উত্তর : শিরক মহাপাপ, যা তওবা ব্যতীত মাফ হয় না। তবে কোন ব্যক্তি দ্বীনের সঠিক দাওয়াত না পেলে কিংবা অনিচ্ছাকৃত বা অজ্ঞতাবশত শিরকে লিপ্ত অবস্থায় মারা গেলে আল্লাহ চাইলে তাকে মুক্তি দিতে পারেন (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩/২৩১; মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৯/৩৯; আশ-শারহুল মুমতে‘ ১৪/৪৪৯)। কুরআন মাজীদে এসেছে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা ভুলে যাই বা অজ্ঞতাবশে ভুল করি, সেজন্য আমাদের পাকড়াও করো না (বাক্বারাহ ২/২৮৬)। এই দো‘আর জওয়াবে আল্লাহ বলেন, আমি ক্ষমা করে দিলাম (মুসলিম হা/১২৬)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ক্বিয়ামতের দিন চার ব্যক্তি ঝগড়া করবে। (১) বধির (২) নির্বোধ (৩) অতিবৃদ্ধ এবং (৪) যে ইসলামের দাওয়াত পায়নি (من مات في الفترة)। বধির বলবে, হে আমার প্রতিপালক! ইসলাম এসেছে, অথচ আমি কিছুই শুনতে পাইনি। নির্বোধ বলবে, ইসলাম আগমন করেছে, অথচ শিশুরা আমার দিকে পশুর বিষ্ঠা নিক্ষেপ করেছে। অতিবৃদ্ধ বলবে, ইসলাম আগমন করেছে, অথচ আমি কিছুই বুঝতে সক্ষম হইনি। আর ইসলামের দাওয়াত না পাওয়া ব্যক্তি বলবে, হে আল্লাহ! তোমার কোন দাওয়াতদাতা আমার নিকট আসেনি। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের নিকট হ’তে আনুগত্যের শপথ নিবেন। এরপর তাদের নিকট একজন দূত প্রেরণ করবেন এই মর্মে যে, তোমরা আগুনে প্রবেশ কর। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যার হাতে আমার জীবন তাঁর কসম করে বলছি, যে ব্যক্তি তাতে প্রবেশ করবে, আগুন তার উপর ঠান্ডা ও শান্তিদায়ক হয়ে যাবে। কিন্তু যে ব্যক্তি প্রবেশ করবে না, তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে (ত্বাবারাণী কাবীর হা/৮৪১; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৪৩৪)।
প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ আমীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।