উত্তর : কেবল
শিশু নয় বরং প্রত্যেক মানুষের হেফাযতের জন্য আল্লাহ ফেরেশতা নিযুক্ত করে
রেখেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষের জন্য তার সামনে ও পিছনে পরপর আগত
পাহারাদার ফেরেশতারা রয়েছে, যারা তাকে হেফাযত করে আল্লাহর হুকুমে’ (রা‘দ ১৩/১১)।
আবু মিজলায বলেন, মুরাদ এলাকা থেকে জনৈক ব্যক্তি আলী (রাঃ)-এর কাছে এল।
তখন তিনি ছালাতরত ছিলেন। তিনি বললেন, হে আলী! আপনি আপনার জন্য পাহারা
নিযুক্ত করুন। কেননা মুরাদ এলাকার কিছু লোক আপনাকে হত্যা করতে চায়। জবাবে
আলী (রাঃ) বললেন, নিশ্চয়ই প্রত্যেক ব্যক্তির সঙ্গে দু’জন করে ফেরেশতা থাকে,
যারা তাকে হেফাযত করে। কিন্তু যখন তাক্বদীর এসে যায়, তখন তারা দূরে সরে
যায়’ (ইবনু কাছীর, উক্ত আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য, সনদ মুরসাল)।
সুতরাং এটা প্রমাণিত হয় যে, একজন ব্যক্তিকে দিনে ও রাতে কমপক্ষে চারজন করে
ফেরেশতা পাহারা দেয়। যাদের দু’জন ডানে ও বামে মানুষের আমলনামা লিখে, অপর
দু’জন মানুষের পিছনে ও সামনে থেকে পাহারা দিয়ে থাকে (বুখারী, হা/৫৫৫; ইবনু কাছীর, তাফসীর ঐ আয়াত, ৪/৪৩৭)।