পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পথে কয়েকবার বিশ্রাম নিয়ে ঘণ্টা চারেকের মধ্যে মদীনার কাছাকাছি পৌঁছে গেলাম। চির প্রশান্তির নগরী মাদীনাতুন্নবীর স্নিগ্ধ পরশে আরো একবার আসার সুযোগ দি
আল-ক্বাছীম প্রদেশের মূল প্রশাসনিক কেন্দ্র বুরাইদা থেকে ৭০ কি. মি. দূরত্বে অবস্থিত ছোট্ট একটি শহর রিয়াযুল খাবরা। শান্ত, নিস্তরঙ্গ। শহরের সবচেয়ে জনবহুল স্থানেও তেমন লোকজনের উপস্থিতি নেই। চমৎকার পার্কগুলো প্রায় জনশূন্য। তবে ফসলাদি, ক্ষেত-খামার, সবুজের ছ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । মাগরিবের কিছুক্ষণ পর আমরা মারজান দ্বীপে পৌঁছাই। ততক্ষণে দাম্মাম ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি জনাব আব্দুল্লাহ আল-মামূন ভাইয়ের নেতৃত্বে দায়িত্বশীল ভাইয়েরা উপস্থিত হয়েছেন। সবুজ ঘাসে মোড়া ও গাছপালা ঘেরা এই
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।ইত্তিহাদের মধ্যম গোছের ফ্লাইটটি শ’দেড়েক যাত্রী নিয়ে আরব উপসাগরের উপর দিয়ে ধীরলয়ে উড়ে চলে গন্তব্যের পথে। অধিকাংশই ইন্ডিয়ান ও বাংলাদেশী গতর খাটা মানুষ। কত স্বপ্ন, কত সংকল্প নিয়ে মানুষগুলোর এই অভিযাত্রা। তবে তাতে উচ্ছাসের
১৪ই মার্চ ২০২৩। ফজরের পর আরো কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিলাম। আজকের গন্তব্য শারজাহ। প্রসঙ্গতঃ শারজাহ আরবী উচ্চারণে হয় আশ-শারেকা (الشارقة) বা পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা। অনারবরা ভুল উচ্চারণে শারজাহ বলে থাকেন, যা আরবরাও মেনে নিয়েছে। ফলে ইংরেজীতে তারাও এখন শারজাহ্ই লেখে।
সঊদী আরবের বিভিন্ন শহরে অবস্থানরত অসংখ্য দ্বীনী ভাই প্রতিনিয়তই নওদাপাড়া মারকাযে আসেন। তাদের প্রবাস জীবন, দাওয়াতী কাজের হাল-হাকীকত বর্ণনা করেন। কখনও দাওয়াত দেন নিজ নিজ শহরে-কর্মস্থলে। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর প্রবাসী সংগঠনের সুপ্রিয় দায়িত্বশীলগ
গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহের কোন এক পড়ন্ত বিকেলে রাজশাহীতে ‘মাসিক আত-তাহরীক’ চত্বরে আনমনা হয়ে বসে ছিলাম। হঠাৎ ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’, কুমিল্লা যেলার সভাপতি মাওলানা ছফিউল্লাহ ভাই মোবাইল করে জানালেন মালদ্বীপ প্রবাসী তাঁর এক চাচাতো ভাই ‘যুবসংঘ’
হাদীছের পাতায় পড়েছিলাম সুমাইয়া ও বেলাল (রাঃ)-এর ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ফলে করুণ কষ্টের কথা। খোবায়েব (রাঃ)-এর ফাঁসির কাষ্ঠে শাহাদত বরণের ব্যথা। তাঁরা সকল কষ্ট-ব্যথা হাসিমুখে বরণ করে নিয়ে জান্নাতের সুধা পান করেছেন কেবল দ্বীনের প্রতি নিখাদ ভালবাসার
এ বছর কুরবানী ঈদের কথা। ঈদের ২ সপ্তাহ পূর্বে ইসলামাবাদ নেমেছি। দেশের বাইরে এই প্রথম আসা। সবকিছুই মনে হয় নতুন। চোখের তারায় খেলা করে সদ্য শৈশবউত্তীর্ণ কৈশোরের কৌতুহল। সবকিছুকে নিজ দেশের অভিজ্ঞতার সাথে তুলনা করার চেষ্টা। এমনকি রাস্তার পার্শ্বে অ
গত ৩০ সেপ্টেম্বর’১৩ (ঢাকা থেকে পাকিস্তান আসার সময়) করাচী থেকে ইসলামাবাদগামী পিআইএ’র ডোমেস্টিক ফ্লাইটে উঠার পর কেবিন ক্রু হাতে ধরিয়ে দিল পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ ইংরেজী দৈনিক দ্যা ডন। নামটির সাথে পরিচয় অনেক দিনের, সেদিন প্রথম পত্রিকাটি হাতে নিয়ে দ
১.চলতি বছরের জানুয়ারীতে পেশোয়ার যাওয়ার পথে ‘নওশেরা’ নামটি চোখে পড়তেই হৃদকম্পন দিয়ে কল্পনায় ভেসে উঠেছিল সাইয়েদ আহমাদ ব্রেলভী (রহ.), শাহ ইসমাঈল শহীদ (রহ.)-এর নেতৃত্বে পরিচালিত উপমহাদেশের প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলন তথা বৃটিশ ও শিখবিরোধী ‘জিহাদ আন্দ
হজ্জ-ওমরাহ পালনের সুপ্ত বাসনা নেই এরূপ মুসলমান খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। যথারীতি সেই আকাংখা সুপ্ত ছিল আমার মধ্যেও। তবে এই নবীন বয়সেই সেটা পূরণ হয়ে যাবে এমনটা কখনো ভাবতে পারিনি। ২০০০ সালে আমার আববু (প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব) শেষবারের
২৮ শে জুলাই’১৪ সোমবার :ঈদুল ফিতরের দিন। রাত সাড়ে তিনটায় ঘুম থেকে উঠলাম। আযানের আগেই বাসা থেকে বের না হ’লে মাসজিদুল হারামের ভিতরে বসে ঈদের ছালাত পড়া যাবে না। তাই দ্রুততার সাথে গোসল সেরে ৩টি খেজুর খেয়ে তৈরী হয়ে গেলাম। পার্শ্ববর্তী হোটেল থেকে এস
৪পরদিন ফজরের ছালাত পড়ে মসজিদ থেকে ফিরছি। দিনের আলো কেবল ফুটতে শুরু করেছে। পূর্বদিকে ঘন জমাট অাঁধার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা গগণচুম্বী পাহাড়ের ঠিক মাথার উপর আটকে আছে বাঁকা চাঁদ, রহস্যময় ক্ষীণ আলো নিয়ে। চলতি পথে হঠাৎ যেন বাঁধা পেয়ে থমকে দাঁড়িয়েছে। একর
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩।৮.২৮শে জানুয়ারী ২০২০, সকাল ৮-টা। গাড়ি ছুটে চলেছে জাকার্তার পথে। পথিমধ্যে আমার কয়েকজন ইন্দোনেশীয় বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করি। প্রিয় বন্ধু শুআ‘ইব আব্দুল হালীমসহ ছোটভাই সান্দ্রী, এমহা ও আহমাদ ফাতেহের সাথে ক
মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের লেখনীর মাধ্যমে যখন জেনেছিলাম ‘ছাহাবায়ে কেরামের অনেকে ব্যবসার পণ্য নিয়ে পালের নাও সাজিয়ে জাভা-সুমাত্রা-মালাক্কা দ্বীপসমূহে আগমন করেছিলেন, তখন থেকেই মনের মধ্যে এক উদগ্র বাসনা চেপে বসেছিল, ওসব এলাকা দেখার জন্য। সে বাসনার
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩। শেষ পর্ব ।৬.২৭শে জানুয়ারী ২০২০ বেলা ১১-টা। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্ট থেকে জেট স্টারের একটি ফ্লাইটে রওয়ানা হ’লাম ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার পথে। যাত্রীদের অধিকাংশই ইন্দোনেশীয়। চাইনিজ নববর
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩। শেষ পর্ব । ৪.২৫শে জানুয়ারী চাইনিজ ইয়ার উপলক্ষ্যে ছুটির দিন। পাবলিক ট্রান্সপোর্টের বাস ছাড়া রাস্তাঘাটে তেমন গাড়িঘোড়া নেই। আজ সকাল ১০-টা থেকে ইজতেমা শুরু হবে কামবাঙ্গানের জালান সেলামাত রোডস্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩। শেষ পর্ব ।১.‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ সিঙ্গাপুর শাখার উদ্যোগে বেশ কয়েক বছর পর এবার বড় আয়োজনে বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমা হ’তে যাচ্ছে জেনে খুশী হলাম। আরো ভাল লাগল যখন জানলাম শায়খ মতীউর রহমান মাদানী (দাম্মাম
‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় উদ্যোগে আয়োজিত শিক্ষাসফরে মনপুরা থেকে ঢাকা ফেরার পথে ০৯.০৩.২০১৯ শনিবার বাদ মাগরিব অভিজ্ঞতা বর্ণনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্য থেকে - ১. মাওলানা আব্দুল্লাহ (সভাপতি, আহলেহাদীছ আন্দোলন,
৭ই মার্চ বৃহস্পতিবার ২০১৯। সফরকারীদের প্রায় সকলে মাগরিবের পূর্বেই দেশের বিভিন্ন যেলা থেকে এসে সদরঘাট পৌঁছে গিয়েছেন। আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব পৌঁছেছেন আছরের পরপরই। এটা ছিল আমীরে জামা‘আতকে সাথে নিয়ে ৫ম সাংগঠনিক ও দাওয়াতী শ
বাদশাহ জাহাঙ্গীরের সমাধিক্ষেত্র থেকে বের হয়ে আমরা লাহোরের কেন্দ্রস্থল আযাদী চক বা স্বাধীনতা স্কয়ারে আসি। আমাদের গন্তব্য ছিল লাহোরের সৌন্দর্যতিলক বাদশাহী মসজিদ সংলগ্ন লাহোর ফোর্ট। লাহোর সিটির মধ্যস্থলে প্রায় সর্বত্রই এই ফোর্টের প্রাচীর নযরে পড়
৪ঠা জুলাই ২০১৭। লাহোরে পঞ্চমবারের মত পা রাখা। ইসলামাবাদ থেকে ইসলামাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে রওনা হয়েছিলাম বিকেলে। রাত ১০-টার দিকে নামলাম লাহোর রেলস্টেশনে। মোঘল আমলের ক্যাসল কিংবা দুর্গের আদলে নির্মিত স্টেশনটির ধুসর লাল কাঠামো এক লহমায় দর্শকক
গত তিন বছর যাবৎ ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কিন্তু কোনটিতেই আমার অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি। এবারে চতুর্থবারে আমি অংশ নিয়েছিলাম।ঐতিহা
৮ই আগস্ট, ২০১৬। বেলা ১০টার দিকে ফোন এল আব্দুর রহমান ভাইয়ের। ‘আমি নাথিয়াগলি আছি। আসতে পারবে এখানে? বালাকোট জিহাদের স্মৃতিবাহী যে পতাকার খোঁজ করছিলে, তার সন্ধান পাওয়া গেছে’। সোমবার। সুতরাং লাইব্রেরী খোলা। কি কারণে যেন যাইনি সেদিন। রুমেই ছিলাম। এক
(মার্চ’১৬ সংখ্যায় প্রকাশিতের পর)নীলাম রোড ধরে গাড়ি এগিয়ে চলল আযাদ কাশ্মীরের উত্তরের ভূখন্ড নীলাম ভ্যালির পথে। ১৪৪ কি.মি. দৈর্ঘ্য ঘন সবুজ বনানী ঘেরা এই পাহাড়ী উপত্যকা নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য পৃথিবীখ্যাত। এটি আযাদ কাশ্মীরের বৃহত্তম অংশও বটে। পাহাড়ের ঢ
জীবনের গতিপথ যে হিসাব মেনে চলে না, তার প্রমাণ ইদানিং একদম হাতে নাতে পেয়ে যাচ্ছি। মারী হিল্সে যাব ভাবছি ক’দিন ধরেই, কিন্ত আজ-কালের ঘূর্ণাবর্ত ভেদ করতে না পেরে ভাবনাটা দোদুল্যমান থাকে। হাড়কাঁপানো শীতের এক ভোর। আত-তাহরীকের সাময়িক প্রসঙ্গ কলামটি লি