উত্তর : সন্তানকে মানবতার সেবাদানের লক্ষ্যে গড়ে তোলার ব্রতে পিতা-মাতা যদি এরূপ কামনা করেন, তবে তাদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং আল্লাহর নিকটে তাওফীক কামনা করতে হবে। কারণ উক্ত পেশার মাধ্যমে বহু মানুষের জীবন রক্ষা সম্ভব হয়। যা অত্যন্ত নেকীর কাজ। আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি একজন মানুষকে বাঁচালো, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে বাঁচালো (মায়েদাহ ৫/৩২)।
নববী যুগে যুদ্ধের ময়দানে নারীরা সৈনিকদের চিকিৎসা সেবা দিতেন। যেমন ওহোদ যুদ্ধ শেষে হযরত আয়েশা, উম্মে সুলায়েম, উম্মে সুলাইত্ব, হামনাহ বিনতে জাহশ প্রমুখ প্রখ্যাত নারীরা পিঠে পানির মশক বহন করে এনে আহত সৈনিকদের পানি পান করান ও চিকিৎসা সেবা দান করেন (বুখারী, হা/৪০৬৪, ২৮৮১; ত্বাবারাণী, মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/১৫৪২৪, সনদ হাসান; সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৩৬১ পৃঃ)।
স্মর্তব্য যে, শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের মূল উদ্দেশ্য হ’ল স্রষ্টাকে জানা এবং তাঁর প্রেরিত বিধানসমূহ অবগত হওয়া। প্রকৃত শিক্ষা হ’ল সেটাই যা খালেক্ব-এর জ্ঞান দান করার সাথে সাথে ‘আলাক্ব-এর চাহিদা পূরণ করে। অর্থাৎ নৈতিক ও বৈষয়িক জ্ঞানের সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থাই হ’ল পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা ব্যবস্থা (তাফসীরুল কুরআন, সূরা আলাকের তাফসীর দ্রষ্টব্য)। তাই চিকিৎসা বিদ্যা যদি আল্লাহর পথে ব্যয়িত হয়, তবে সেটি জান্নাত লাভের অসীলা হবে ইনশাআল্লাহ।