উত্তর : মহিলাদের ব্যবহৃত অলংকারে যাকাত ফরয কি-না? এ ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। তবে সঠিক কথা হ’ল, নারীদের ব্যবহৃত অলংকারে যাকাত ফরয। যেমন (১) হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ)-এর স্ত্রী যয়নব বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদেরকে খুৎবায় বলেন, হে নারী জাতি! তোমরা ছাদাক্বা কর, যদিও তোমাদের অলংকার দ্বারা হয়। কেননা ক্বিয়ামতের দিন তোমরাই জাহান্নামবাসীদের অধিকাংশ হবে’ (তিরমিযী হা/৩৫৬; মিশকাত হা/১৮০৮)। (২) একবার ইয়ামনবাসী জনৈকা মহিলা তার কন্যাসহ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে আসলেন। তার কন্যার হাতে মোটা দু’টি স্বর্ণের বালা ছিল। তিনি তাকে বললেন, তুমি কি এর যাকাত দাও? মহিলাটি বলল, না। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, তুমি কি পসন্দ কর যে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা এর পরিবর্তে তোমাকে এক জোড়া আগুনের বালা পরিয়ে দেন? রাবী বলেন, একথা শুনে উক্ত মহিলা তার হাত থেকে বালা দু’টি খুলে রাসূল (ছাঃ)-এর সামনে রেখে দিয়ে বলল, এ দু’টি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য (নাসাঈ হা/২৪৭৯; আবুদাউদ হা/১৫৬৩; তিরমিযী হা/৬৩৭; মিশকাত হা/১৮০৯; ছহীহুত তারগীব হা/৭৬৮)। (৩) উম্মে সালামা (রাঃ) বলেন, আমি স্বর্ণের গহনা পরতাম। একদিন আমি রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! এটা কি সেই কান্যের অন্তর্ভুক্ত, যার শাস্তির কথা কুরআনে এসেছে (তওবা ৯/৩৪-৩৫)? রাসূল (ছাঃ) বললেন, ‘যদি নিছাব পরিমাণ হয় এবং তাতে যাকাত দেওয়া হয়, তখন তা কান্য হয় না’ (আবুদাঊদ হা/১৫৬৪; মিশকাত হা/১৮১০)

(৪) আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘একদিন রাসূল (ছাঃ) আমার নিকট উপস্থিত হয়ে আমার হাতে রূপার বড় বালা দেখতে পান এবং বলেন, হে আয়েশা! এটা কি? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার উদ্দেশ্যে সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য তৈরী করেছি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি এর যাকাত দাও? আমি বললাম, না অথবা আল্লাহ যা চেয়েছিলেন তাই বলেছি। তিনি বললেন, তোমাকে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট’ (আবুদাঊদ হা/১৫৬৫; ছহীহুত তারগীব হা/৭৬৯)। (৫) আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাঃ) বলেন, আমি ও আমার খালা হাতে স্বর্ণের বালা পরিহিতা অবস্থায় রাসূল (ছাঃ)-এর দরবারে প্রবেশ করলাম। তখন তিনি আমাদেরকে বললেন, তোমরা কি এর যাকাত দাও? আমরা বললাম, না। তিনি বললেন, ‘তোমরা কি ভয় পাও না যে, আল্লাহ এর পরিবর্তে  তোমাদেরকে  আগুনের  বালা  পরাবেন?  তোমরা যাকাত আদায় কর’ (মুসনাদে আহমাদ হা/২৭৬৫৫; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/৭৭০)

উপরোল্লিখিত হাদীছ সমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ব্যবহৃত অলংকারের যাকাত দিতে হবে। আর যেকোন মতপার্থক্যপূর্ণ বিষয়ে সন্দেহমুক্ত আমল করাই উত্তম (তাফসীরে আযওয়াউল বায়ান ২/১৩৪; মু‘আলিমুস সুনান ২/১৭; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৯/২৬৫; বিন বায, ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ ২/৮৪)






প্রশ্ন (১৪/১৩৪) : আল্লাহ তা‘আলা একদিন জিবরীল (আঃ)-কে কয়েকটি শহর ধ্বংস করতে বললে তিনি ঘুরে এসে বললেন, শহরগুলির একটিতে একজন আল্লাহভীরু ব্যক্তি রয়েছেন। কিন্তু তিনি তাঁকে সহই শহরটি ধ্বংস করার নির্দেশ দিলেন। বর্ণনাটির সত্যতা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৩/৬৩) : জনৈক ব্যক্তি হাদীছ অস্বীকার করে এবং বর্তমানে নবী হিসাবে কেবল মুহাম্মাদ (ছাঃ)-ই অনুসরণীয় সেটা সে বিশ্বাস করে না। এরূপ ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক রাখা বা তার যবেহকৃত পশু খাওয়া হালাল হবে কি?
প্রশ্ন (১২/২৫২) : বিপদে পড়ে মিথ্যা কথা বলা বা অন্যায় পথ অবলম্বন করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৪/২৪) : দরিদ্রতার কারণে ফিৎরা আদায় করতে না পারলে গোনাহগার হবে কি?
প্রশ্ন (১৭/২৯৭) : ছয় বছরের শিশু সাথে নিয়ে মসজিদে ছালাত আদায় করলে ইমাম ছাহেব ‘শিশুরা ছালাতের একাগ্রতা বিনষ্ট করে’-এই কারণ দেখিয়ে সাথে আনতে নিষেধ করেছেন। এ নিষেধাজ্ঞা শরী‘আতসম্মত কি?
প্রশ্ন (৩/২৪৩) : মহিলারা একজন পুরুষের ইমামতিতে মসজিদে ঈদের ছালাত আদায় করতে পারবে কী?
প্রশ্ন (৪০/২০০) : আমাদের মসজিদের মিম্বারটি চার স্তর বিশিষ্ট। শুনেছি রাসূলের মিম্বার ছিল তিন স্তর বিশিষ্ট। এক্ষণে করণীয় কি? - -মুহাম্মাদ মোশাররফ হোসাইন, বেরাইদ, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩০/২৩০) : দো‘আর অর্থ না জানা থাকলে তা দ্বারা আল্লাহর নিকটে কিছু কামনা করলে কবুলযোগ্য হবে কি?
প্রশ্ন (১৮/২৫৮) : আমি যে এলাকায় ব্যবসা করি, সেখানকার মানুষ কুকুর ও শূকর কেটে খায়। এমনকি আমি যে বাসায় থাকি তারাও খায়। তারা যে টিউবওয়েল-বাথরুম ব্যবহার করে আমিও সেগুলি ব্যবহার করি। এমনকি যখন ব্যবসা করি তখন তারা রক্ত মাখা হাতেই টাকা বের করে দেয়। এখন আমার প্রশ্ন, এরূপ পরিবেশে ব্যবসা করা জায়েয হবে কি? - -সোহেল রানা, ধুলিয়ান, ভারত।
প্রশ্ন (১৯/৪৫৯) : পার্টনারশীপ পোলট্রি ব্যবসায় প্রত্যেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে। সর্বসম্মতিতে শর্ত রয়েছে যে, বিনিয়োগকারী অর্জিত মুনাফার ৪০ শতাংশ পাবে, কিন্তু কোন লোকসান বহন করবে না। আর ব্যবসা পরিচালনাকারী ৬০% মুনাফা পাবে ও লোকসান বহন করবে। এরূপ ব্যবসা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩৭/৩১৭) : স্বামী মৃত্যুর আগে স্ত্রীকে তার এক বোনের বাড়িতে যেতে নিষেধ করেছেন। সম্ভবত ঐ বোনের স্বামীর আচরণের কারণে। এখন স্বামী মারা যাওয়ার পর স্ত্রী কি তার বোনের বাড়িতে যেতে পারবেন?
প্রশ্ন (৩৯/৩৯) : স্বামীর আপন চাচা, মামা, খালু কি স্ত্রীর জন্য মাহরাম? অন্যদিকে স্ত্রীর আপন খালা, ফুফু কি স্বামীর জন্য মাহরাম?
আরও
আরও
.