উত্তর : প্রথমতঃ মাসিক অবস্থায় স্ত্রী মিলন হারাম। কেউ যদি অজ্ঞতাবশত কিংবা ভুলক্রমে এরূপ করে, তবে তাকে তওবা করতে হবে (ইবনু মাজাহ হা/২০৪৩; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১/৫৭১)। আর কেউ জ্ঞাতসারে করলে তাকে তওবার সাথে সাথে কাফফারা প্রদান করতে হবে। আর এক্ষেত্রে কাফফারা হ’ল হায়েযের প্রথম দিকে মিলন করলে এক দীনার এবং শেষের দিকে মিলন করলে অর্ধ দীনার (আবুদাঊদ হা/২৬৪-৬৫; ইবনু মাজাহ হা/৬৪০; ইরওয়া হা/১৯৭)। উল্লেখ্য যে, এক দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) সমান সোয়া চার গ্রাম স্বর্ণ, যার মূল্য বর্তমান বাজারে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। দ্বিতীয়তঃ হায়েয অবস্থায় মাতৃগর্ভে সন্তান আসলে সেটা হিজড়া হবে এ কথাটি কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। আল্লামা তারতূসী তাঁর ‘তাহরীমুল ফাওয়াহেশ’ গ্রন্থে উক্ত মর্মে একটি আছার বর্ণনা করেছেন, যা ইস্রাঈলী বর্ণনা তথা ভিত্তিহীন (বদরুদ্দীন শিবলী, আকামুল মারজান ১০৫, ১২১ পৃ.)। এছাড়া আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানেও এমন কোন প্রমাণ নেই। সুতরাং উক্ত তথ্য যেমন সঠিক নয়, তেমনি হায়েয অবস্থাতেও কারো পেটে সন্তান আসলে গর্ভপাত ঘটানোর বিধান নেই।
প্রশ্নকারী : মেহেরুন নেসা, নারায়ণগঞ্জ।