উত্তর : হাদীছটি ছহীহ। কিন্তু ব্যাখ্যাটি ভুল। দ্বিতীয়তঃ ১৪ শো বছর ধরে উক্ত প্রথাটি চলে আসার দাবীটি ভিত্তিহীন। তাঁর এই কল্পিত ব্যাখ্যা ও অনৈতিহাসিক দাবীর সাথে আহলেহাদীছ-হানাফী কোন বিজ্ঞ আলেমই একমত নন। যে হাদীছ তিনি এনেছেন, তার পুরাটি হ’ল, كان النبى صـ اذا فرغ من دفن الميت وقف عليه فقال : استغفروا لأخيكم ثم سلوا له التثبيت فانه الأن يسأل ‘নবী করীম (ছাঃ) দাফন শেষে দাঁড়িয়ে বলেন, তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর। অতঃপর তিনি যেন মুনকার-নাকীরের প্রশ্নের উত্তর দানের সময় দৃঢ় থাকতে পারেন, সেজন্য দো‘আ কর। কেননা তাকে এখুনি প্রশ্ন করা হবে’ (আবুদাঊদ, হা/৩২২১, সনদ ছহীহ, জানায়েয অধ্যায় ‘ফিরে আসার সময় কবরের নিকটে মাইয়েতের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা’ অনুচ্ছেদ-৭৩; মিশকাত হা/১৩৩ ‘কবর আযাবের প্রমাণ’ অনুচ্ছেদ-৪)। এ হাদীছের রাবী হযরত ওছমান বিন ‘আফফান (রাঃ) একথা বলেননি যে, অতঃপর আমরা সবাই রাসূলের সাথে দলবদ্ধভাবে মুনাজাতে শরীক হয়ে দু’হাত তুলে সমস্বরে ‘আমীন’ ‘আমীন’ বললাম। কুতবে সিত্তাহর মুহাদ্দিছগণ, আয়েম্মায়ে মুজতাহিদীন কেউই উক্ত ব্যাখ্যা দেননি। ছাহাবী, তাবেঈ ও তাবে-তাবেঈগণের পর রাসূলের ভাষায় নিন্দিত ভ্রষ্টতার যুগে অন্যান্য বিদ‘আতের সঙ্গে এ বিদ‘আতটিও চালু হয়েছে মূলতঃ অজ্ঞদের মন জয় করার জন্য। বহু বচনের ক্রিয়াপদের দোহাই দিয়ে যদি কেউ দলবদ্ধ  মুনাজাত জায়েয করতে চান, তাহ’লে তো ছালাত, ছিয়াম, যাকাত সকল মুসলমানকে সর্বদা দলবদ্ধভাবেই আদায় করতে হবে এবং একাকী সকল ইবাদত বাতিল করতে হবে। অতএব শাব্দিক ব্যাখ্যার গোলকধাঁধা নয়, বরং উক্ত হাদীছের উপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবীগণ কিভাবে আমল করেছেন, সেটাই দেখার বিষয়। তাঁরা ঐ সময় কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দলবদ্ধভাবে মুনাজাত করেছেন বলে তো কোন প্রমাণ নেই। বরং রাসূলের উক্ত নির্দেশ প্রত্যেকে ব্যক্তিগতভাবে মাইয়েতের জন্য দো‘আ করার মাধ্যমে পালন করেছেন। আমরাও সেটা করব। এর বাইরে অন্য কোন কথা মুসলমানের জন্য পালনীয় নয়। যদি কেউ বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তো দলবদ্ধ মুনাজাতে নিষেধ করেননি। তার জওয়াব এই যে, তিনি কোন ইবাদত যেভাবে করেছেন, সেভাবেই করাই আল্লাহর হুকুম (হাশর ৭)। তার বাইরে ধর্মের নামে যা কিছু করা হবে, সবই বিদ‘আত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৪০)। তিনি জানাযার ছালাতে রুকু-সিজদা করেননি। তাই আমরাও করি না। কিন্তু যদি কেউ এখন বলেন, আমরা করব। কেননা এটিও ছালাত। তাছাড়া আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) রুকু-সিজদা করতে নিষেধ করেছেন, এমন তো কোন হাদীছ নেই। তাহ’লে ঐ ব্যক্তিকে করুণা করা ভিন্ন কোন উপায় নেই।






বিষয়সমূহ: বিবিধ
প্রশ্ন (২৭/৪২৭) : খাসীকৃত প্রাণী কি ত্রুটিপূর্ণ নয়? এ ধরনের প্রাণী দ্বারা কুরবানী কিভাবে জায়েয হবে? আমরা দেখেছি পাকিস্তান বা ভারতের অনেক এলাকায় খাসী কুরবানী না করার প্রচলন রয়েছে। - -আব্দুল হাফীয, আটরশি, ফরিদপুর।
প্রশ্ন (৩৩/১৯৩) : যে ব্যক্তি কুরআন তেলাওয়াত করবে ও তার হালালকে হালাল ও হারামকে হারাম জ্ঞান করে আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সেই সাথে তার পরিবারের এমন দশজন লোকের সুফারিশ কবুল করা হবে যাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত। হাদীছটি তাফসীর মাহফিলে বলা হয়ে থাকে। হাদীছটির সনদ সম্পর্কে জানতে চাই?
প্রশ্ন (২৩/২২৩) : পিতার অমতে এবং অনুমতি ছাড়া বড় ভাই কি বোনকে বিবাহ দিতে পারে? - -সিরাজুল ইসলাম, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২/৩২২) : দুই ঈদের রাতে নির্দিষ্ট কোন ইবাদত আছে কি? এছাড়া ঈদের রাতে ইবাদত করলে হৃদয় জীবিত থাকে কি? - -আয়েশা ছিদ্দীকা, ধানমন্ডি, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩৪/২৭৪) : জনৈক আলেম বলেন, আহলেহাদীছ হতে হলে এক লক্ষ হাদীছের হাফেয হতে হবে। এ কথার সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (১২/৩৭২) : বাদুড় বা অন্য কোন পাখি পোষাকে পায়খানা করে দিলে উক্ত পোষাকে ছালাত আদায় করা যাবে কি? তথা পাখির পেশাব-পায়খানা পবিত্র কি?
প্রশ্ন (৩৫/৩৯৫) : আমি একটি গিটার ক্রয় করতে চাই এবং তাকে ভাল কাজে ব্যবহার করতে চাই। বৈধ হবে কি?
প্রশ্ন (২৭/২৬৭) : আমাদের সমাজে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী মেয়েরা তাদের পিতার ভিটা-বাড়ী অথবা আবাদী সম্পত্তির যেকোন একটির ওয়ারিছ হ’তে পারবে। আর ছেলেরা উভয় সম্পত্তির অংশীদার হবে। এরূপ করা জায়েয হবে কি? এছাড়া মা কি ছেলের সম্পদের ওয়ারিছ হবে? - -আলী আববাসকালিহাতী, টাঙ্গাইল।
প্রশ্ন (৩৮/৩৮) : পায়খানার দ্বার দিয়ে কৃমি বের হ’লে ওযূ নষ্ট হবে কি?
প্রশ্ন (১৮/১৮) : জনৈক বক্তা বলেন, তাহাজ্জুদের ছালাতের আউয়াল ওয়াক্ত রাত্রি ১০ থেকে ১১ টার মধ্যে হয়। সেকারণ এ সময়ের মধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা যেতে পারে। এ বক্তব্য সঠিক কি? - -আরিফ, মিরপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (২৩/৩৮৩) : ছালাতে কোন রাক‘আতে সিজদার সংখ্যা ১টি না ২টি হ’ল এমন সন্দেহ হ’লে করণীয় কি?
প্রশ্ন (১/১) : ছালাতে কাতার সোজা করা এবং কাতারের ধারাবাহিকতা তথা ইত্তিছালুছ ছফূফ বজায় রাখার বিধান ও হুকুম সম্পর্কে জানতে চাই। - .
আরও
আরও
.