উত্তর : পিতা-মাতা সন্তানের নিকট সমান সম্মানের পাত্র। যদিও সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে মায়ের অগ্রাধিকার রয়েছে। প্রশ্নে বর্ণিত ক্ষেত্রে সচেতন সন্তানের দায়িত্ব হ’ল নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে উভয়কে নিজেদের ভুলের ব্যাপারে সতর্ক করা এবং তাদের মাঝে মীমাংসা করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আর যখন তোমরা কথা বলবে তখন ন্যায় কথা বলবে, তা নিকটজনের বিরুদ্ধে হ’লেও (আন‘আম ৬/১৫২)। তিনি আরো বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক আল্লাহর জন্য সাক্ষ্যদাতা হিসাবে, যদিও সেটি তোমাদের নিজেদের কিংবা তোমাদের পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে যায়’ (নিসা ৪/১৩৫)। এক্ষণে তাদের মাঝে মীমাংসা করে দেওয়া উত্তম সদাচরণের অংশ। আর মীমাংসা করে দেওয়ার কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি না করলে পিতা-মাতার মাঝে বিচ্ছেদ ঘটতে পারে যা সন্তানের জীবনের জন্য বড়ই বেদনাদায়ক। রাসূল (ছাঃ) মীমাংসা করার গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে বলেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে (নফল) ছিয়াম, ছালাত ও ছাদাক্বা অপেক্ষাও উত্তম আমলের কথা বলব না? ছাহাবীগণ বললেন, অবশ্যই বলুন। তিনি বললেন, বিবাদমান দু’ব্যক্তির মাঝে সুসম্পর্ক স্থাপন করা। কেননা পরস্পর সম্পর্ক বিনষ্ট করা হ’ল দ্বীন ধ্বংসকারী বিষয় (তিরমিযী হা/২৫০৯; মিশকাত হা/৫০৩৮; ছহীহুত তারগীব হা/২৮১৪)। সর্বোপরি তাদের মধ্যে মীমাংসার জন্য দো‘আ করবে।
প্রশ্নকারী : আবু তাহের, চট্টগ্রাম।