উত্তর : যেকোন সূরা বা দো‘আ পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে সে পানি চিকিৎসা হিসাবে পান করা যাবে। এটি সূরা বা দো‘আর বরকত হিসাবে গণ্য হবে, ব্যক্তির ফুঁকের বরকত হিসাবে নয় (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৮/৯৪; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/৬৭, ১/১০৭-৮; আব্দুল মুহসিন আল-আববাদ, শরহ আবুদাঊদ ২০/২১৪)। রাসূল (ছাঃ) কায়েস বিন ছাবেতের জন্য পানিতে ফুঁক দেন এবং সেই পানি দ্বারা তাকে গোসল করানো হয়েছিল (আবুদাউদ হা/৩৮৮৫, সনদ যঈফ; বায়হাক্বী, আদ-দা‘ওয়াতুল কাবীর হা/৫৭৯, ২/২১৮; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১/৮৮)। সুতরাং যে কেউ কুরআন ও হাদীছে বর্ণিত দো‘আ পাঠ করে ঝাঁড়ফুঁক করতে পারে। তবে পরহেযগার ব্যক্তি না হ’লে সাধারণত উপকার পাওয়া যায় না। কেননা আল্লাহ ফাসেক-ফাজেরদের ভালবাসেন না (বাক্বারাহ ২/২৭৬)।
প্রশ্নকারীঃ শহীদুল ইসলাম, বাসাইল, টাঙ্গাইল।