুল কালামমাকলাহাট, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
আরও
আরও
.