উত্তর : এ তাফসীরে কিছু ভ্রান্ত আক্বীদা ও আমল এবং বহু স্থানে ভুল তাফসীরের সমাবেশ ঘটেছে। ফলে একে বিশুদ্ধ তাফসীর বলা যায় না। এর মধ্যে উল্লেখিত ভুলগুলোর কিছু দৃষ্টান্ত পেশ করা হ’ল : (১) ‘নবী’ বা ‘ওলী’র বরাত দিয়েও আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য প্রার্থনা করা কুরআনের নির্দেশ ও হাদীছের বর্ণনায় বৈধ প্রমাণিত হয়েছে’ (পৃঃ ৯, ৩২৭)। অথচ মৃত নবী বা অন্য কারুর অসীলা দিয়ে প্রার্থনা করা স্পষ্ট শিরক (মুসলিম হা/২০৪; মিশকাত হা/৫৩৭৩) (২) ‘সৃষ্ট জগতের মাঝে সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নূর সৃষ্টি করা হয়েছে’... এক হাদীছে বলা হয়েছে, আল্লাহ তা‘আলা সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করেছেন’ (পৃঃ ৪২৮)। অথচ এটি সম্পূর্ণ ভুল আক্বীদা এবং হাদীছটি জাল (ছহীহাহ হা/৪৫৮-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। (৩) ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর পবিত্র রওজা শরীফে জীবিত আছেন।... এ কারণই তাঁর পরিত্যক্ত সম্পত্তি বণ্টন করা হয়নি এবং এর ভিত্তিতেই তাঁর পত্নীগণের অবস্থা অপরাপর বিধবা নারীদের মত হয়নি’ (পৃঃ ১০৯৩)। অথচ ‘হায়াতুন্নবী’-র এই আক্বীদা পরিষ্কার শিরকী আক্বীদা (যুমার ৩০) (৪) ‘কোন না কোন একজন মুজতাহিদ ইমামের তাক্বলীদ করা অপরিহার্য। সকল মুজতাহিদ ইমামই সত্য’  (পৃঃ ৭৪৩)। অথচ কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণই কেবল অপরিহার্য এবং মুজতাহিদ ইমামগণ ভুলের ঊর্ধ্বে নন (৫) ‘আল্লাহ তা‘আলার কোন আকার নেই’ (পৃঃ ১৪৬৫)। অথচ কুরতুবী স্বীয় তাফসীরে অন্যের মন্তব্য উদ্ধৃত করেছেন এভাবে যে, ‘আমরা মানুষকে সর্বোত্তম অবয়বে সৃষ্টি করেছি’। এর অর্থ অনেকে করেছেন علي صورة الرحمن ‘আল্লাহর আকৃতিতে’। অথচ আল্লাহর বাস্তব আকার (صورة مةشخصة) কোথায় আছে ভাবার্থ ব্যতীত? (ঐ, ২০/১১৪)’। এ বিষয়ে সঠিক আক্বীদা হ’ল এই যে, আললাহর আকার আছে। কিন্তু তার তুলনীয় কিছুই নেই (শূরা ১১)। (৬) ‘এলমে তাছাউফও ফরযে আইনের অন্তর্ভুক্ত’ (পৃঃ ৫৯৬)। অথচ দ্বীনী ইলম হাছিল করা ফরয। ইসলামের সকল ইবাদতের মূল উদ্দেশ্য হ’ল তাযকিয়ায়ে নাফ্স বা আত্মশুদ্ধি। পৃথকভাবে ইলমে তাছাউওফের কোন অস্তিত্ব শরী‘আতে নেই। বরং কথিত ছুফীবাদের চোরাগলি দিয়েই মুলমানদের মধ্যে অধিকাংশ শিরক প্রবেশ করেছে (৭) অনুরূপভাবে সূরায়ে ‘মুহাম্মাদ’ ৩৮ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম  সৈয়ূতীর বরাতে বলা হয়েছে যে, ‘আলোচ্য আয়াতে ইমাম আবু হানীফা ও তাঁর সহচরদেরকে বুঝানো হয়েছে। কেননা তাঁরা পারস্য সন্তান। কোন দলই জ্ঞানের সেই স্তরে পৌঁছেনি, যেখানে আবু হানীফা ও তাঁর সহচরগণ পৌঁছেছেন’ (পৃঃ ১২৬৩)। এমনিভাবে অসংখ্য শিরকী আক্বীদা ও বিদ‘আতী আমলের প্রচারণা চালানো হয়েছে অত্র তাফসীর গ্রন্থে। অতএব কেউ পড়তে চাইলে জ্ঞান-বিবেক জাগ্রত রেখেই এ তাফসীর পড়তে হবে। কেননা তার মধ্যে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় ও রয়েছে।






প্রশ্ন (১৩/১৩) : মুহাম্মাদ (ছাঃ) মদীনায় যে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করেছিলেন তা কোন্ সংবিধানের আলোকে পরিচালনা করতেন? সে সংবিধানের প্রথম বাক্য ছিল?
প্রশ্ন (২/৪০২) : যদি কেউ জেনে-শুনে পাপ কাজে লিপ্ত হয় এবং পরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, তাহ’লে তার পাপ ক্ষমা হবে কি? ক্ষমা চাওয়ার পদ্ধতি কী? শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচার উপায় কী?
প্রশ্ন (১৮/১৮) : ফেরেশতাগণের নামে সন্তানের নাম রাখা যাবে কি? - -মেহেদী হাসানকানসাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (১৮/৯৮) : আমি একজন সরকারী কর্মকর্তা। আমার অফিসে বড় কর্মকর্তারা পরিদর্শনে আসলে তাদের আপ্যায়ন করা হয়। অথচ সরকার আপ্যায়ন করানোর জন্য কোন বরাদ্দ দেয় না। বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ থেকে ব্যয় সংকোচন করে এ খরচ করা হয়। এটা হালাল হবে কি-না জানতে চাই?
প্রশ্ন (২৩/১৪৩) : ছালাতে সিজদা দেওয়ার সময় আগে নাক ঠেকবে না কপাল ঠেকবে, আর সিজদা থেকে উঠার সময় কপাল আগে উঠবে না নাক উঠাতে হবে?
প্রশ্ন (৪/১৬৪) : গরু বা অন্য কোন পশুকে কৃত্রিমভাবে প্রজনন করা এবং এর বিনিময় গ্রহণ করতে কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (৪/৮৪) : বাথরুমে ওযূ করার ব্যবস্থা থাকলে সেখান থেকে বের হওয়ার দো‘আ কখন পাঠ করতে হবে? ওযূ করার পূর্বে নাকি বাথরুম থেকে বের হওয়ার সময়?
প্রশ্ন (৭/৪৪৭) : আমার স্বামীর কিছু অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য মাঝে মাঝে তার সাথে ঝগড়া হয়। একসময় আমি তার উপর অভিশাপ দেই যেন ঈমানহারা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরূপ অভিশাপ দেওয়া জায়েয কি? এর কোন কার্যকারিতা আছে কি? - -বিউটি বেগম, ময়মনসিংহ।
প্রশ্ন (১৮/২১৮) : জনৈক বয়স্ক ব্যক্তি ছাগলের সাথে অপকর্ম লিপ্ত হয়। পরে গ্রাম্য সালিশে তাকে ৩০ হাযার টাকা জরিমানা করা হয়। আর উক্ত টাকা ছাগলের মালিককে প্রদান করা হয়। এক্ষণে মালিকের টাকা নেওয়াটা জায়েয হয়েছে কি? আর ছাগলটিকে কি করতে হবে?
প্রশ্ন (১৫/২৫৫) : অনেকে বলে থাকেন, চেয়ার-টেবিলে খাওয়া ঠিক নয়। বরং মাটিতে বসে খাওয়াই সুন্নাত। একথা সঠিক কি?
প্রশ্ন (১০/৫০) : পানি পানের আদব সম্পর্কে জানতে চাই। - -কামাল হোসেন, গুরুদাসপুর, নাটোর।
প্রশ্ন (৩৫/২৩৫) : কবরে দো‘আ করার ক্ষেত্রে ক্বিবলামুখী হ’তে হবে কি? - -আবু আমাতুল্লাহ, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর।
আরও
আরও
.