উত্তর : মাথার চুল লম্বা ও খাটো উভয়টিই রাখা জায়েয। তবে এটি ‘সুনানুয যাওয়ায়েদ’ বা ব্যবহারগত অতিরিক্ত সুন্নাত সমূহের অন্তর্ভুক্ত। যার উপর আমল করা উত্তম। তবে ছেড়ে দেওয়া অপসন্দনীয় নয়’ (শরীফ জুরজানী, কিতাবুত তা‘রীফাত, বৈরূত ছাপা ১৪০৮/১৯৮৮ ‘সুন্নাতের বর্ণনা’ অনুচ্ছেদ, পৃঃ ১২২)

বড় চুল তিন পদ্ধতিতে রাখা যায়। যথা (১) ওয়াফরা, যা কানের লতি পর্যন্ত (আবুদাঊদ হা/৪২০৬) (২) লিম্মা, যা ঘাড়ের মধ্যস্থল পর্যন্ত (মুসলিম হা/২৩৩৭) (৩) জুম্মা, যা ঘাড়ের নীচ পর্যন্ত (নাসাঈ হা/৫০৬৬)

আবু ইসহাক বলেন, আবু আব্দুল্লাহ (ইমাম আহমাদ) কে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল, যার মাথায় লম্বা চুল ছিল। তিনি বলেন, এটি উত্তম সুন্নাত। যদি আমরা সক্ষম হই, তাহলে আমরাও অনুরূপ লম্বা চুল রাখব। তিনি আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জুম্মা চুল ছিল। তিনি আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ৯ জন ছাহাবীর লিম্মা চুল ছিল। ১০ জন ছাহাবীর জুম্মা চুল ছিল। ইমাম আহমাদ নিজে মধ্যম সাইজের চুল রাখতেন (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ১/৭৩-৭৪ পৃঃ চুল ছাঁটা ও মুন্ডনের হুকুম অনুচ্ছেদ)।  

ছাহাবী ওয়ায়েল বিন হুজর (রাঃ) একদিন লম্বা চুল নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে এলেন। তখন রাসূল (ছাঃ) মাছি বসবে, মাছি বসবে বলে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন। ফলে তিনি ফিরে গিয়ে পরে চুল কেটে খাট করে এলেন। তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, এটি সুন্দর (هذا أحسن) (আবুদাঊদ হা/৪১৯০; ইবনু মাজাহ হা/৩৬৩৬; ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ১/৭৩-৭৪ পৃঃ চুল ছাঁটা ও মুন্ডনের হুকুম অনুচ্ছেদ)

 






প্রশ্ন (৩০/১১০) : আমার পিতা মায়ের মৃত্যুর পর আরেক বিধবা নারীকে বিবাহ করেছেন। যার ১০ বছর বয়সী ১টা ছেলে আছে। আমার পিতা বাসায় কেউ আসলে বা কেউ জিজ্ঞেস করলে ঐ ছেলেকে নিজের ছেলে হিসাবেই পরিচয় করিয়ে দেন। এটা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩৩/১১৩) : আমার কবরপূজারী জনৈক আত্মীয় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এক পীরের মুরীদ হিসাবে কবরপূজায় লিপ্ত ছিলেন। এক্ষণে তার জানাযা পড়া বা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা জায়েয হবে কি? - -জালালুদ্দীন, ধুনট, বগুড়া।
প্রশ্ন (১/১৬১): ঈদ ও জুম‘আর ছালাতের এক রাক‘আত ছুটে গেলে কিভাবে আদায় করতে হবে? অনুরূপভাবে জানাযার ছালাতে তাকবীর ছুটে গেলে করণীয় কী?
প্রশ্ন (১৭/১৭৭) : ‘ঈমান ছুরাইয়া নক্ষত্রের নিকটে থাকলেও আমার উম্মতের কিছু লোক বা তাদের এক ব্যক্তি তা অবশ্যই পেয়ে যাবে’। এ হাদীছ দ্বারা ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-কে বুঝানো হয়েছে কি? - -মীম, দক্ষিণ মুগদা, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৪/১৭৪) : আমার আশপাশের সমাজ শিরক-বিদ‘আতে পূর্ণ। কিভাবে কাজ করলে আমি এসব মুকাবিলা করতে সক্ষম হব? - -মুহাম্মদ সাইফুদ্দীনরাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন (১৫/৩৭৫) : এক রাত বা তিন রাত ই‘তেকাফ করা যাবে কি? সর্বনিম্ন কতদিন ই‘তেকাফ করা যায়? - -রিয়াযুল ইসলাম, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
প্রশ্নঃ (৯/৮৯): নৈক ব্যক্তি এবার সস্ত্রীক হজ্জে যাচ্ছেন। তাঁর সংগৃহীত টাকার প্রায় অর্ধেক নিম্ন বর্ণিত টাকা। যেমন বাইশ বছর আগে এক ব্যক্তি তাঁর নিকটে ১৬ শতাংশ আবাদী জমি বিক্রি করে। দাতা-গ্রহীতা উভয়েই শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও ভুলক্রমে আবাদী জমির দাগ নং দলীলে লিখিত না হয়ে বাস্ত্ত ভিটা লিখিত হয়। এক্ষণে জমি খারিজ করতে গেলে ভুল ধরা পড়ে। আবাদী জমির মূল্য এক লাখ টাকাও হবে না। বিক্রেতা মারা গেছে। তার ছেলে মেয়েরা দলীল সংশোধন করে দিতে রাযী। কিন্তু ক্রেতা বাড়ীর জমি দখলে নিতে চায়। ফলে দাতার ওয়ারিছরা এক লাখ টাকার বিনিময়ে হাজীর নিকট থেকে বাস্ত্ত ভিটা ফিরিয়ে নিতে চায়। তাতে রাজী না হ’লে এক লাখ আশি হাযার টাকা দিয়ে হাজীর কাছ থেকে বাড়ী ভিটা দলীল করে নেয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে সংগৃহীত টাকা দ্বারা কৃত হজ কবুল হবে কি?
প্রশ্ন (৮/৮৮) : পিতার মৃত্যুর পর একটি ক্লাবের সদস্যরা দাবী করছে যে, জীবদ্দশায় তিনি ক্লাবের জন্য কিছু জমি দান করেছিলেন, কিন্তু দখল দেননি। এ বিষয়টি আমাদের জানা নেই। এখন ক্লাবের সদস্যরা আইনী লড়াই করে জমিটা পেলে পিতার কবরে শাস্তি হবে কি? শাস্তি থেকে পিতাকে বাঁচানোর জন্য তার দানকৃত জমি ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা আমাদের জন্য জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩৭/২৭৭) : এশার ছালাতে মুছল্লী কম হওয়ায় মুছাল্লী বৃদ্ধির জন্য নাশতার ব্যবস্থা করা যাবে কি? - -আসমাউল আলম, রাণীহাটি, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (২৬/৪৬৬) : কারো ভাইয়ের স্ত্রী অনেকদিন যাবৎ অন্যের সাথে পরকীয়ায় জড়িত। বিষয়টি নিশ্চিতভাবে জানা সত্ত্বেও স্বাক্ষী না থাকায় সে শারঈ কারণে তা কাউকে জানাতে পারছেন না। এক্ষণে তার করণীয় কি? গোপন রাখা কি ঠিক হবে?
প্রশ্ন (৪০/২০০) : আমাদের মসজিদের মিম্বারটি চার স্তর বিশিষ্ট। শুনেছি রাসূলের মিম্বার ছিল তিন স্তর বিশিষ্ট। এক্ষণে করণীয় কি? - -মুহাম্মাদ মোশাররফ হোসাইন, বেরাইদ, ঢাকা।
প্রশ্ন (১/২৮১) : জনৈক লেখক বলেন যে, বাঁশির শব্দে ইবনু ওমর (রাঃ) কানে আঙ্গুল দেয়াতে গান হারাম হয়েছে তা বলা যায় না (সৌভাগ্যের পরশমণি)। আবার রাসূল (ছাঃ) নিজে কানে আঙ্গুল দিয়েছিলেন কিন্তু ইবনু ওমর (রাঃ)-কে তা করতে বলেননি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও খলীফাদের যুগে বাদ্যযন্ত্র ও গান নিষেধ ছিল না; বরং তা উপভোগ করা হত (তাবারী)। তিনি আরো বলেন, কুরআনে এমন কোন আয়াত নেই যা গানকে হারাম করে। তাই ইবনে হাজার, ইবনু খাল্লিকান, জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী, গাযালী প্রমুখ বিদ্বানদের মতে বাদ্যযন্ত্রসহ গান শোনা বৈধ। যদি তা সৎ উদ্দেশ্যে এবং কল্যাণকর কথা হয়। উক্ত দাবীগুলো কি সত্য? সৌভাগ্যের পরশমণি’ এবং ‘এহইয়াউ উলূমিদ্দীন’ বইগুলো কি গ্রহণযোগ্য?
আরও
আরও
.