উত্তর : পারবে না। বরং ইদ্দত শেষ করে ওমরাহ পালন করবে। কারণ মৃত স্বামীর জন্য স্ত্রীকে চার মাস দশদিন ইদ্দত পালন করতে হয় (বাক্বারাহ ২/২৩৪)। অতএব সে ইদ্দত পালন করবে এবং পরবর্তীতে শারীরিক ও আর্থিক সক্ষমতা থাকলে ওমরাহ করবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩৪/২৯ প্রভৃতি)। কোন নারী ইদ্দতের মধ্যে থাকা অবস্থায় হজ্জে গেলে ওমর (রাঃ) বায়দা থেকে ফিরিয়ে দিতেন (মুওয়াত্ত্বা মালেক হা/১৭০৮; ইরওয়া হা/২১৩২)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, স্বামীর মৃত্যুজনিত কারণে ইদ্দত পালনকারী স্ত্রী হজ্জের সফরে বের হবে না। এ ব্যাপারে চার ইমামের ঐক্যমত রয়েছে (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩৪/২৯)। ইবনু কুদামাহ (রহঃ) বলেন, স্বামীর মৃত্যুজনিত কারণে ইদ্দত পালনকারী নারী হজ্জের জন্য বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে সফর করবে না। যদি হজ্জের সফরে বের হয় এবং পথে স্বামীর মৃত্যুর খবর জানতে পারে, তাহ’লে তিনি ফিরে আসবেন এবং স্বামীর বাড়ীতে ইদ্দত পালন করবেন (মুগনী ৮/১৬৭)। অতএব ইদ্দত পালন শেষেই হজ্জ-ওমরা বা অন্য কোন সফরে বের হ’তে পারে, পূর্বে নয়।

প্রশ্নকারী : যয়নব, পাঁচদোনা, নরসিংদী।








প্রশ্ন (১৮/৪৫৮) : ‘ছালাত জান্নাতের চাবি’ মর্মে হাদীছটি কি ছহীহ? জান্নাতের চাবি কি?
প্রশ্ন (৩৫/৪৩৫) : মাসবূক ব্যক্তির সুতরা কী? কত দূরত্ব পর্যন্ত সুতরা হিসাবে গণ্য করা যায়? মাসবূকের জন্য কী কী জিনিস দ্বারা সুতরা করা যেতে পারে?
প্রশ্ন (৪০/২০০) : সম্প্রতি ‘যুগে যুগে শয়তানের হামলা’ নামে সশস্ত্র জিহাদে উদ্বুদ্ধ করে বাজারে বই ছাড়া হয়েছে। সেখানে আপনাদের প্রকাশিত কিছু বই যেখানে মুসলিম সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদের বিপক্ষে বক্তব্য রয়েছে, তার তীব্র সমালোচনা করে আপনাদেরকে এ যুগের শয়তান, ইহুদীদের এজেন্ট ইত্যাদি বলা হয়েছে। অমনিভাবে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে জনৈক তরুণ মুফতীর গরম গরম বক্তৃতায় ও লেখনীতে উৎসাহিত হয়ে অনেক আহলেহাদীছ ছেলে ঐ দলে ভিড়ে যাচ্ছে। তারা বলছে আপনারা ছহীহ হাদীছ মানেন ঠিক আছে, কিন্তু ইসলাম বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ করেন না। অনেকে বলছে, আপনাদের আক্বীদা ভাল, কিন্তু ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের জন্য আপনাদের কোন পদক্ষেপ নেই। এ বিষয়ে আপনাদের জবাব কি?
প্রশ্ন (৩২/৩৯২) : প্রতি ওয়াক্ত ছালাতের ইক্বামতের পূর্বে ইমাম ছাহেব কাতার সোজা করা, পায়ে পা ও কাঁধে কাঁধ মিলানো এবং ইক্বামতের জবাব দানের জন্য মুছল্লীদের প্রতি আহবান জানান। এটা কি শরী‘আতসম্মত?
প্রশ্ন (৮/১৬৮) : অন্তিম শয্যায় ‘রাসূল (ছাঃ) আয়েশা-কে জান্নাতে দেখতে পেয়েছিলেন। তাতে তিনি তাকে দুনিয়ায় ছেড়ে যাওয়ার বেদনা ভুলে যান’ মর্মে বর্ণিত ঘটনাটির সত্যতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (৪০/৪৮০) : হজ্জকারী ব্যক্তির নামের শুরুতে ‘আলহাজ্জ’ বা ‘হাজী’ লেখা হয় কেন? এগুলো লেখা যাবে কি? - -আব্দুল্লাহ, কানসাট, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (১৩/২১৩) : রাসূল (ছাঃ) কি কখনো আযান দিয়েছেন? না দিলে তার কারণ কি? - -এস.কে. আযহার, কলিকাতা, ভারত।
প্রশ্ন (২৮/১৮৮) : নখ কাটার পর তা মাটিতে পুঁতে ফেলতে হয়, নইলে পরকালে শাস্তি পেতে হয়। কথাটা কি ঠিক?
প্রশ্ন (১৬/৩৩৬) : জনৈক আলেম বললেন, মানুষের মাথা, কান ও গালে আঘাত করতে রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন। এক্ষণে স্কুল শিক্ষকগণ এরূপ করলে ছাত্রদের করণীয় কি?
প্রশ্ন (২১/৩৮১) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, গাছ-গাছড়া তাবীয হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। তবে কুরআনের আয়াত তাবীয হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। এর কোন সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (৩৮/৩১৮) : সৃষ্টির সেরা হল মানুষ। কিন্তু কুরআনে প্রথম সূরা বাক্বারাহ বা গাভী এবং শেষ সূরা নাস বা মানুষ উল্লেখ করলেন কেন?
প্রশ্ন (৭/১৬৭) : জুম‘আর ছালাতের পরে চার রাক‘আত সুন্নাত আদায় করতে হয়। অনুরূপ জুম‘আর পূর্বে চার রাক‘আত পড়া যাবে কি?
আরও
আরও
.